মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা

হাসপাতালের সামনেই মাদকের আখড়া

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

হাসপাতালের সামনেই মাদকের আখড়া

চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও এলাকায় কলেজ ও হাসপাতালের গেটের সামনেই সড়ক-ফুটপাত দখল করে অবৈধভাবে ছোট ছোট দোকান বসানো হয়েছে। এখানে বসেই দিন-রাত সমানেই শিক্ষার্থীদের করা হয় ইভ টিজিং, করা হয় মাদক সেবন, ঘটে ছিনতাইয়ের ঘটনা। এসব ঘটনায় অতিষ্ঠ কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। ভোগান্তিতে রোগী ও স্বজনরা। বিশেষ করে রোগীর মহিলা স্বজনদের বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়। রাতের বেলায় শঙ্কিত থাকতে হয় রোগীর স্বজনদের। এ নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গত মঙ্গলবার চান্দগাঁও থানা এবং স্থানীয় কাউন্সিলরকে ‘অবৈধ দোকানপাট কেন্দ্রিক ইভ টিজিং ও ছিনতাই’ প্রসঙ্গে লিখিত অভিযোগ করে।

জানা যায়, চান্দগাঁও শমসেরপাড়ায় অবস্থিত চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল ডেন্টাল কলেজ ও হাসপাতাল এবং চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল নার্সিং কলেজ। কলেজ-হাসপাতাল ও নার্সিং কলেজ মিলে প্রতিদিন সব প্রতিষ্ঠানে ১ হাজার ১০০ ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা, চিকিৎসক ও কর্মকর্তা ও রোগী, তাদের স্বজনদের মিলিয়ে কয়েক হাজার মানুষের পদচারণা ঘটে। কিন্তু গত কিছুদিন ধরে হাসপাতালের পাশের কবরস্থান সংলগ্ন সড়ক-ফুটপাত অবৈধভাবে দখল করে তৈরি করা হয়েছে ছোট ছোট অস্থায়ী দোকান। এসব দোকানে কিশোর গ্যাং, মাদকসেবী, বখাটে, ইভ টিজার ও ছিনতাইকারীরা নানা অপকর্ম করে চলেছে। স্থানীয় বখাটেদের উদ্যোগে এখানে অনেক দোকান তৈরি করা হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীর স্বজন মো. ফারুক বলেন, টংয়ের দোকানগুলো থেকে বিভিন্ন সময় ছাত্রীদের লক্ষ্য করে অশালীন কথা বলা হয়। রাতের বেলায় এখানে অনেক যুবক বসে আড্ডা দেয়। এ সময় ছিনতাইয়ের ঘটনাও ঘটে।  

চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. মুসলিম উদ্দিন বলেন, হাসপাতালের সামনের অবৈধ দোকানগুলো থেকে ইভ টিজাররা প্রতিনিয়ত মেডিকেল, ডেন্টাল ও নার্সিং কলেজে আগত ছাত্র-ছাত্রী, রোগীর মহিলা স্বজনদের ইভ টিজিংসহ নানা ধরনের অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করে যাচ্ছে।  তাছাড়াও রাতের বেলায় মাদক সেবন, ছিনতাইসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধ ঘটাচ্ছে। এসব অবৈধ স্থাপনা অপরাধীদের জমায়েতের কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। বিষয়টি আমরা চান্দগাঁও থানা এবং চান্দগাঁও ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে লিখিতভাবে জানিয়েছি। আমরা ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, রোগী ও রোগীর স্বজনদের নিরাপত্তা চাই।

চান্দগাঁও ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এসরারুল হক এসরাল বলেন, বিষয়টি আমি জানি। ঘটনাও সত্য। আমি নিজেও অনেক সময় তাদের ঝগড়া করতে এবং নানা অনিয়ম করতে দেখেছি। এ ব্যাপারে কলেজ কর্তৃপক্ষ থেকেও আমাকে জানানো হয়েছে। এ ব্যাপারে আমরা কারও প্রতি সহানুভূতি দেখাব না। ছাত্রী এবং রোগীর স্বার্থ ও নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে আমরা দ্রুত অবৈধ স্থাপনাগুলো উচ্ছেদের উদ্যোগ নেব।

সর্বশেষ খবর