শিরোনাম
মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা

অলিগলিতে অস্থায়ী ডাস্টবিন

মহিউদ্দিন মোল্লা, কুমিল্লা

অলিগলিতে অস্থায়ী ডাস্টবিন

কুমিল্লা নগরীর অলিগলিতে বাড়ছে অস্থায়ী ডাস্টবিন। এতে চারপাশে আবর্জনা ছড়িয়ে পড়ছে। বাড়ছে পরিবেশের দূষণ। নির্দিষ্ট ডাস্টবিনে আবর্জনা ফেলার দাবি জানিয়েছে সচেতন নাগরিক ও সিটি করপোরেশন। সরেজমিনে দেখা যায়, নগরীর আদালতের উত্তর-পূর্ব কোণের দেয়াল ঘেঁষে স্থানীয় বাসিন্দাদের কেউ কেউ ময়লা ফেলে গেছেন। ময়লা কুকুর বিড়াল টানাটানি করে আরও ছড়িয়ে দিচ্ছে। পথচারীরা নাকে হাত দিয়ে চলছেন। একই রকম দৃশ্য টমছম ব্রিজ, ঠাকুরপাড়া, চর্থাসহ বিভিন্ন এলাকায়।

নগরীর কাপ্তান বাজার এলাকার বাসিন্দা গোমতী কমিউনিটি ক্লিনিকের পরিচালক সফিউদ্দিন লিটন বলেন, কুমিল্লা নগরীর যেখানে সেখানে ময়লা ফেলা হচ্ছে। এতে মানুষকে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। এটা নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন। সকালে ঘুম থেকে উঠে আমরা পরিচ্ছন্ন দুর্গন্ধমুক্ত নগরী দেখতে চাই। সিটির দক্ষিণ এলাকার বাসিন্দা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ন্যাশনাল ক্লাবের সাবেক সভাপতি দেলোয়ার হোসেন মজুমদার বলেন, সিটির দক্ষিণ অংশে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বলতে তেমন কিছু নেই। যে যার মতো সড়কে, বাড়ির পাশের গর্তে আবর্জনা ফেলছেন।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন কুমিল্লার সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর মাসুম বলেন, অনেকে যেখানে সেখানে বর্জ্য ফেলেন। এ বিষয়ে নাগরিককে আরও সচেতন হতে হবে। নগরবাসীর দাবি, রাতেই যেন বর্জ্য নিয়মিত পরিষ্কার হয়। এতে মানুষ দুর্গন্ধ ও রোগ জীবাণু থেকে সুরক্ষা পাবে।

আলোকিত বজ্রপুরের সংগঠক রফিকুল ইসলাম সোহেল বলেন, বজ্রপুর এলাকার রাজ্জাক ম্যানসনের কাছে আমরা উন্মুক্ত পাঠাগার স্থাপন করেছি। সেখানে ভবনের সামনে খালি জায়গায় রাতের অন্ধকারে কেউ কেউ ময়লা ফেলে যাচ্ছেন।  এ বিষয়ে সিটি করপোরেশনকে নজরদারি বাড়াতে হবে। কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র মনজুর কাদের মনি বলেন, একজন মেয়র ও ৩৬ জন কাউন্সিলর দিয়ে নগরী পরিচ্ছন্ন রাখা যাবে না। এ জন্য নগরবাসীর সচেতনতা প্রয়োজন।

সর্বশেষ খবর