মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা

চার বছরেও শুরু হয়নি খাল সংস্কার

হাসান ইমন

চার বছরেও শুরু হয়নি খাল সংস্কার

২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কাছে ২৬ খাল হস্তান্তর করে ঢাকা ওয়াসা। এরই মধ্যে হস্তান্তরের প্রায় ৪ বছর অতিবাহিত হতে চললেও খাল সংস্কার কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি সংস্থা দুটি। শুধু তাই নয়, খাল উদ্ধারে বিভিন্ন কর্মসূচিতে মেয়ররা শুধু ঘোষণাই দিয়ে গেছেন কিন্তু বাস্তবে তা রূপান্তর করতে পারেনি। একই সঙ্গে খালের সীমানা নির্ধারণও করতে পারেননি। শুধু খাল পরিষ্কার অভিযানে ক্ষান্ত ঢাকা দুই সিটি করপোরেশন।

উদ্ধার হয়নি কোনো খাল : দুই সিটির আওতাধীন ২৬ খালের মধ্যে একটি খালও উদ্ধার করতে পারেনি দুই সিটি করপোরেশন। তবে ২০২১ সালের শুরুতে মোহাম্মদপুরের বসিলায় লাউতলা খাল উদ্ধার করে রীতিমতো সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। খাল উদ্ধার কার্যক্রম শেষে গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, প্রতিটি খালে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা সব স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে।

সে ঘোষণার পর পেরিয়েছে আড়াই বছর। কিন্তু এখনো একটি খালও অবৈধ দখলমুক্ত করা যায়নি। অন্যদিকে উদ্ধার করা লাউতলা খালটি ডিএনসিসির তালিকার বাইরে ছিল। এর আগে ২০২১ সালের ৪ জানুয়ারি ইব্রাহিমপুর খালে উচ্ছেদ অভিযান চালায় সংস্থাটি। ওই সময় বাধার সম্মুখীনও হয়। কয়েকদিন উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েও পুরো খালটি দখলমুক্ত হয়নি। এদিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন খাল বুঝে পাওয়ার পর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু করে। কিন্তু এটা বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। এরপর গত চার বছর বিভিন্ন সময় পরিষ্কার অভিযান ছাড়া আর কোনো কার্যক্রম দেখা যায়নি সংস্থাটির। 

খালের সীমানা নির্ধারণ হয়নি : ২০২১ সালের শুরুতে খালের সীমানা নির্ধারণে প্রকল্প নেয় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব পায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৪ স্বাধীন ইঞ্জিনিয়ার ব্রিগেড এবং অ্যাডহক কনস্ট্রাকশন সুপারভিশন কন্সালট্যান্ট (সিএসসি)।

২০২২ সালের শুরু থেকেই সিএস জরিপ অনুযায়ী খাল উদ্ধারে সীমানা নির্ধারণ করে পিলার স্থাপনের কার্যক্রম শুরু হয়। কিন্তু সীমানা পিলার স্থাপন করায় অনেকের ব্যক্তিগত জায়গায় খুঁটি পড়ে। করপোরেশনের বিভিন্ন অঞ্চল ও নগর ভবনে এমন তিন শতাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে। সবগুলোই ব্যক্তিগত জায়গায় খুঁটি বসানোর অভিযোগ।

ঢাকা দক্ষিণ সিটির খাল পুনরুদ্ধার, সংস্কার ও নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টি প্রকল্পের পরিচালক খায়রুল বাকের বলেন, খাল পুনরুদ্ধার ও সংস্কারের কার্যক্রম চলছে। প্রকল্পের কনসালটেন্ট হিসেবে সম্পত্তি বিভাগ খালের সীমানা নির্ধারণের কাজ করছে। সীমানার কাজ শেষ হলে নকশা প্রণয়ন করা হবে। এরপরই প্রকল্পের দৃশ্যমান কার্যক্রম শুরু হবে।

সর্বশেষ খবর