মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা

সড়ক বিভাজকে ধ্বংসস্তূপের ক্ষত

নজরুল মৃধা, রংপুর

সড়ক বিভাজকে ধ্বংসস্তূপের ক্ষত

কোটা আন্দোলনের নামে সহিংসতায় রংপুর সিটি করপোরেশনের সড়ক বিভাজক ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। তান্ডবকারীরা নগরীর শাপলা চত্বর থেকে কাচারি বাজার এবং মেডিকেল মোড় থেকে বাস টার্মিনাল পর্যন্ত  অনেকস্থানে সড়ক বিভাজক ভেঙে ফেলেছে। কোথাও কোথাও সড়ক বিভাজনের লোহা, বোর্ডসহ বিভিন্ন সৌন্দর্য বর্ধনের সামগ্রী খুলে নিয়ে গেছে। নগরীর সড়ক বিভাজনগুলো ধ্বংসযজ্ঞের ক্ষত নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। সিটি করপোরেশনের মেয়র বলেছেন, তান্ডবে সিটি করপোরেশনের তিন কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।

গত ১৯ জুলাই সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত দুষ্কৃতকারীদের হাতে থাকা রড, এসএস পাইপসহ দেশীয় অস্ত্র ও ইটপাটকেল নিয়ে রসিকের বিভিন্ন জায়গায় ভাঙচুর করে। এ সময় দুষ্কৃতকারীরা নগরীতে সড়ক বিভাজন ছাড়াও ৬৪টি সিসিটিভি ক্যামেরা, নগরজুড়ে ৩০ কিলোমিটারে ফাইবার অপটিক্যাল ক্যাবল, শাপলা চত্বরে স্থাপিত দুটি এবং সিটি করপোরেশনের সামনে স্থাপিত একটি এলইডি টিভি, সিটি করপোরেশন কার্যালয়ের সামনে লাগানো প্রধানমন্ত্রীসহ মেয়রের ছবি, রসিকের প্রধান ফটকে স্থাপিত চারটি সিসিটিভি ক্যামেরা, গার্ড রুমের থাই গ্লাস ও গ্রিল, কার্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের রাস্তাসংলগ্ন জানালার থাই গ্লাস, প্রধান ফটকের দুই পাশে অবস্থিত গার্ডেন লাইট, নগরীর জাহাজ কোম্পানী মোড় এবং লালকুঠি মোড়ে স্থাপিত ডিজিটাল ট্রাফিক সিগন্যাল, কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের সামনে দুটি এলইডি সাইন ভাঙচুর করেছে। সিটি কার্যালয়ের সামনে থেকে লালবাগ রেলক্রসিং পর্যন্ত রাস্তার মাঝখানে এবং কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের ফুটওভার ব্রিজের নিচের দুই পাশের রোড ডিভাইডার প্রটেকশন গ্রিল, শাপলা চত্বরের গ্রিল ভেঙে নিয়ে গেছে দুষ্কৃতকারীরা। যে দিকে তাকানো যায় সেদিকের ধ্বংসের চিহ্ন। রসিক মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, কোটা আন্দোলনকে ঘিরে যে সংঘাত এবং প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে আমি এসব কর্মকান্ডের তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদসহ প্রকৃত দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।

সর্বশেষ খবর