বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর, ২০২৪ ০০:০০ টা
সরকারি হাসপাতাল

দালালের দৌরাত্ম্য

আফজাল, টঙ্গী

দালালের দৌরাত্ম্য

সরকারি হাসপাতাল ঘিরে সক্রিয় দালাল চক্র। ফলে সেবাবঞ্চিত সাধারণ রোগীরা। রাজধানীর অদূরে টঙ্গী স্টেশন রোড এলাকায় ২৫০ শয্যার আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতাল। জয়দেবপুর এলাকায় ৫০০ শয্যার শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। টঙ্গীর আশপাশে আর কোনো সরকারি হাসপাতাল না থাকায় এই হাসাপাতালই সাধারণ মানুষের চিকিৎসাসেবার অবলম্বন। প্রতিদিন শত শত রোগী এখানে আসেন বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা নিতে। অথচ দালালদের কারণে সেবা পাচ্ছেন না সাধারণ রোগীরা। একই চিত্র শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তদারকির অভাবেই রোগীরা সেবা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।

সরেজমিনে ঘুরে জানা যায়, স্বল্প আয়ের মানুষের চিকিৎসাসেবার একমাত্র অবলম্বন টঙ্গী ২৫০ শয্যা সরকারি হাসপাতাল ও শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।

সরকারি হাসপাতাল ঘেঁষে রয়েছে অসংখ্য বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। এসব হাসপাতালের দালালরা রোগীদের ভাগিয়ে নিয়ে যায় অন্যত্র। ফলে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নিতে আসা রোগীরা বিনামূল্যে সেবা পাচ্ছেন না। গত ১৮ সেপ্টেম্বর ১১ বছরের এক শিশু জোবায়েত হোসেন জ্বরে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে নেওয়া হয় টঙ্গী হাসপাতালে। এ সময় সেখানে থাকা এক দালাল উন্নত চিকিৎসার প্রলোভন দেখিয়ে নিয়ে যান টঙ্গীর স্টেশন রোড এলাকায় মা মেডিকেল ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। সেখানে নেওয়ার পর রিসিপশনের এক কর্মকর্তা মনির ওই শিশুটিকে ডা. সুব্রত ম-লের প্যাডে লিখে দেন আট রকমের ওষুধ।

সেই সঙ্গে রক্ত, ইউরিনসহ দেন বেশ কয়েকটি পরীক্ষা। ঠিক ঘণ্টা খানেকের মধ্যে ডেলিভারি দেন টেস্টের রিপোর্ট। পরে মনিরের দেওয়া ওষুধ খেয়ে আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই শিশুটি। মনির কখনো রিসিপশন ও ম্যানেজমেন্ট কর্মকর্তা, আবার কখনো ডাক্তার, কখনো প্যাথলজিস্ট। এ বিষয়ে মনিরের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসক ছিলেন না, তাই ওনার কথামতো ওষুধ লিখেছি। হাসপাতালে চিকিৎসক কিংবা প্যাথলজিস্ট না থাকলে সবকিছু আমাকেই দেখতে হয়।

এ বিষয়ে টঙ্গী সরকারি হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আফজালুর রহমান বলেন, নিরাপত্তাকর্মীর অভাবে দালালরা হাসপাতালের ভিতরে বিচরণ করছে। তবে আগের চেয়ে এখন দালাল কমেছে।  দালাল রোধে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। গাজীপুর জেলা সিভিল সার্জন ডা. মাহমুদা আক্তার বলেন, অন্যের প্যাডে কেউ ওষুধ লিখতে পারেন না। এসব ভুয়া কর্মকা-ের জন্য অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর