বুধবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

পিরিয়ডকালীন খাবার-দাবার

পিরিয়ডকালীন খাবার-দাবার

মেয়ে বা নারীদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময় হলো মেন্সট্রয়েশন সাইকেল বা ঋতুস্রাব। এই সময়ে মেয়েদের অনেক ধরনের লক্ষণ দেখা যায়। যেমন- তলপেটে অতিরিক্ত ব্যথা, মেজাজ খিটখিটে, মাথা ঘুরানো, অ্যাসিডিটি, মুখের অরুচি, বমি বমি ভাব, অস্বস্তিবোধ ইত্যাদি। অনেকের আবার নিয়মিত পিরিয়ড হয় না। অনিয়মিত পিরিয়ড বা একেবারেই পিরিয়ড বন্ধ হওয়া পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম (PCOS) এর জন্য হয়ে থাকে। তবে এর আরও কারণ আছে। যেমন- অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা, ক্যাফেইন জাতীয় খাবার গ্রহণ, স্ট্রেস, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বসবাস, মদ্যপান বা ধূমপান করা ইত্যাদি।

 

পিরিয়ডের সময় যেসব খাবার উপযোগী :

ডার্ক চকলেট শরীরের নার্ভ সিস্টেমকে ঠাশ্ব  রাখে। ফলে মেজাজও ঠাশ্ব থাকে। তাই এটি পিরিয়ডের সময় খাওয়া ভালো। গ্রিন টিও এক প্রকারের এন্টিঅক্সিডেন্ট যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এমনকি পিরিয়ডের ব্যথাও কমায়। লেবুর শরবত বা তরকারিতে লেবু দিয়ে খাবার পিরিয়ডের সময় খাওয়া স্বাস্থের জন্য ভালো। কলাতে প্রচুর পরিমাণে এনার্জি আছে। শরীরের রক্তক্ষরণের জন্য শরীর কয়েক দিন দুর্বল থাকে। তাই এই সময় কলা অত্যন্ত পুষ্টিকর। আর সম্ভব হলে দুধ চায়ের বদলে আদা ও দারুচিনি দিয়ে চা খেলে পিরিয়ড নিয়মিত হয়। অনিয়মিত পিরিয়ড হলে আনারস খেলে পিরিয়ড নিয়মিত হবে। এ ছাড়া চিটাগুড় লাল চা বা মুড়ির সঙ্গে মিশিয়ে খেলে পিরিয়ড নিয়মিত হবে এবং দেহে লৌহ ও জিঙ্কের পরিমাণ পরিমিত থাকে। কাঁচা পেঁপে পিরিয়ডের ব্যথা কমায় এবং পিরিয়ডের ফ্লো ভালো হয়। পিরিয়ডের সময় হলুদ খাওয়া ভালো। এটি পাতলা দুধের সঙ্গে পান করতে হয়। ধনেপাতা ভর্তা অনিয়মিত পিরিয়ডকে নিয়মিত হওয়াতে সাহায্য করে। অন্যান্য খাবারের মধ্যে বাদাম, কাঠবাদাম, শাক-সবজি, আনার, অ্যালোভেরা, গাজর ইত্যাদি খাবার পিরিয়ডের সময় গুরুত্বপূর্ণ।

 

যেসব খাবার এড়িয়ে চলবেন :

শুরুতেই কফি বা দুধ চা এড়িয়ে চলতে হবে। অতিরিক্ত ভারি খাবার বা ভাজাপোড়া না খাওয়াই ভালো। এমনকি বাইরের প্রসেসড খাবারও এ সময় একদমই নয়। যেমন- চিপস, কোল্ড ড্রিংকস ইত্যাদি। এ সময় অতিরিক্ত লবণ পরিহার করুন।

 

লেখক : রুবাইয়া পারভীন রীতি, পুষ্টিবিদ, ফরাজী হাসপাতাল লিমিটেড।

সর্বশেষ খবর