শিরোনাম
বুধবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

শীতে পরিচ্ছন্ন ত্বক...

শীতে পরিচ্ছন্ন ত্বক...

► মডেল : ফারিয়া শাহরিন ► ছবি : আর্কাইভ

ঝকঝকে ত্বক কার না পছন্দ! সেটা সৌন্দর্যসেবা কেন্দ্রে গিয়ে করা যায়। আবার অনেকেই ঘরোয়া উপায়ে প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করে ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখেন। জানেন কি, ক্লিনজিং, টোনিং, ময়েশ্চারাইজিংই হলো পরিচ্ছন্ন ত্বকের প্রধান সূত্র। রইল তার বিস্তারিত...

 

শীতের হাওয়া উড়িয়ে দেয় আর্দ্রতা। ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে শুষ্কতা। আর ত্বকভেদে তার প্রভাব পড়তে থাকে ত্বকে। যেমন- ত্বকের শুষ্কতা, ত্বকে কালচে ভাব আর নানা সমস্যা। এমন মৌসুমি দিনে নিয়মিত ত্বকের যত্ন নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা। তবে জেনে রাখা ভালো, ক্লিনজিং, টোনিং এবং ময়েশ্চারাইজিং- এই তিনটি হলো পরিচ্ছন্ন ত্বকের প্রধান সূত্র। পাশাপাশি এক্সপার্টের পরামর্শে ঘরোয়া উপায়ে সেরে নিতে পারেন সৌন্দর্যচর্চা। পরিচ্ছন্ন ত্বকের টোটকার বিস্তারিত তুলে ধরা হলো।

শুরুতেই আসা যাক পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কথায়। শীত এলে আবহাওয়া হারায় আর্দ্রতা। শুষ্কতা ভর করে প্রকৃতিজুড়ে। যার বেশির ভাগ প্রভাবটাই পড়ে আমাদের ত্বকে। আর উপরি হিসেবে ধুলা, ধোঁয়া আর অনিয়মিত জীবনযাপন তো আছেই। সমাধান হিসেবে দিনে দুবার ক্লিনজিং মিল্ক বা জেল দিয়ে মুখ পরিষ্কার করতে হবে। ত্বকের পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে সপ্তাহে অন্তত এক দিন স্ক্রাবিং করতে হবে। শসা বা মাল্টার রসের সঙ্গে চালের গুঁড়া মিশিয়ে স্ক্রাব তৈরি করে ব্যবহার করতে হবে। ত্বক স্বাভাবিক বা শুষ্ক হলে দুধ আর মধু মেশাতে পারেন। বেশি শুষ্ক ত্বকের ক্ষেত্রে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস দিতে পারেন। স্বাভাবিক ত্বকের জন্য কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল দিলেই যথেষ্ট। ক্লিনজিংয়ের পর ত্বকের কোমলতা বজায় রাখতে টোনিংয়ের পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। মুখ পরিষ্কার করার পর তুলায় টোনার নিয়ে ভালো করে মুখ মুছে নিন। এতে ত্বকের পিএইচ ব্যালান্স বজায় থাকে। ত্বকের টানটান ভাব বজায় রাখতে সাহায্য করবে।  টোনিংয়ের জন্য লিকোরাইস এক্সট্র্যাক্ট ব্যবহার করা যেতে পারে। যদি তাও সম্ভব না হয় তবে প্রাকৃতিক গোলাপজল তো আছেই। মুখ পরিষ্কার করার পর অবশ্যই ভালো কোনো ক্রিম বা ময়েশ্চারাইজার লোশন ব্যবহার করতে হবে। ত্বক আর্দ্র রাখতে, এমনকি ত্বকের শুষ্কতা দূর করতে ময়েশ্চারাইজিংয়ের বিকল্প নেই। আজকাল বাজারে অনেক ভালো ময়েশ্চারাইজার পাওয়া যায়। তবে এর পরিবর্তে মুখে দই বা দুধের সরও লাগানো যেতে পারে; যা ত্বককে করবে ময়েশ্চারাইজিং।

 

এ তো গেল ত্বক ক্লিনজিং, টোনিং এবং ময়েশ্চারাইজিংয়ের কথা। সকালে ঘুম থেকে উঠে রাতে ঘুমানোর অবধি নিয়ম মেনে চলতে হবে। তবেই ত্বক থাকবে সুস্থ।

►  অফিসে বা বাইরে যে কোনো জায়গায় সুযোগ করে মুখ ধুয়ে নিন। আর সঙ্গে রাখতে পারেন মিনি ফেসওয়াশ।

►  দিনের বেশির ভাগ সময় রোদ আর ধুলাবালিতে থাকার কারণে ত্বক হয়ে যায় রুক্ষ, প্রাণহীন। তাই বাইরে বের হওয়ার আগে সানস্ক্রিন লোশন ব্যবহার করুন।

►  দিন শেষে ঘরে ফিরে আলসেমি না করে ভালো করে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। ভালো ব্র্যান্ডের মুখ পরিষ্কারক ব্যবহার করতে পারেন।

►  ব্ল্যাক হেডস, হোয়াইট হেডসের সমস্যা কমবেশি সবারই হয়। গরম পানিতে টাওয়েল ভিজিয়ে নাকে ভাব দিলে পোরসগুলো খুলে যাবে। হাত দিয়ে টিপে কিংবা স্টিক দিয়ে পরিষ্কার করে নিতে পারেন।

►  মাসে অন্তত একবার পারলারে গিয়ে ত্বকের ধরন অনুযায়ী ফেশিয়াল করে নিতে পারেন। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য হারবাল ফেশিয়াল উপকারী।

►  চাইলে ঘরে বসেই ত্বকের যত্ন নিতে পারেন। কমলা লেবুর রস কিংবা টমেটোর রস ত্বকে লাগিয়ে ১০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। ত্বক পরিষ্কার থাকবে।

►  রাত জাগার অভ্যাস পরিত্যাগ করুন। রাত জাগার ফলে ব্রণ হওয়া থেকে শুরু করে অনেক সমস্যা দেখা দেয়। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে মুখ ধুয়ে ময়েশ্চারাইজিং ক্রিম ব্যবহার করুন।

 

অপর্যাপ্ত পানি পানে ত্বক হয়ে পড়বে মলিন। তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে। বাইরের খাবার বর্জন করতে হবে। সুস্থ ও সুন্দর থাকার জন্য প্রয়োজন একটু যত্ন। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকুন। সুষম খাবার ও পর্যাপ্ত পানি পান করুন। এতে শরীর, ত্বক, মন- সবই ভালো থাকবে।

 

লেখা : ফেরদৌস আরা

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর