ত্বক কেন তৈলাক্ত হয়?
সাধারণত জন্মগতভাবে ত্বক তৈলাক্ত হয়। অনেক সময় পরিবেশও ত্বকের তৈলাক্ততার প্রভাব থাকে। যেমন- অধিক আর্দ্রতা আর গরমের ফলে ত্বকের তেলগ্রন্থি বাড়তি তেল নিঃসৃত করে। ফলে ত্বক হয় তেলতেলে। আবার প্রসাধনী ব্যবহারে অসতর্কতার কারণেও ত্বকে তৈলাক্ততার সমস্যার সৃষ্টি হয়। আবার হরমোনাল এবং অতিরিক্ত ওষুধ গ্রহণের কারণেও এমন সমস্যা দেখা দিতে পারে। এ ছাড়া মানসিক চাপ আর অসুস্থতাও অনেক সময় ত্বকের তৈলাক্ততায় দায়ী।
তৈলাক্ত ত্বক যাচাই
ত্বক তৈলাক্ত নির্ধারণ করার জন্য ক্লিনজার মুখ ধুয়ে নিন। ময়েশ্চারাইজার লোশন লাগিয়ে আধাঘণ্টা অপেক্ষা করুন। নির্দিষ্ট সময় পর নাক, কপালসহ গালের অংশ চিটচিটে হয়ে উঠলে বুঝতে হবে ত্বক তৈলাক্ত। এমনকি ব্লটিং পেপার চেপেও পরীক্ষাটি করা যায়। এতে ব্লটিং পেপার তেলে সিক্ত হয়।
প্রতিদিনের পরিচর্যা
নিয়মিত ত্বক পরিষ্কার করুন। ত্বকের তৈলাক্ততা কমাতে বারবার মুখ ধুয়ে নিতে পারেন। মুখ ধোয়ার পানিতে দু-এক ফোঁটা গোলাপজল মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। আবার ফেসওয়াশ দিয়েও মুখ ধুয়ে নিতে পারেন। প্রতিদিন দুবার গোসল করা উচিত। গরম পানিতে নিমপাতা ডুবিয়ে রেখে সেই পানিতে গোসল করতে পারেন। গোসলে নিমযুক্ত সাবান ব্যবহার করুন। বিশেষজ্ঞদের মতে, ‘তিনটি নিয়ম মেনে ত্বকের পরিচর্যায় তেলতেলে ভাব কমবে। এগুলো হলো- ক্লিনজিং, টোনিং ও ময়েশ্চারাইজিং।
কেমন হবে মেকআপ
যে প্রসাধনীই ব্যবহার করুন না কেন, তা হতে হবে ওয়াটার-বেসড বা পানিনির্ভর। অয়েল-বেসড বা তেলের প্রাধান্য বেশি এমন কোনো প্রসাধনী এড়িয়ে চলুন। ফাউন্ডেশন লাগাতে হবে খুব কম। ফেসপাউডারে ক্ষতি নেই। আর এমন আইলাইনার লাগানো উচিত, যেন তা ভিজে গেলেও মুছে না যায়।
সপ্তাহান্তে পরিচর্যা
সপ্তাহে অন্তত দুবার স্ক্রাবিং করতে পারেন। জোজোবা বা চারকোলের স্ক্রাব তৈলাক্ত ত্বকের জন্য বেশ কার্যকরী। সঙ্গে তৈলাক্ত ত্বক উপযোগী ফেসপ্যাক ব্যবহার করতে হবে। গ্রিন টি দেওয়া ফেসপ্যাকও ব্যবহার করতে পারেন। এটি ত্বকের বাড়তি তেলে ভাব শুষে নেয়।
১৫ দিন পর
শুধু মুখত্বক নয়, গলা, ঘাড়, পিঠসহ অন্যান্য অংশের বাড়তি যত্ন প্রয়োজন ১৫ দিন পর পর। সেক্ষত্রে বিটা আর আলফা হাইড্রোক্সি অ্যাসিড পিলের মিশ্রণ ব্যবহার করতে পারেন। যা ত্বকে জমে থাকা মৃতকোষ দূর করে।
মাসে একবার
বিউটি স্যালনের প্রফেশনাল ফেশিয়াল জরুরি অন্তত একবার। তৈলাক্ত ত্বকে ডিপ ক্লিন বা ডিটক্সিফাইং ফেশিয়ালগুলো চমৎকার। এগুলো মৃতকোষ দূর করে, ভিতর থেকে পরিষ্কার করে বলে অতিরিক্ত তেলে ভাব রোধ হয়।
লিখেছেন- শোভন সাহা (কসমোলজিস্ট)