সাম্প্রতিক এক জার্মান সমীক্ষায় দেখা গেছে, নারীর বুক, হাত এবং বাহুর ত্বকেও বয়সের প্রভাব পড়ে। অন্যভাবে বললে, এটি কেবল মুখেই নয়, শরীরের অনাবৃত অংশেও দেখা দিতে পারে। তাই তারুণ্য ধরে রাখতে খাদ্যাভ্যাস ও ঘুমের পাশাপাশি চাই নিজের সঠিক পরিচর্যা।

নিয়মিত শরীরচর্চা করা : সপ্তাহে তিন দিন ৪৫ মিনিট শরীরচর্চার অভ্যাস গড়ে তুলুন। এতে ত্বকের তারুণ্য ও উজ্জ্বলতা বজায় থাকবে। তবে নিয়ম করে ধৈর্য ধরে শরীরচর্চা চালিয়ে যেতে হবে। ফল কয়েকদিনের মধ্যেই চোখে পড়বে। মুখ, গলা ও চোয়াল ও গাল টানটান রাখতে প্রতিদিন ১০ মিনিট মুখের ব্যায়াম করুন।

সূর্যালোক থেকে সুরক্ষা : সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি ত্বককে দ্রুত বুড়িয়ে ফেলে। এটি ত্বকের ইলাস্টিন ভেঙে দেয়। ফলে ত্বক দেখায় নিষ্প্রভ। এমনকি বলিরেখা, বয়সের ছাপ, অমসৃণ ত্বকসহ অনেক কিছু ঘটে। তাই সর্বদা রোদ থেকে সুরক্ষিত থাকতে কমপক্ষে ৩০-এর SPF রেটিং-সহ ভালো মানের সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। পাশাপাশি ছাতা, ওড়না বা টুপি ব্যবহার করে যতটা সম্ভব নিজেকে সূর্যালোক থেকে সুরক্ষিত রাখুন।

আর্দ্রতা রক্ষা : ত্বককে সুস্থ ও সুন্দর রাখতে নিজেকে আর্দ্র রাখার কোনো বিকল্প নেই। তাই, নির্দিষ্ট সময় পর পর পানি পান করুন। খাবারে জলীয় অংশের পরিমাণ বাড়াতে শসা, টমেটো, ফুলকপি, আঙুর ও তরমুজ যোগ করুন। যা ত্বকের কোমলতা ধরে রাখতে সহায়তা করে।

মানসিক চাপ কমান : মানসিক চাপ কর্টিসোল হরমোনের নিঃসরণ বাড়ায়, যা ত্বককে শুষ্ক, বলিরেখাপ্রবণ ও মলিন করে তোলে। তাই এক দিন সময় বের করে সহজে সব কাজ সেরে নিন এবং নিজের মানসিক যত্ন নিন।

বাইরে যাওয়া হচ্ছে না মানে ত্বক সুরক্ষিত, এমনটা নয়। বাড়িতে থাকলেও দৈনিক ত্বকের যত্ন নেওয়া উচিত।

♦  ঘরোয়া উপকরণ যেমন- চিনি, মধু ও নারিকেল তেল ইত্যাদির সাহায্যে সপ্তাহে অন্তত দুইবার স্ক্রাবিং করে ত্বকের মৃতকোষ দূর করে নিতে পারেন।

♦   আঙুর দুই টুকরা করে কেটে তা ত্বকে মালিশ করুন।

♦   চোখে ‘আই ক্রিম’ ব্যবহারের আগে তা রেফ্রিজারেটরে রেখে নিন। এটি চোখের ক্লান্তি দূর করে।

♦   লোমকূপ উন্মুক্ত থাকলে ফেইশল মাস্ক খুব ভালো কাজ করে। গোসলের সময় মুখে পেঁপের মাস্ক মেখে পাঁচ মিনিট অপেক্ষা করুন, ত্বক সতেজ হবে।

♦   ত্বকে ময়েশ্চারাইজারের পাশাপাশি সানব্লকও করুন।

তথ্যসূত্র : স্টাইলক্রেজ