সানস্ক্রিন ব্যবহারে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি এবং ত্বকের ক্যান্সার প্রতিরোধে মুখ্য ভূমিকা পালন করে। তবে আমেরিকান একাডেমি অব ডার্মাটোলজি (এএডি)-এর তথ্যানুসারে, অনেকে সানস্ক্রিনের সঠিক প্রয়োগ করতে পারেন না। ফলে, সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির (ইউভি) ঝুঁকি থেকেই যায়, যার প্রতিনিয়ত ত্বকের ক্ষতির অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়ায়। জেনে নিন, সানস্ক্রিন ব্যবহারে আমরা সাধারণত যেসব ভুল করি...

♦  স্প্রে সানস্ক্রিন ব্যবহার করা অনেক সহজ। তবে এফডিএ বলছে, এগুলো ত্বককে সমানভাবে ঢেকে রাখে না, ফলে অনাবৃত অংশে রোদে পোড়ার আশঙ্কা থেকেই যায়। তাই যখন স্প্রে করবেন, তখন তা সমানভাবে ঘষুন। আর মুখমন্ডলে স্প্রে সানস্ক্রিন ব্যবহারের ক্ষেত্রে হাতে স্প্রে করে তারপর তা মুখে প্রয়োগ করুন।

♦  সানস্ক্রিন লোশন ব্যবহার করার সময় অবশ্যই এর মেয়াদ আছে কি না দেখে নেবেন। কারণ, মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধের মতো সানস্ক্রিনও ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। তাই যারা নিয়মিত সানস্ক্রিন ব্যবহার করেন না, তারা সানস্ক্রিন ব্যবহারের আগে মেয়াদে চোখ বুলিয়ে নিন।

♦  সানস্ক্রিনের ব্যবহার করা নিয়ে আমাদের অনেকের মনেই অনেক প্রশ্ন রয়েছে। ত্বককে আরও সুরক্ষিত রাখার জন্য মেকআপের ওপরে সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত। এতে ত্বক আরও ভালো থাকে।

♦  অনেকেই মনে করেন, সানস্ক্রিন গরমের হাত থেকে ত্বককে বাঁচায়। তাই তারা ঘরেও এটি ব্যবহার করেন। ধারণাটি ভুল। সানস্ক্রিন সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির হাত থেকে ত্বককে বাঁচায়। তাই ঘরের ভিতরে বা অফিসে থাকাকালীন সানস্ক্রিন ব্যবহার করা ঠিক নয়।

♦  সারা শরীরে সানস্ক্রিন ব্যবহার করা ঠিক না। শরীরের যে অংশে সূর্যের আলো পড়ে, সেসব জায়গায় ব্যবহার করতে হয়। শরীরের যেসব জায়গা ঢাকা থাকে সেখানে সানস্ক্রিন ব্যবহার উচিত নয়।

♦  আরেকটি সাধারণ ভুল হলো এসপিএফ কী তা না জানা। এটি সানস্ক্রিনের সূর্য সুরক্ষা ফ্যাক্টর। সংখ্যাটি নির্দেশ করে যে সানস্ক্রিন কতটা UVB আলো ফিল্টার করতে পারে। কোনো সানস্ক্রিন ১০০ শতাংশ সুরক্ষা দেয় না, তবে SPF ১০০ বেশ কাছাকাছি বা সঠিকভাবে প্রয়োগ করা হলে, সানস্ক্রিন ত্বকের ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকাংশে কমাতে পারে।

তথ্যসূত্র : ভ্যানিটি ফেয়ার