চোখের মতো মুখের সৌন্দর্য নাক। কেননা, কেউ মুখ বাড়ালে আগে নাকটাই এগিয়ে আসে। সেই নাকের শেপ ঠিক করে, সুন্দর করে মেকআপ করে নোজ রিং পরিয়ে সাজিয়ে তো দিতে হবেই।

এক সময় মেকআপ মানেই ছিল মুখে ভারী ফাউন্ডেশন আর ব্লাশনের কড়া ব্যবহার। তবে ফ্যাশনের হাল পরিবর্তনে মেকআপ করার ধাপে যোগ হয়েছে ভিন্ন ভিন্ন সব পদ্ধতি। এখন ফাউন্ডেশন করার আগে আরও কয়েকটি ধাপ মানতে হয়। এমনকি মুখের প্রতিটি অংশ যেমন নাক, চোখ, গালে আলাদা সব মেকআপ সামগ্রী ব্যবহার করা হয়। আর ব্যবহারের আগে সঠিক নিয়ম জানাও গুরুত্বপূর্ণ। মুখের মেকআপ শুরুর আগে নাকের কন্টুরিং খুব দরকার। তবে নাকের কন্টুরিং করার আগে খেয়াল করুন, নাকের শেপ কেমন। কন্টুরিংয়ের সঙ্গে সঙ্গে হাইলাইট করাও দরকার। কিন্তু কীভাবে করবেন রইল পরামর্শ।

কোন নাকে কেমন নকশা

ফ্যাট নাক : আপনার নাক যদি লম্বা-চওড়া হয়, তাহলে বুঝবেন ফ্যাট নাক। এ ক্ষেত্রে নাকের ব্রিজের দুই পাশ দিয়ে সোজা নাকের টিপ পর্যন্ত কন্টুরিং করুন। আর নাকের ব্রিজের ওপর নাকের ঠিক মাঝখানে হাইলাইটার লাগান।

চওড়া নাক : অনেকের নাক খুব বড় আর চওড়া হয়। সে ক্ষেত্রে দুই ভ্রুর এন্ডপয়েন্ট থেকে কন্টুর লাইন টানা শুরু করে, নাকের মাথায় এসে দাগটা মিলিয়ে দিতে হবে। মনে রাখবেন, দুই পাশের নাকের ফুটোর ওপরে এসে কন্টুরিং শেষ হবে। এতে চওড়া ভাব কেটে যাবে।

গোল নাক : অনেকের নাকের মাথাটা গোল টোপলার মতো হয়। তারা নাকের দুই পাশে ভ্রু যেখান থেকে শুরু হচ্ছে, সেখান থেকে কন্টুরিং লাইন শুরু করে নাকের মাথা পর্যন্ত আসুন। এবার নাকের মাথায় দুই পাশে দুটো ফার্স্ট ব্র্যাকেটের মতো দাগ টানুন। কন্টুরিং করার পর, নাকের দুই পাশের লাইনের মাঝের অংশে হাইলাইট অ্যাপ্লাই করুন। এবার মেকআপ ব্রাশ দিয়ে ভালো করে নাকের মেকআপটা ব্লেন্ড করুন। এতে নাক তো লম্বা দেখাবে।

টিপস...

♦ ছোট্ট হীরের নাকছাবি যে কোনো শেপের নাকেই ভালো মানাবে।

♦ যদি নাক হয় বড় ও চওড়া তাহলে পোশাকের সঙ্গে মানানসই কোনো রঙের স্টোন পরতে পারেন।

♦ লম্বা, টিকালো নাকে সিম্পল হুপ্স খুব ভালো মানাবে।

♦ ছোট্ট, পয়েন্টেড নাকে সিম্পল মুক্তো বা লুপ নোজ রিং পরতে পারেন, সুন্দর দেখাবে।

♦ নাকের শেপ একটু বড় আর লম্বা হলে ফুলের স্টাড মানাবে।

♦ ছোট্ট তিলতিলে নাকে লুপ-স্টাজ নোজ রিং পরবেন।

লেখা : সাদিয়া সারা