বুধবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

লিপস্টিক কেনার আগে...

লিপস্টিক কেনার আগে...

মডেল : নিশি

সাজগোজের ক্ষেত্রে লিপস্টিকের ব্যবহার অনেক বেশি। এটি ঠোঁটের সৌন্দর্য বাড়ায়। দেখায় আবেদনময়ী। তবে অনেক নারী এই প্রসাধনীর গুণগত বৈশিষ্ট্য না জেনে ব্যবহার করে থাকেন। এতে ক্ষতির আশঙ্কা বেশি। তাই ভালো মানের এবং আপনাকে মানাবে এমন লিপস্টিক কেনা জরুরি। নিজের টোন, ঠোঁটের আকার এবং লিপস্টিকের পিগমেন্টেশন আর মান সম্পর্কে ধারণা থাকলে লিপস্টিক কেনা বেশ সহজ হয়ে যায়। দেখে নিন সঠিক লিপস্টিকটি কেনার ক্ষেত্রে বিবেচ্য বিষয়...

 

লিপস্টিকের ধরন

লিপস্টিকেরও নানা প্রকারভেদ রয়েছে। তবে কেনার আগে ত্বকের বা ঠোঁটের ধরনের ওপর নির্ভর করবে কেমন লিপস্টিক পরবেন। লিপস্টিক বিভিন্ন ধরনের হয়- ফুল ম্যাট, সেমি ম্যাট/ক্রিমি, গ্লসি/লিকুইড। ত্বক তৈলাক্ত হলে গ্লসি লিপস্টিক বেমানান। এতে পুরো মুখ তৈলাক্ত দেখায়। যা দেখতে খুব একটা ভালো লাগে না। তাই তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ম্যাট বা সেমি ম্যাট লিপস্টিকই ভালো। যাদের ত্বকের ধরন শুষ্ক প্রকৃতির তারা ঠোঁটে গ্লসি, শিমারি বা ফ্রস্টেড টেক্সচারের লিপস্টিকগুলো ব্যবহার করতে পারেন। যাদের ত্বক স্বাভাবিক তারা সব রকম লিপস্টিকই ব্যবহার করতে পারেন। ক্রিমি টেক্সচারের লিপস্টিক শুষ্ক ত্বক বা ঠোঁটের অধিকারীদের জন্য ভালো। যাদের ঠোঁট পাতলা তারাও এটি ব্যবহার করতে পারেন।

 

উপাদান দেখে নিন

প্রতিটি লিপস্টিকের মোড়কে নানা উপাদানের কথা উল্লেখ থাকে। এসব উপাদান আপনার ত্বকের সঙ্গে উপযোগী কি না এটা মিলিয়ে তার পরই লিপস্টিক কিনুন। বাজারে প্রচলিত অনেক লিপস্টিকে থ্যালেট, লেড বা সিসার মতো উপাদান বিদ্যমান থাকে। আবার অনেক কোম্পানি প্রসাধনীতে এমন কিছু প্রিজারভেটিভ ব্যবহার করে যা অনেক সময় ত্বকের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে।

 

ত্বকের আন্ডারটোন

ত্বকের আন্ডারটোন অর্থাৎ ত্বকের ভিতরকার রং সম্পর্কে জানা লিপস্টিক কেনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আপনি ওয়ার্ম আন্ডারটোনের হলে কমলা বা লালচে রং ঘেঁষা বাদামি, কমলা, খয়েরি টোনের লিপস্টিকগুলোতে চমৎকার দেখাবে। আর কুল আন্ডারটোনের যারা তাদের লাল, বেগুনি, গোলাপি টোনের লিপস্টিকে দারুণ মানায়।

 

আরও যা যা খেয়াল করবেন

কোনো লিপস্টিক কেনার সময় যদি দেখেন লিপস্টিকের সিল ওপেন করা অথবা তা থেকে যদি কোনো বিকট গন্ধ আসে তাহলে বুঝবেন এটি মেয়াদোত্তীর্ণ। একটি লিপস্টিকের মেয়াদ থাকে ১ থেকে দেড় বছরের মতো। মেয়াদোত্তীর্ণ লিপস্টিক কোনোভাবেই ব্যবহার করবেন না। এ ছাড়া  ঠোঁটে লাগানোর আগে টিস্যু পেপার দিয়ে লিপস্টিকটা মুছে নিন। কারণ এটি অনেকেরই ব্যবহৃত। মুছে নিলে ঠোঁটে ইনফেকশন হওয়ার আশঙ্কা থাকবে না। লিপস্টিক ঠোঁটে লাগানোর পর যদি কোনো রকম অস্বস্তি হয় তবে তা যত ভালোই লাগুক না কেন, কিনবেন না।

 

লিখেছেন : উম্মে হানি

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর