শীত বিদায় নিয়েছে। আর বসন্ত মানেই না শীত, না গরম। ফলে এ সময়ে তরুণদের অনেকেই ফুলস্লিভ শার্ট কিংবা ফরমাল শার্টে আরাম খোঁজেন। মূলত জিন্স, গ্যাবাডিন বা অন্য যে কোনা প্যান্টের সঙ্গে ফরমাল শার্ট যেমন মানিয়ে যায়, তেমনি কেডস, স্নিকারস বা অন্য যে কোনো জুতার সঙ্গেও ফরমাল শার্ট বেশ যায়। আর সেজন্যই অনেক তরুণের এখন হালের ফ্যাশন হিসেবে ফরমাল শার্ট পছন্দ।
ফ্যাশন ডিজাইনার জামি আকনে বলেন, যুগ যুগ ধরে ফ্যাশন ডিজাইনাররা বিভিন্ন ঋতুভেদে বিভিন্ন পোশাক ডিজাইন করছেন। তারই ধারাবাহিকতায় আমরাও ঋতুভেদে বিভিন্ন পোশাক ডিজাইন করে থাকি। এ সময়টায় আমরা হাফ শার্টের ওপর নজর দিয়ে থাকি, বিশেষ করে সাদার ওপর ডিজাইন করা ও বিভিন্ন ফ্লোরাল ডিজাইনের শার্ট ইদানীং চলছে। তাই এ ধরনের ডিজাইন করে থাকি। তা ছাড়া অফিসের লোকের কথা চিন্তা করে ফুলহাতা শার্ট তৈরি করা হয়।
কটন, ফাইন কটন, লিনেন, অক্সফোর্ড ফেব্রিক, পিন পয়েন্ট অক্সফোর্ড ফেব্রিক, পপলিন ফেব্রিকের শার্ট হয়ে থাকে। এসব ফেব্রিকের ভিতর দিয়ে সহজে বাতাস চলাচল করে। গরম কিংবা বৃষ্টির দিনে এ ধরনের কাপড়ের শার্ট বেছে নিতে পারেন। এমন দিনে আরাম পেতে সাদা, অফ হোয়াইট, নীল, লাইট পার্পেল, হালকা জলপাই, আকাশি, হালকা গোলাপি, হালকা নীল, বাদামি, হালকা হলুদ, ধূসর ইত্যাদি রঙের শার্ট বেছে নিতে পারেন। ফরমাল মিটিং ও অফিসে পরার জন্য এক রঙা শার্ট কিন্তু মন্দ হবে না। ক্যাজুয়ালি পরার জন্য বিভিন্ন প্রিন্টের শার্ট বেছে নিতে পারেন। ফ্যাশন হাউসগুলোও এ ধরনের রংগুলোকে প্রাধান্য দিয়ে শার্ট নিয়ে এসেছে। এ সময়ে ফ্যাশন হাউসগুলো চেক, স্ট্রাইপসহ বিভিন্ন ডিজাইনের শার্ট নিয়ে এসেছে। এক রঙের শার্টের পাশাপাশি অন্যান্য ডিজাইনও আছে। তরুণ প্রজন্মের কাছে প্রিন্টের শার্টে জ্যামিতিক মোটিফ বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।