বুধবার, ১২ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

ঈদের শাড়ি

ঈদের শাড়ি

♦ পোশাক ও ছবি : রঙ বাংলাদেশ

ঈদে মেয়েদের পোশাকের ঢং আর ফ্যাশনে দেখা যাচ্ছে নতুনত্ব। ঈদের সারা দিন ও গরমের কথা মাথায় রেখেই করা হয়েছে শাড়ির নকশা। সিল্ক, হাফসিল্ক, তাঁত ও মসলিন শাড়িগুলোতে স্ক্রিন প্রিন্ট, ব্লক, কাঁথার ফোঁড় ও অ্যামব্রয়ডারির কাজ করা হয়েছে। তাঁতিদের নিজস্ব ডিজাইনের জামদানি, টাঙ্গাইল ও কাতান শাড়িও আছে। ব্যবহার করা হয়েছে জারদৌসি, কারচুপি, কাটওয়ার্ক ও প্যাচওয়ার্ক। শাড়ির রঙেও এবার দারুণ বৈচিত্র্য লক্ষণীয়।

 

ঈদে শাড়ির প্রতি বাড়তি আগ্রহ থাকে মেয়েদের। তাই শাড়িতে ফ্যাশনের সঙ্গে থাকছে আরামের দিকটাও। ঈদ উৎসবে মেয়েদের দেশি শাড়ির প্রতি আগ্রহ থাকে বেশি। সাদামাটা সুতির শাড়ি যেমন মিলছে, তেমনি পাওয়া যাচ্ছে সিল্ক, হাফসিল্ক, জর্জেট, সিকোয়েন্স, বলাকা, অ্যান্ডি, লিনেন, মসলিন, শিফনসহ অন্যান্য কাপড়ের ওপরে ফুলেল নকশার উজ্জ্বল অ্যামব্রয়ডারি করা শাড়িও। অ্যামব্রয়ডারি ছাড়াও প্রিন্টের কাজ করা বর্ণিল নকশার শাড়িও এসেছে বেশ। আছে টাইডাই করা শাড়িও। আঁচল ও পাড়ে থাকছে নকশা।

 

চিকন ও মোটা দুই রকম পাড়ের শাড়িই পাওয়া যাবে এবার ঈদে। আঁচল ও পাড়ে চিকন কারি, জরি, চুমকি ও পাথরের কাজ করেও ভিন্নতা আনা হয়েছে। শাড়ির ছোট পাড়, বড় পাড়, কখনো কুঁচিতে ডিজাইন, কখনো বা আঁচলে নকশার প্রাধান্য পেয়েছে। কাজের মাধ্যম হিসেবে ব্লকপ্রিন্ট, অ্যামব্রয়ডারি, হাতের সেলাই, কারচুপি, হ্যান্ড পেইন্টের দেখা মিলছে। রঙ বাংলাদেশের স্বত্বাধিকারী সৌমিক দাস বললেন, ‘ঈদুল ফিতরের ওরিয়েন্টাল ধারাটাকে এবারও বজায় রেখেছি আমরা। ধারা এক থাকলেও নতুন আঙ্গিকে সাজানো হয়েছে এই ঈদের পোশাক। বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও ধর্মীয় আবহের পাশাপাশি এখনকার আবহাওয়া ও আন্তর্জাতিক ধারাও গুরুত্ব পেয়েছে।’

 

যে কোনো উৎসবের পোশাকে রং আলাদা গুরুত্ব পায় ডিজাইনারদের কাছে। রঙের মধ্যে আছে গাঢ় মেরুন, ম্যাজেন্টা, চাপা সাদা, সাদা, সবুজ, হলুদ, কমলা, ফিরোজা, বেগুনি, চেরি রেড, ল্যাভেন্ডার, সোনালিসহ নীলের নানা শেড। সব রঙেই পরিমিতিবোধ রয়েছে। দিনের বেলায় পরার জন্য হালকা রং আর রাতে অনুষ্ঠানের জন্য একটু জমকালো গাঢ় রং- এভাবেই তৈরি করা হয়েছে শাড়িগুলোর নকশা। সারা লাইফস্টাইল প্রতিবারের মতো এই ঈদেও বর্ণিল পোশাক নিয়ে এসেছে। প্রতিষ্ঠানটির সিনিয়র ডিজাইনার মো. শামীম বললেন, ‘উৎসবে পোশাকে নতুনত্বের পাশাপাশি আরামের দিকটাও বেশি দেখা হয়। এ জন্য আরামদায়ক কাপড় ও কাটিংয়ের ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। পোশাকে নকশা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে স্ক্রিনপ্রিন্ট, ব্লকপ্রিন্ট, হাতের কাজ, ডাই, কারচুপিসহ বিভিন্ন ভ্যালু অ্যাডেড মিডিয়ার ব্যবহার। সারা দিনের গরমে আরাম পেতে ক্রেতারা সুতিকে প্রাধান্য দিলেও সন্ধ্যারাতের পার্টির জন্য কিনছেন একটু ভারী কাজের শাড়ি। টাঙ্গাইল শাড়ি কুটিরের প্রতিষ্ঠাতা ও ডিজাইনার মুনিরা এমদাদ বলেন, ‘এবার সুতি ও ভেজিটেবল ডাই শাড়িগুলো বেশি চলবে। সিল্কের ওপর শিবরি, টাইডাই, অ্যামব্রয়ডারি, ব্লক ইত্যাদি রয়েছে।’

শাড়ি কিনতে যেতে পারেন চাঁদনী চক, ধানমন্ডি হকার্স, মিরপুর বেনারসি পল্লী, নিউমার্কেট, বসুন্ধরা সিটি, যমুনা ফিউচার পার্ক এবং দেশের মার্কেটগুলোতে।

লেখা : সাদিয়া সারা

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর