গরমে অনেকের ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও স্লিভলেস পরতে পারেন না। কারণ আন্ডারআর্মের কালচে দাগ। প্রায় সত্তর শতাংশ মানুষের আন্ডারআর্মের কালোভাবের সমস্যা আছে। কখনো নিজের ভুলে, কখনো অপরিচ্ছন্নতা, আবার কখনো বংশগত কারণে বাহুমূলের কালচে ভাব দেখা যায়। সমস্যা সমাধানে অনেকে চেষ্টারও কমতি রাখেন না। কেউ মেকআপ করে কালোভাব দূর করার চেষ্টা করেন, কেউ আবার কালচে স্থানে বারবার সাবান ঘষেন। যদিও কারণ না জেনে বৃথা চেষ্টায় সমস্যার সমাধান হয় না।

বিখ্যাত চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. হর্ষনা বিজলানি বলেন, শরীরের সবচেয়ে অবহেলিত অংশ আন্ডারআর্ম। নানা কারণে এ অংশে কালোভাব দেখা দিতে পারে। সাধারণত স্কিন কেয়ার প্রোডাক্টের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থেকে শুরু করে শেভিংয়ের পরে এ অংশ জ্বালাপোড়া করে। তাতে আন্ডারআর্মে লালভাব এবং সংক্রমণ হতে পারে।

কেন এমনটা হয়?

♦ ত্বকের এই সংবেদনশীল অংশে ডিওডোরেন্ট ব্যবহারে অ্যালার্জি হতে পারে, ফলে আন্ডারআর্মে জ্বালা, লালভাব দেখা দিতে পারে।

♦ আন্ডারআর্মের ডিটারজেন্ট, বডি লোশন এবং অন্যান্য পণ্য ব্যবহারে পার্শ¦-প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে, যা কন্টাক্ট ডার্মাটাইটিস সৃষ্টি করে। এটি জ্বালা, লালভাব, চুলকানি বাড়িয়ে তোলে।

♦ আঁটসাঁট পোশাক পরলে বা বারবার হাতের নড়াচড়ার ফলে আন্ডারআর্মের ঘর্ষণ হতে পারে, ফলে লালচেভাব, কালোভাব দেখা দিতে পারে।

সমস্যার সমাধান

হালকা, সুগন্ধিমুক্ত ক্লিনজার বা বডি ওয়াশ দিয়ে আন্ডারআর্মের অংশ পরিষ্কার করুন। কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন এবং পরিষ্কার তোয়ালে দিয়ে শুকিয়ে নিন। সপ্তাহে দুবার আন্ডারআর্মকে আলতোভাবে এক্সফোলিয়েট করতে একটি ফেস স্ক্রাব ব্যবহার করা যেতে পারে। পাশাপাশি অ্যালকোহলমুক্ত ময়েশ্চারাইজার প্রয়োগ করে আন্ডারআর্মের এই অংশকে হাইড্রেটেড রাখুন। এটি ত্বকের মসৃণতা বজায় রাখতে এবং জ্বালাপোড়া কমাতে সাহায্য করবে। আন্ডারআর্মে ভারী সুগন্ধযুক্ত সাবান ব্যবহার করবেন না। এটি ত্বকের প্রাকৃতিক তেল ধুয়ে নেবে। ফলে শুষ্কতা বা জ্বালা দেখা দিতে পারে। এর পরিবর্তে হালকা, সুগন্ধিমুক্ত ক্লিনজার বা মৃদু বডি ওয়াশ বেছে নিন। আর হ্যাঁ, আন্ডারআর্মে ডিপ এক্সফোলিয়েটিং স্ক্রাব বা লুফা ব্যবহার করবেন না। কারণ এগুলো জ্বালা সৃষ্টি করতে পারে। তবে মৃদু স্ক্রাবিং বা নরম ওয়াশক্লথ ব্যবহার করতে পারেন। যা ত্বকে জ্বালা তৈরি না করে মৃত কোষগুলো অপসারণ করতে সাহায্য করবে। অ্যালকোহলযুক্ত ডিওডোরেন্ট আন্ডারআর্মের ত্বকে শুষ্কতা এবং জ্বালাপোড়া সৃষ্টি করতে পারে। তবে এর বিকল্প হিসেবে, দুর্গন্ধ নিয়ন্ত্রণে অ্যারোরুট পাউডার বা এসেনশিয়াল অয়েলের মতো উপাদান ব্যবহার করতে পারেন।

লেখা : সাদিয়া সারা