বুধবার, ৩০ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

এই সময়ে সুতি পোশাক...

এই সময়ে সুতি পোশাক...

♦ পোশাক ও ছবি : রঙ বাংলাদেশ

বৃষ্টির স্বস্তি থাকলেও গরম বেশ পড়েছে এবার। তপ্ত আবহাওয়ায় আরামদায়ক পোশাক কিছুটা স্বস্তি এনে দিতে পারে। এ কাজে সুতি কাপড়ের জুড়ি নেই। সুতি ঘাম শুষে নিয়ে শরীরকে সতেজ রাখে

 

ভাদ্রের তালপাকা গরম পড়ছে সমগ্র বাংলাদেশে। এমন দিনে আরাম মেলে সুতির পোশাকে। সুতির পোশাকের সুবিধা, মানিয়ে যায় সব জায়গাতেই। অফিসে, পরিবার বা বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে গেলে ফ্যাশনেবল দেখায় ভিন্ন ধাঁচের সুতি পোশাকে। আবার এ পোশাকের নকশায় সহজেই ফুটে ওঠে দেশজ ঐতিহ্য আর হাল ফ্যাশনের আধুনিকতা।

 

অনেকের ধারণা, সুতি কাপড়ের পোশাকে নিজেকে স্টাইলিশভাবে উপস্থাপন করা যায় না। আসলে ধারণাটা ভুল। সম্প্রতি বিয়ের সাজে তাসনিয়া ফারিণকে লাল রঙের জামদানি শাড়ি পরতে দেখা যায়। যা নেট দুনিয়ায় বেশ সাড়া জাগিয়েছে। সাদামাটা জামদানিতে বিয়ের আয়োজন মুগ্ধ করেছে কোটি কোটি ভক্তকে। একইভাবে সুতির আবেদন কম নয়। যে কোনো আয়োজনে সুতির পোশাক আনে আবেদনময়ী লুক। পাশাপাশি দেবে আভিজাত্যের ছোঁয়া।

 

সুতি কাপড় শুরু থেকেই স্বস্তি দিয়ে আসছে মানুষকে। প্রযুক্তির উৎকর্ষের সঙ্গে সঙ্গে সুতির বুননেও যোগ হয়েছে আধুনিকতা। এখন আরও রেশমি ও মিহি করে সুতি কাপড় বোনা হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে রঙ বাংলাদেশের স্বত্বাধিকারী সৌমিক দাস বলেন, ‘সুতি কাপড়ের সুতা মূলত প্রাকৃতিক তন্তু দিয়ে তৈরি। রেশম গুটি, কার্পাস তুলার মতো প্রাকৃতিক নানা উৎস থেকে আসে এর উপাদান। আগে শুধু তাঁতের সাহায্যে সুতি বোনা হতো। এখন স্পিনিং ও নিটিংয়ের মাধ্যমে সুতির সুতা মজবুত ও মসৃণ করা হচ্ছে। এই সুতা দিয়েই তৈরি হচ্ছে আমাদের সুতি কাপড়ের সব ধরনের পোশাক।

 

সুতি কাপড়ের সঙ্গে এখন অন্যান্য উপাদানের মিশ্রণ ঘটানো হচ্ছে। এতে সুতির পোশাকে যোগ হচ্ছে নতুন নতুন বৈচিত্র্য। সুতির সঙ্গে প্রাকৃতিক ও রাসায়নিক উপাদানের মিশ্রণে লিনেন, ফ্লানেল, এন্ডির মতো আরামদায়ক কাপড়ও বোনা হচ্ছে। এতে সুতির পোশাক পাচ্ছে নতুন নতুন রূপ। অঞ্জনসের স্বত্বাধিকারী শাহিন আহমেদ বললেন, ‘সুতির সঙ্গে এখন অন্যান্য উপাদানের মিশ্রণ ঘটানোর ফলে নতুন ধরনের কাপড় পাচ্ছি আমরা। এসব কাপড়ে তৈরি পোশাকগুলো আরও বেশি মসৃণ ও মজবুত হচ্ছে। পোশাকে নতুনত্ব আসছে। ব্যবহারেও আরাম ও বৈচিত্র্য যোগ হচ্ছে।

 

সুতির পোশাকের কলার ও হাতার কাজেও রয়েছে ভিন্নতা। কোনোটার কলার একটু উঁচু; কোনোটার গলা গোল, কোনোটার আবার ভি-আকৃতির। কোনোটার গলার সামনে ও পেছনে খানিকটা বাড়তি অংশ। ব্যবহার করা হয়েছে সামনে কলার, পেছনে ফিতা।

পাজামার বেলায়ও এখন নানা রকম কাট। ঘারারা, ফ্লেয়ার প্যান্ট, ধুতি প্যান্ট, পাতিওয়ালা সালোয়ার, হারেম প্যান্ট ছাড়াও সাধারণ স্কার্ট, র‌্যাপ স্কার্ট (পাজামার মতো দুই পায়ে আলাদাভাবে জড়িয়ে থাকে) বানানো হচ্ছে সুতি কাপড় দিয়ে। চেক ও একরঙা কাপড়ের যুগপৎ ব্যবহার সাধারণ স্কার্টের ডিজাইনে এনেছে অনন্যতা।

সুতির পোশাক আরামদায়ক। সব ঋতুতেই সুতি কাপড়ের জুড়ি নেই। সুতি পোশাকের আরেকটি গুণ, এটি নারী-পুরুষ-ছোট-বড় নির্বিশেষে সবার মধ্যেই একটি মার্জিত ভাব প্রকাশ করে। বিশেষজ্ঞরা জানালেন, সুতি পোশাক আরামদায়ক, সহজেই ঘাম শুষে নিতে পারে। কৃত্রিম তন্তুর তৈরি পোশাক সেভাবে ঘাম শোষণ করতে পারে না। আবার খাদি কাপড় সুতি হলেও সেটি মোটা। সুতি কাপড়ের আরেকটি সুবিধা হচ্ছে সহজলভ্য। সাশ্রয়ী মূল্যে সুতি কাপড়ের পোশাক কেনা যায়। সুতির অন্য সব পোশাকের মতো সুতির শাড়িও দামে কম, আবার দেখতেও সুন্দর।

 

লেখা : লাইফস্টাইল ডেস্ক

সর্বশেষ খবর