বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

সেলিব্রেটিদের ফ্যাশনে লম্বা চুলের কদর

সেলিব্রেটিদের ফ্যাশনে লম্বা চুলের কদর

লম্বা চুল ছোট করে রাখা কিংবা হেয়ার কাটিংয়ের মাধ্যমে চেহারায় এক্সপেরিমেন্ট করার তাগিদকে বেশ আকর্ষিক মনে হতে পারে, তবে একাল-সেকাল; সব সময়ের সেলিব্রেটিদের প্রথম পছন্দ কিন্তু লম্বা কেশ। হলিউড কিংবা বলিউড; সিনেমাপাড়ার এ অঙ্গনের বেশিরভাগ সেলিব্রেটি লম্বা চুল আলিঙ্গনের অনুপ্রেরণা প্রদান করেন। বিষয়টিকে এভাবে ভেবে দেখুন, লম্বা চুল মানে আপনার জন্য লম্বা একটি পরীক্ষা। একে সাজানোর জন্য বিশাল এক ক্যানভাস। উদ্ভট হেয়ারডস থেকে শুরু করে পাগলাটে রঙের হাইলাইট, সবই সম্ভব লম্বা চুলের জমিনে।

সময় কিংবা আয়োজন যেমনই হোক বিভিন্ন উপায়ে লম্বা চুলের স্টাইল করা যেতে পারে। জাহ্নবী কাপুর, প্রিয়াঙ্কা চোপড়া এবং তাপসী পান্নুর মতো যে কোনো পোশাকের সঙ্গে লম্বা চুলের স্টাইলে নিজেকে রাঙিয়ে তুলতে পারেন। লম্বা চুলের জন্য তাদের যে কোনো ফ্যাশনে নিজেদের সৌন্দর্যকে ফুটিয়ে তুলতে পারেন। অথবা নাওমি ক্যাম্পবেল কিংবা কিম কার্দিশিয়ানের মতো আকর্ষণীয় সৌন্দর্যকেও অর্জন করে নিজেকে অনায়াসে অনন্যা করে তুলতে পারেন। যারা গ্ল্যামারের বাড়তি ছোঁয়া খুঁজছেন তাদের জন্য, লম্বা চুলের ফ্যাশন দিতে পারে নানা স্টাইলের সম্ভার। এক কথায়,  আপনি যে স্টাইলে নিজেকে রাঙিয়ে তোলেন না কেন; একটা বিষয় নিশ্চিতভাবে বলা যায়, লম্বা চুল সবসময়ই নিরবধি নমনীয়তা এবং বহুমুখিতার প্রতীক।

 

আর হ্যাঁ, প্রাকৃতিকভাবেই চুল বাড়ে। তবে এর জন্য সঠিক যত্ন দরকার। এসব কারণে চুলের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। যার মধ্যে অন্যতম রাসায়নিক উপাদানের ব্যবহার। যেমন : চুলের কালার, প্যাক, শ্যাম্পু, কন্ডিশনার ও হেয়ার প্লান্টেশনে রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা হয়। এগুলো চুলের বৃদ্ধিতে বাধা দেয়। অন্যদিকে, বিভিন্ন ওষুধ সেবনের কারণে চুল লম্বা হতে পারে না। তবে সেক্ষেত্রে ব্যতিক্রম প্রাকৃতিক উপাদান। চুলে প্রাকৃতিক উপাদানের ব্যবহারে মাথার ত্বকে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক থাকে, স্নায়ু সক্রিয় হয়। চুলের দ্রুত বৃদ্ধি ঘটে। এক্ষেত্রে প্রাকৃতিক উপাদান যেমন: গ্রিন টি, গ্রেপসিড অয়েল, আলু এমনকি ডিমের তৈরি হেয়ার মাস্কও ব্যবহার করতে পারেন।

পরামর্শ :

► চুল দীর্ঘ করতে প্রতিদিন ৮ থেকে ৯ গ্লাস পানি নিয়মিত পান করুন।

►  পুষ্টিকর ও ভিটামিনযুক্ত খাদ্য গ্রহণ।

►  তাপ এড়িয়ে চলুন। প্রয়োজনে হিট প্রটেক্টর ব্যবহার করুন।

►  প্রতিদিন চুলের যত্ন নিন। রাসায়নিক উপাদানের প্রোডাক্ট এড়িয়ে চলুন। ভালো ব্র্যান্ডের প্রোডাক্ট ব্যবহার করুন।

►  টাইট করে চুল বাঁধবেন না। ঝাড়ার অভ্যাস বাদ দিন। স্টাইলিংয়ে নির্বিচার এক্সপেরিমেন্ট যথাসম্ভব এড়িয়ে চলুন।

►  প্রতিরাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ম্যাসাজ করে তেল লাগান।

►  বিভিন্ন হেয়ার ট্রিটমেন্ট করতে পারেন।

►  সঠিক উপায়ে ব্রাশ করুন।

►  বাইরে বের হওয়ার সময় স্কার্ফ বা ছাতা ব্যবহার করুন।

 

তথ্যসূত্র : ভোগ ম্যাগাজিন

সর্বশেষ খবর