বুধবার, ৪ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

তারুণ্যে ট্রেন্ডি ওয়েস্টার্ন

তারুণ্যে ট্রেন্ডি ওয়েস্টার্ন

পোশাক : বর্ণন লাইফস্টাইল, ছবি : তপু রেহমান

পশ্চিমা সাজপোশাকে প্রতিনিয়ত যা বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছে তা হলো ওয়েস্টার্ন ফ্যাশন। পাঁচ থেকে পঁয়ষট্টি; সব বয়সীর পছন্দের তালিকায় রয়েছে ওয়েস্টার্ন পোশাক। তাই তো ফ্যাশনে এখন পশ্চিমাদের জয়জয়কার

ফ্যাশন নিয়ে ভাবেন না- এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। ইন্টারনেট, ফেসবুক, টিভি ও বিদেশি ম্যাগাজিনের সহজলভ্যতাসহ বিভিন্ন কারণে বিশ্বের যে কোনো প্রান্তের ফ্যাশন ট্রেন্ড এখন আগ্রহীদের হাতের মুঠোয়। একসময় পোশাকি নামে ওয়েস্টার্ন হিসেবে পরিচিত হলেও- প্যান্ট, শার্ট, টি-শার্ট, কোট, জিন্স, টপস, স্কার্ট এ ধরনের পোশাক কিন্তু এখন আমাদের নিজস্ব পোশাকে পরিণত হচ্ছে। শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ এমনকি পাশের দেশগুলোর প্রচলিত লেহেঙ্গা, আনারকলি ডিজাইন প্রভৃতিকে ছাপিয়ে ফ্যাশন এখন পাশ্চাত্যমুখী। আর এই ধারার সঙ্গে তাল মিলিয়ে ফ্যাশন ডিজাইনাররাও প্রতিনিয়ত প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের মিশেলে আনছেন নিত্যনতুন ডিজাইন।

 

পাশ্চাত্যের ডিজাইনের মধ্যে এ সময়ে সবচেয়ে বেশি দেখা যাচ্ছে টপসের ব্যবহার। বিভিন্ন কাটিং ও প্যাটার্নে তৈরি হচ্ছে টপস। কখনো গলায়; কখনো হাতায় অথবা বটমলাইনে থাকছে প্যাটার্ন বৈচিত্র্য। ফ্লোরাল ও সিঙ্গেল কালারের কাপড়ের ব্যবহারই বেশি দেখা যায়। জর্জেট, লিলেন, সুতি কাপড়ের ব্যবহার বেশি হচ্ছে টপসের ক্ষেত্রে। সিমপ্লিসিটি হচ্ছে টপসের মূল বৈশিষ্ট্য। সব ধরনের অনুষ্ঠানে টপস সহজেই মানিয়ে যায়। বেসিক প্যাটার্ন ও ফ্রককাট চলছে মূলত। সেই সঙ্গে ঢোলা, কার্ভস্লিভ, বেলস্লিভ ডিজাইন উল্লেখযোগ্য। পাশাপাশি রয়েছে টিউনিক। ব্লাউজ স্টাইল কিমানো স্টাইল, বাউল নেক, প্লিটসমৃদ্ধ টিউনিকগুলো হাল ফ্যাশনে বেশ জনপ্রিয়। টপস ছাড়া কুর্তিও তরুণীদের কাছে বেশ জনপ্রিয়। এমনকি কামিজ, লং কামিজের প্যাটার্নেও লেগেছে পাশ্চাত্যের ছোঁয়া। দেশি ধারার সঙ্গে যোগ করা হচ্ছে পাশ্চাত্যের ধারা। এসব পোশাকও বেশ জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। প্রজাপতি নকশার প্যাটার্নে তৈরি হয়েছে টিউনিক। লম্বা টপস বা কামিজে থাকছে বিভিন্ন দৈর্ঘ্যর ছাঁট। যেমন- সামনে বেশি ঘের, পেছনে কম আর সামনে দৈর্ঘ্য থাকছে কম, পেছনে লম্বা ঘের নেমে যাচ্ছে গোড়ালি পর্যন্ত। ফতুয়া ও কুর্তায় করা হচ্ছে জ্যামিতিক কাট। গাউন স্টাইলেও করা হচ্ছে কামিজ। ওয়েস্টার্ন গাউনকে দেশি ধাঁচে তৈরি করছে বিভিন্ন ফ্যাশন ব্র্যান্ড। ফ্যাশন ব্র্যান্ডগুলো মেয়েদের বেশ কিছু ডিজাইনের কুর্তি এনেছে। লং প্যাটার্নে প্রিন্টের কাপড় ব্যবহার করা হয়েছে এসব কুর্তিতে। কোনোটাতে থাকছে হালকা অ্যামব্রয়ডারি। নতুনত্ব ও আরামের নিশ্চয়তা থাকায় এগুলো অনেকেই বেছে নিচ্ছেন। আর ট্রেন্ডি পোশাকের সঙ্গে সবচেয়ে মানানসই জিন্স ও পালাজ্জো। পালাজ্জো কয়েক বছর ধরেই বেশ জনপ্রিয়। শর্ট বা লং কুর্তি, টপস বা সাধারণ কামিজের সঙ্গেই হোক- পালাজ্জো সবটার সঙ্গেই মানিয়ে যায়। সব বয়সীরা অনায়াসে ব্যবহার করতে পারেন পালাজ্জো। এ ছাড়াও টপস বা সিঙ্গেল কামিজের সঙ্গে অনেকেই বেছে নিচ্ছেন ন্যারো শেপ জিন্স। তবে এগুলো ছাড়াও লং স্কার্টও বেশ ব্যবহার হচ্ছে কয়েক বছর ধরেই। টপস, টিউনিক, ফতুয়া এমনকি কামিজের সঙ্গেও অনেকে বেছে নেন লং স্কার্ট। বলা যায়, ট্র্যাডিশনাল শাড়ি ও সালোয়ার-কামিজের বাইরে যেসব পোশাক তৈরি হয়েছে সেগুলোর বেশির ভাগেরই প্যাটার্ন ও ডিজাইনে থাকছে পাশ্চাত্যের ছোঁয়া। বাংলাদেশে বিভিন্ন ফ্যাশন ব্র্যান্ড যেমন- ইয়োলো, আড়ং, সেইলর, ক্যাটস আই, এক্সট্যাসি, ওয়েসটেক, বর্ণন ইত্যাদি তরুণদের জন্য তৈরি করছে বিভিন্ন ট্রেন্ডি পোশাক। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এসব ফ্যাশন।

লেখা : লাইফস্টাইল ডেস্ক

সর্বশেষ খবর