বুধবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

ঠোঁট ফাটার সমস্যা

ঠোঁট ফাটার সমস্যা

ছবি : নেওয়াজ রাহুল

কখনো পোশাকের সঙ্গে মানানসই করে, কখনো বা ট্রেন্ডের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ঠোঁট রাঙানো নিত্যদিনের সাজগোজের অংশ। তবে তাতে ঠোঁট হতে হবে কোমল ও মসৃণ।

কখনো পোশাকের সঙ্গে মানানসই, কখনোবা ট্রেন্ডের গতিপথ ধরে ঠোঁট রাঙানো সাজের অন্যতম অংশ। অনেকে পুরনো ফ্যাশনে বিশ্বাসী না হয়ে ঠোঁটের সাজে আনেন পরিবর্তন। কিন্তু শীত আসল বলে নাগরিক জীবনে এর আবহ বেশ পরিলক্ষিত। প্রকৃতির মতো রুক্ষ হয়ে যাচ্ছে কোমল ঠোঁট। লিপস্টিক থাকলে ঠোঁটের সাজ নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামাতে হয় না। কিন্তু যখন লিপস্টিক থাকবে না, তখন?

আসলে যত যাই বলি ঠোঁটের রুক্ষতার জন্য কেবল শুষ্কতাই দায়ী নয়, নিজের উদাসীনতা এবং অনিয়ন্ত্রিত লাইফস্টাইলও দায়ী। শীত আসলে পানি পান কম হয়। ফলাফল, শরীরে ডিহাইড্রেশন। ফলে ঠোঁট ফাটার সমস্যা দেখা দেয়। তাই প্রচুর পানি পান করা উচিত। আবার বাইরে বেরোলে ঠোঁট ফাটা বাড়তে পারে। সঙ্গে রাস্তার ধুলাবালি প্রতিনিয়ত আমাদের সংবেদনশীল ঠোঁটকে করে নাজেহাল। তাই মাঝেমধ্যে ঠোঁট ধুয়ে লিপবাম লাগান। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, শীতকালে প্রতি দুই ঘণ্টা অন্তর মুখ ধুয়ে লোশন এবং লিপবাম লাগানো উচিত। শীতকালে অনেকেই জিব দিয়ে ঠোঁট ভেজান। এমনটা কখনই করবেন না। ঠোঁট শুষ্ক হয়ে ফেটে যাওয়ার আশঙ্কা এক্ষেত্রে বেশি দেখা দেয়। এ ছাড়া ঘরে আর্দ্রতা ধরে রাখার যন্ত্র হিউমিডিফায়ার কিনতে পারেন। কারণ, শীতে ঘরের ভিতরটাও শুষ্ক থাকে। হিউমিডিফায়ার ঘরের আর্দ্রতা ফিরিয়ে দেবে। ফাটা ঠোঁটের আর্দ্রতা ফিরিয়ে দেওয়া কঠিন। তাই চেষ্টা করুন ফাটা ঠোঁটকে যতটা সম্ভব আর্দ্র রাখতে। লিপস্টিক ব্যবহারের ক্ষেত্রে ময়েশ্চারাইজারযুক্ত লিপস্টিক বেছে নিন। যদি ম্যাট লিপস্টিক লাগাতেই চান, সেক্ষেত্রে প্রথমে তুলা বা টিস্যুর সাহায্যে সামান্য লিপবাম ঠোঁটে লাগিয়ে নিন এবং তারপর লিপস্টিক লাগান।

ঘরোয়া কিছু উপায় আছে, যা মেনে চললে ঠোঁট হবে নরম, সুন্দর। জেনে নিন সেসব...

♦ আর্দ্রতা হারালে ঠোঁট বিবর্ণ ও কালো হয়ে যায়। তাই ঠোঁটের আর্দ্রতা ধরে রাখতে ভালো লিপবাম খুবই জরুরি। কিন্তু আমরা অনেকেই সঠিক লিপবাম ব্যবহার করি না। ফলে ঠোঁট শুষ্ক হয়ে যায়। ঠোঁটের ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

♦ ঠোঁটের ত্বক খুবই পাতলা, তাই দ্রুত শুষ্ক হয়ে যায়। ফেটে যায়। তাই ঠোঁট ভালো রাখতে প্রতিনিয়ত ঠোঁটের মৃত কোষ দূর করা দরকার। হালকা গরম পানি ও সামান্য মধু মিশিয়ে ঠোঁটে ঘষুন। প্রাকৃতিকভাবেই আর্দ্রতা বজায় থাকবে।

♦ আপনি কী জানেন? রোদে ঠোঁটেরও সানবার্ন হয়! তাই অতি বেগুনি রশ্মি থেকে ঠোঁটকে রক্ষা করা জরুরি। সামান্য সানস্ক্রিন লাগান ঠোঁটেও। তবে সামান্য পানি মিশিয়ে নিন।

♦ ধূমপানের অভ্যাসও কালো ঠোঁটের একটা বড় কারণ। সিগারেটের নিকোটিন ঠোঁটে প্রবেশ করে বিবর্ণ করে তুলে ঠোঁটকে। তাই ঠোঁট ভালো রাখতে ধূমপান ত্যাগ করুন।

লেখা : লাইফস্টাইল ডেস্ক

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর