ত্বকের জ্বালাপোড়া- খুবই সাধারণ সমস্যা। হঠাৎই লাল হয়ে ফুলে উঠছে, এমন অস্বস্তি হচ্ছে যে স্থির হয়ে থাকাই দায়। উপরন্তু প্রতিদিন মেকআপ করার ফলে ত্বকে শুষ্কতা, জ্বালাভাব বা ইরিটেশনের মতো সমস্যা হতে পারে। তবে সেই সমস্যা থেকে সহজেই মুক্তিতে রইল ঘরোয়া টোটকা।
► ত্বক পরিষ্কার রাখা এই সমস্যার প্রধান সমস্যা। প্রতিদিন ঘরে ফিরে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। ক্লেনজিং, টোনিং, ময়শ্চারাইজিং রুটিনটা মেনে চললেই যথেষ্ট। তবে ত্বকে সাবান নয়, এর পরিবর্তে হালকা কোনো ক্লেনজার ব্যবহার করুন।
► মেকআপে যতটা পারা যায়, কম প্রোডাক্ট ব্যবহারের দিকে নজর দিন।
► কুসুম গরম পানিতে ২০০ গ্রামের মতো ঘন করা দুধ আর ওটমিল মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। প্যাকটা মুখে কিছুক্ষণ মেখে রেখে তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন।
► ত্বকের জ্বালাভাব বা চুলকানি সমস্যায় অ্যালোভেরা আর কর্নস্টার্চের উপকারিতা উল্লেখযোগ্য। তিনভাগ অ্যালোভেরা জেল ও এক ভাগ কর্নস্টার্চ একসঙ্গে মিশিয়ে ইরিটেশনের জায়গায় লাগাতে পারেন।
► ৬ চা-চামচের মতো ভিটামিন-ই সমৃদ্ধ তেল ও ২ চা-চামচ লেবুর রস মিশিয়ে লাগাতে পারেন। দুই ঘণ্টা পর পর অলিভ অয়েল লাগালেও ইরিটেশন কমবে। হালকা গরম পানিতে গ্রিন-টি ব্যাগ ভিজিয়ে ইরিটেশনের জায়গায় লাগালে আরাম পাওয়া যায়।
► ত্বকে বেশি সূর্যরশ্মি লাগাবেন না।
► ইরিটেশন কমাতে ভিটামিন-সি, ভিটামিন-এ, ভিটামিন-ই ও জিঙ্ক জাতীয় ফল-মূলের জুড়ি নেই। তাই ভিটামিন ও জিঙ্কসমৃদ্ধ শাক-সবজি রোজকার ডায়েটে রাখুন।
► গোসলের পানিতে খাবার সোডা, ভিনিগার মিশিয়ে স্নান করলেও আরাম পাবেন।
প্রাকৃতিক দাওয়া :
নিম : গোসলের পানিতে কয়েকটি নিমপাতা ফেলে রাখতে পারেন। নিমপাতা ফোটানো পানি তুলোয় করে গায়ে মাখতে পারেন।
রসুন : রসুনে প্রাকৃতিকভাবেই ছত্রাকনাশক যৌগ রয়েছে। ত্বকে সংক্রমণজনিত কোনো সমস্যায়, কয়েকটি রসুন থেঁতো করে সেই রস ইরিটিং স্থানে লাগানো যেতে পারে।
অ্যালোভেরা : সংক্রমণজনিত কারণে ত্বকে অস্বস্তি হলে, অলোভেরা ব্যবহার করা যেতে পারে। এই সমস্যার সমাধানে বাজার থেকে কেনা জেল বা গাছের পাতা থেকে সংগ্রহ করা শাঁস- সবই কাজ দেবে।
হলুদ : কাঁচা হলুদের প্রদাহনাশক গুণ রয়েছে। কাঁচা হলুদ বাটা বা হলুদ গুঁড়ো, নারকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে নিয়ে র্যাশের ওপর লাগালে অস্বস্তি কমে আসবে।
লেখা : উম্মে হানি