শিরোনাম
বুধবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

চক্রাকার ফেসিয়াল!

চক্রাকার ফেসিয়াল!

♦ ছবি : শোভন মেকওভার

ত্বক প্রতিদিনই পুনর্জীবিত হয়ে থাকে। একটু সহজ করে বললে, প্রতিদিনই আমাদের ত্বকে মৃত কোষের আস্তর জন্মে। পরবর্তীতে তা ঝরে গিয়ে আবার নতুন কোষ জন্মে। অনেকেরই অজানা যে, প্রতি ২৭ দিন পর আমাদের ত্বকের মৃতকোষ ঝরতে শুরু করে। তখন যদি সেগুলো পরিষ্কার না করা হয়, বাধে বিপত্তি। ত্বক হয়ে পড়ে প্রাণহীন, অনুজ্জ্বল। নিয়ম মেনে পারলার বা ঘরোয়া ফেসিয়াল করানোর প্রয়োজন পড়ে।

 

বয়সভেদে ফেসিয়াল

যাদের বয়স ১২ থেকে ২০ তাদের ক্ষেত্রে ফেসিয়াল একদমই নয়। এদের জন্য ফেস ক্লিনআপ। কারণ- এ বয়সে  ত্বকে দেখা দেয় ব্ল্যাক হেডস, হোয়াইট হেডস, ব্রণ এবং ডার্ক সার্কেল। আবহাওয়ার পরিবর্তনের প্রভাব তো আছেই! ২০ থেকে ৩০ বছর বয়সীদের জন্য মাসে একবার ফেসিয়াল। তবে তা ত্বকের ধরন বুঝে। ফেসিয়ালের পর মুখে বাড়তি উজ্জ্বলতা যোগ হয়। কারণ, ফেসিয়ালের ফলে ত্বকের উপরিভাগের মৃত কোষের স্তর সরে যায় এবং বেরিয়ে আসে ঝকঝকে নতুন ত্বক। ফেসিয়ালের পর রোদে বের হওয়া উচিত নয়। তাই ফেসিয়াল করার আদর্শ সময় হলো- বিকালের পর। কারণ তখন রোদের তাপ থাকে না। রাতে ঘুমানোর পর ত্বক বিশ্রাম পায়। যেদিন ফেসিয়াল করবেন সেদিন ফেসওয়াশ করাও উচিত নয়। এতে স্কিনে সমস্যা হতে পারে। আর যাদের বয়স ত্রিশের বেশি, তারা মাসে দুবার ত্বকে ফেসিয়াল করাতে পারেন।

 

কেমন হবে ফেসিয়াল ম্যাসাজ

ত্বক ভালো রাখার জন্য অবশ্যই ফেসিয়াল করার সময় সতর্ক থাকতে হবে। কীভাবে ত্বক ম্যাসাজ করছেন ফেসিয়ালের ক্ষেত্রে সেটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ত্বক কখনোই জোরে ম্যাসাজ করতে নেই। অতিরিক্ত ম্যাসাজের ফলে ব্লাড সার্কুলেশন বেড়ে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। ত্বকে বার্ধক্য (ত্বক ঝুলে যাওয়া) দেখা দিতে পারে। 

 

ফেসিয়ালের পরবর্তী সময়

ফেসিয়ালের ৪৮ ঘণ্টা পর ত্বকের অভ্যন্তরে কাজ করতে শুরু করে। ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বাড়ে। ত্বক হয় আর্দ্র। ফেসিয়ালের ২৮ দিন পর ত্বককোষগুলোর পুনর্জীবিত হয়ে ওঠার সময় হয়ে ওঠে। ফেসিয়াল করানোর চার থেকে ছয় সপ্তাহ পর ত্বক আবার পুরনো অবস্থায় ফিরে যায়। অর্থাৎ মৃত কোষ জমতে শুরু করে। তখন ত্বকে দূষণ, ময়লা হয়।

 

লেখা : শোভন সাহা, কসমোলজিস্ট, শোভন মেকওভার

সর্বশেষ খবর