বুধবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০০ টা

উহ্ গরম! আরামে প্রশান্তি

 উহ্ গরম! আরামে প্রশান্তি

♦ মডেল : লোপা ♦ ছবি : মনজু আলম

প্রচন্ড রোদ, সঙ্গে গরম। মাঝেমধ্যে এক পশলা বৃষ্টির দেখা মিললেও ভ্যাপসা গরম থাকছেই। আবহাওয়াবিদরা আগেভাগেই জানিয়েছেন, এবার সূর্য বেশ রাগ দেখাবে। তাপমাত্রা স্পর্শ করতে পারে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এমন দিনে সূর্যের দাবদাহ মানিয়ে নিতে জানা চাই সহজ কিছু কৌশল। জেনে নিন সেসব...

 

সময়টা বেশ গরমের। হাঁসফাঁসে কাটে দিন-রাত। এর সঙ্গে প্যাচপ্যাচে ঘামে কষ্টের চূড়ান্ত। গ্রীষ্মকাল বলে কথা। এমন পরিস্থিতিতে সুস্থতাই যেন এক ধরনের চ্যালেঞ্জ। বাইরে বের হতে হলে সবার আগে নজর দিতে হবে পোশাকে। পাশাপাশি দাবদাহ মানিয়ে নিতে জেনে রাখা প্রয়োজন কটি কৌশল...

 

সুস্থতায় পানি পান : জীবনের জন্য পানি। কথাটা একদম সত্য। গ্রীষ্মের দাবদাহ যেন সে কথাই বার বার স্মরণ করিয়ে দেয়। কেবল পানি শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী পাথেয়। কেননা, মানবদেহে ৬০-৬৫ শতাংশ পানি। সুস্থ দেহে পানির প্রভাব গুরুত্বপূর্ণ। আবার গরমে ঘাম অস্বস্তিকর হলেও এর ইতিবাচক দিক হচ্ছে, ঘাম শরীরের তাপ কমাতে ভূমিকা রাখে। তাই তো মানবদেহের সুস্থতায় প্রয়োজন পানির। দিনে দুই থেকে তিন লিটার পানি পান অত্যাবশ্যক। যা শরীরের পর্যাপ্ত ঘাম নিঃসরণে কাজ করবে। ফলে ঘামের সঙ্গে ক্ষতিকর টক্সিনও বের হয়ে যায়। পানিসমৃদ্ধ খাবার ও ফল মেন্যুতে রাখতে পারেন।

 

শান্তিময় গোসল : শরীর-মনে প্রশান্তি আনে গোসল। দিনে অন্তত একবার গোসল করে নেওয়া উচিত। সম্ভব হলে একাধিকবার গোসল সেরে  নেওয়াও ভালো। কারণ, এতে দেহের তাপমাত্রা বেশ খানিকটা কমে আসে। সারা দিনের ক্লান্তি দূর করতেও ভূমিকা রাখে। গোসলের পানির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ফুলের পাপড়ি, লেবু, হলুদ, দুধ, মধু ইত্যাদি। উপকারও রয়েছে অনেক। রোগজীবাণু প্রতিরোধ, ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ানো, ত্বক কোমল ও মসৃণ করার পাশাপাশি মনের প্রশান্তির জন্যও গোসলের জুড়ি নেই।

 

আরামের পোশাক : গরমের সময় পোশাক বলতে অনেকে মনে করেন সুতি। অন্য কোনো কাপড় যেন পরাই যাবে না। হ্যাঁ, কথাটা অনেকটাই ঠিক। কেননা, সুতি বা কটন ন্যাচারাল ফেব্রিক যার মধ্যে সহজে বাতাস চলাচল করতে পারে, আর্দ্রতা শুষে নিতে পারে। ফলে আমাদের মতো উষ্ণ ও আর্দ্র আবহাওয়ায় এটি খুব আরামদায়ক। তবে অন্য ফেব্রিকও হতে পারে আরামদায়ক। তেমনি একটি ফেব্রিক লেলিন। ফ্ল্যাক্স নামক প্রাকৃতিক ফাইবার থেকে লিনেন কাপড় তৈরি হয়। এই ফেব্রিক টেকসই, সহজে আর্দ্রতা শুষে নেয় এবং তাপ কুপরিবাহী হিসেবে কাজ করে। খাদি কাপড়ও গরমে বেশ ভালো। এ ধরনের ফেব্রিক তাপ কুপরিবাহী হওয়ায় তীব্র গরমেও শরীর ঠান্ডা রাখে। ক্রেপ জর্জেট বা ট্র্যাডিশনাল জর্জেট কাপড় সাধারণত সিনথেটিক এবং ন্যাচারাল ফাইবারের মিশ্রণে তৈরি হয়ে থাকে। ওজনে অনেক হালকা এবং তুলনামূলক নরম হয়ে থাকে। যা গরমের দিনে বেশ আরামের।

 

ছায়া সুশীতল : গরমের দিনে যতটা সম্ভব কম বাইরে বের হলেই ভালো। দুপুর ১২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত যেহেতু প্রচ- রোদ থাকে, তাই এ সময় ছায়াযুক্ত জায়গায় অবস্থান করার চেষ্টা করা যেতে পারে। তাতে হিট স্ট্রোকের মতো ভয়াবহ দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হতে পারে।

 

পরিমিত প্রসাধন : জবরদস্ত গরমে যতটা সম্ভব হালকা সাজ মানাবে। বাহুল্যে আসবে বিরক্তি। এ সময় মেকআপ আইটেম হালকা শেডের বেছে নেওয়া যেতে পারে। আইশ্যাডো প্যালেট এবং লিপস্টিকের ক্ষেত্রেও একই পরামর্শ। চুল বেঁধে রাখলে অস্বস্তি কম হবে। তাই এ সময়ে হেয়ার অ্যাকসেসরিজ সঙ্গে রাখা ভালো।

 

নিয়মিত সানস্ক্রিন : বাইরে বের হতেই হবে যাদের, তাদের বিউটি রুটিনে সানস্ক্রিন যোগ করলে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে ত্বক রক্ষা পাবে। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকে রোদে পোড়া ভাব থাকবে না, কালো দাগ দূর করার ক্ষেত্রেও কার্যকরী ভূমিকা রাখবে। পণ্যটি কেনার সময় সেটি কত এসপিএফ সম্পন্ন, সে সম্পর্কে সঠিকভাবে জেনে নিতে পারলে ভালো।

 

পাউডারে প্রশান্তি : ঘামে জবজবে শরীর ভোগায় খুব। ট্যালকম পাউডার হতে পারে সমাধান। কুলিং উপাদানসমেত হলে তো কথাই নেই। এতে উপস্থিত কুল সেনসেশন দেহকে শীতল রাখতে ভূমিকা রাখে। ব্যবহারে কম ঘাম উৎপন্ন হয়। ফলে গরম অনেক কম অনুভূত হয়।

 

                লেখা : ফেরদৌস আরা

সর্বশেষ খবর