বুধবার, ৩ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা

শাওয়ারে প্রশান্তি

শাওয়ারে প্রশান্তি

ছবি : সংগৃহীত

অনেকের ভাবনা, গোসল তো গোসলই। এতে আদিখ্যেতার কী আছে! তাই এ ব্যাপারে অতটা মাথা ঘামান না। অনেকে স্ক্র‌্যাবিং, শ্যাম্পু বা শাওয়ার জেল ব্যবহার করাকে বিলাসিতা মনে করেন। এটা ঠিক নয়! যেহেতু ভ্যাপসা গরম, তাই গোসলের হিসাবটা একটু ভিন্ন। রইল আরামের স্নানের আগে ও পরের হিসাব-নিকাশ।

 

গোসলের আগে

সপ্তাহে অন্তত দুই দিন গোসলের আগে দুধের সর, বেসন, সামান্য হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে ঘন প্যাক তৈরি করে হাত, পা, ঘাড় এবং কনুইয়ে ভালো করে লাগিয়ে নিন। শুকিয়ে এলে ভিজে হাতে ঘষে ধুয়ে ফেলুন। বেসন ও হলুদের গুঁড়া ক্লিনজার হিসেবে দারুণ। এ ছাড়া প্রতিদিন স্নানের আগে তিল তেল, আমন্ড অয়েল বা অলিভ অয়েল একটু গরম করে সারা শরীরে ম্যাসাজ করতে পারেন। এগুলো বাড়িতে না থাকলে নারকেল তেল তো আছেই। সময় হলে ল্যাভেন্ডার অয়েল দিয়ে ম্যাসাজ করতে পারেন। এই তেল দেহের ক্লান্তি কাটায় দ্রুত। তবে এর সঙ্গে তিল তেল, অলিভ অয়েল জোজোবা বা সানফ্লাওয়ার অয়েলের সঙ্গে মিশিয়ে নিতে পারেন। ম্যাসাজের কিছুক্ষণ পর গোসল সেরে নিন।

 

গোসলের সময়

গরমে ফ্রেশ থাকতে একটু বেশি সময় (অন্তত ২০ মিনিট) গোসল করুন। কারণ গোসলের মাধ্যমেই শরীরে জমে থাকা ধুলাময়লা, নোংরা জীবাণু দূর করা সম্ভব। এ সময় গোসলে হারবাল সাবান ব্যবহার করুন। চাইলে চন্দন, গোলাপ বা ল্যাভেন্ডার শাওয়ার জেল ব্যবহার করতে পারেন। এসব প্রাকৃতিক উপাদান শরীর ঠাণ্ডা রাখতে দারুণ কাজ করে। গোসলের সময় সুগন্ধি না থাকলে ছড়িয়ে নিতে পারেন গোলাপের পাপড়ি। এর সুগন্ধ ক্লান্তি দূর করে আপনাকে করবে তরতাজা। সপ্তাহে অন্তত দুই দিন বডি স্ক্রাবার ব্যবহার করবেন। ত্বক থেকে সহজে ধুলাময়লা পরিষ্কার হবে। গোসলের সময় বডি স্পাঞ্জ দিয়ে কাঁধ, কানের পেছন, পায়ের পাতা, আঙুলের ফাঁকা পিঠ আন্ডারআর্ম এ স্থানগুলো ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিন।

 

গোসলের পরে

গোসলের পর ভালো ময়েশ্চারাইজার লোশন নিন। এ ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারেন ভালো মানের বডি লোশন। চাইলে বাড়িতেও লোশন বানিয়ে নিতে পারেন। সমপরিমাণে গোলাপ জল, গ্লিসারিন ও লেবুর রস ভালো করে মিশিয়ে বোতলে ভরে রাখুন। বডি লোশন হিসেবে মিশ্রণটি দারুণ কাজ করবে। মিশ্রণটি ফ্রিজে তুলে রাখতে পারেন।

লেখা : সাদিয়া সারা

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর