বুধবার, ১৭ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা

লিপস্টিক ক্ষতিকর!

লিপস্টিক ক্ষতিকর!

ছবি : মনজু আলম

ঠোঁটকে আকর্ষণীয় ও মোহনীয় করে তুলতে লিপস্টিকের ব্যবহার ব্যাপক। একে আবার ঠোঁটের অলঙ্কারও বলা যায়। তবে লিপস্টিক  নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মতে, লিপস্টিকের কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। অত্যন্ত সামান্য মাত্রায় থাকলেও দীর্ঘদিন ব্যবহারে এই উপাদানগুলো ঠোঁটের ত্বকে নানানরকম সমস্যার সৃষ্টি করে। তাই লিপস্টিক ব্যবহারে সতর্কতা প্রয়োজন, সঙ্গে ঠোঁটের যত্ন তো আছেই।

 

লিপস্টিকের ক্ষতিকর উপাদান

লিপস্টিকে রয়েছে সিসা ও অন্যান্য ক্ষতিকর  কেমিক্যাল। যদিও এর ম্যানুফ্যাকচারিং এজেন্ট হিসেবে সিসার উল্লেখ থাকে না, তবে বেশ কয়েকটি গবেষণায় লিপস্টিকে সিসার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এর বাইরেও একাধিক ধাতুর উপস্থিতি পান বিশেষজ্ঞরা। যার ফলে বারবার জিভ চাটলে বা খাবারের সঙ্গে শরীরে ঢুকে গেলে বেশ খানিকটা ধাতুও চলে যায় শরীরে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, কিছু লিপস্টিকে কোবাল্ট, ক্যাডমিয়াম, টাইটেনিয়ামের মতো ধাতুও পাওয়া গেছে। তাই বাড়ি ফিরে লিপস্টিক তুলে ফেলুন। এমনকি গাঢ় রঙের লিপস্টিক এড়িয়ে চলতে চেষ্টা করুন। আজকাল অনেকেই লং লাস্টিং শেড পছন্দ করেন। এতে ঠোঁটের স্বাস্থ্যে  ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। বারবার জিভ দিয়ে ঠোঁট চাটলে বা হাত দিলে সমস্যা হতে পারে। যারা মাঝেমধ্যে লিপস্টিক লাগান, তারা নিশ্চিন্তে থাকতে পারেন। লিপস্টিক লাগানোর পর ঠোঁটে র‌্যাশ হতে পারে। চুলকানি হয় বা ঠোঁট কালো হয়ে যায়, তাহলে লিপস্টিক বদলে ফেলা উচিত। এগুলো কিন্তু প্রাথমিক উপসর্গ। যদি কোনো ব্র্যান্ড লং লাস্টিং লিপস্টিকে কৃত্রিম স্টেবিলাইজার ব্যবহার করে থাকে, তাহলে সেটি থেকে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনাও একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। স্টেবিলাইজার হিসেবে অ্যালুমিনিয়াম ব্যবহার করা হতে পারে। আবার গাঢ় রংকে খানিকটা হালকা করার জন্য টাইটেনিয়াম ডাই-অক্সাইডের মতো হোয়াইটিনং এজেন্টও ব্যবহার করা হতে পারে। গ্লিটারযুক্ত লিপগ্লসেও থাকতে পারে অভ্র। আবার এই অভ্রের মধ্যে থাকতে পারে সিসা, ম্যাঙ্গানিজ, ক্রোমিয়ামের মতো ধাতু। এ তো গেল ধাতব উপাদান। এ ছাড়াও লিপস্টিক ঠোঁটের স্বাভাবিক আর্দ্রতা শুষে নেয়। তাই সারা দিনের জন্য লিপবাম ব্যবহার করতে পারেন। ঠোঁটে গাঢ় রং চাইলেও আগে লিপবাম লাগিয়ে তার ওপর লিপস্টিকের কোটিং লাগান।

 

লিপস্টিক লাগানোর আগে-পরে

লিপস্টিক লাগানোর আগে ঠোঁটে ভালো করে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন। এটি লিপস্টিকের ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে অনেকাংশে রক্ষা করবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, লিপস্টিক লাগানোর আগে ভালো করে ময়েশ্চারাইজারের বেস লাগালে সমস্যা অনেকটাই সমাধান সম্ভব। লং লাস্টিং, ম্যাট লিপস্টিক যতটা সম্ভব কম ব্যবহার করুন। যে লিপস্টিক তাড়াতাড়ি রিমুভ করা যায় না, সে রকম লিপস্টিক না লাগানোই ভালো। বাড়ি ফিরে অবশ্যই লিপস্টিক তুলে ফেলুন। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে ঠোঁটে ক্রিম বা জেল লাগিয়ে নেবেন। লিপস্টিক লাগানোর পরে যদি ঠোঁক শুকিয়ে যায় বা ঠোঁট থেকে চামড়া ওঠে, তাহলে সেটি বদলে ফেলুন। ঠোঁটে প্রতিক্রিয়া হলে তা ব্যবহার করবেন না।

 

লেখা : নূরজাহান জেবিন

সর্বশেষ খবর