ইন্টেরিয়র ডিজাইনারদের মতে, ‘ঘরের আবহ ও গোছালোভাব অনেকটাই নির্ভর করে কার্পেটের রং ও ডিজাইনের ওপর। তাই কার্পেট বাছাইয়ে অবশ্যই বিষয়গুলো বিবেচনায় রাখা উচিত।’ ছোট ঘর হলে একরঙা অথবা স্বল্প কারুকাজের কার্পেট ও বড় ঘরে ভারী কাজের কার্পেট মানায়। ব্যস্ত লাইফস্টাইলে পারিবারিক আড্ডার স্থানটি হলো ঘরের কেন্দ্রস্থল ড্রইং রুমে প্লেন কার্পেট সেকেলে হলেও এখনো এর কদর ব্যাপক। রং হিসেবে বাছাই করে নিতে পারেন ব্লু, কফি ও গ্রিন শেডের মধ্যে গাঢ় রংগুলো। তাছাড়া নকশাদার আর সতরঞ্জি কার্পেটও দিতে পারেন, তবে ঘরের আসবাব, রং আর আবহ দেখে। ইদানীং ফ্লোরাল টাচ কার্পেট ট্রেন্ডি হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে সোফার রং কিংবা দেয়ালে টানিয়ে রাখা পেইন্টিংয়ের সঙ্গে মিলিয়ে কার্পেট নির্বাচন করছেন অনেকে। আবার অনেকেই বসার ঘরে সোফার বদলে স্বল্প উচ্চতার ডিভান ব্যবহার করেন। সে ক্ষেত্রে বসার জায়গা যদি মেঝে বরাবর হয়, তবে জুড়ে দিতে পারেন বর্ণিল সতরঞ্জি। শীতে ডাইনিং রুম এমনকি বেডরুমেও উষ্ণতার পরশ আনতে বিছিয়ে দিতে পারেন আরামদায়ক কার্পেট। বেড রুমটিকে সাজাতে বেছে নিন হালকা রঙের কার্পেট। তবে ঘরজুড়ে না দিয়ে বিছানার সামনে একটু লম্বা-চওড়া কার্পেট জুড়ে দিন। আজকাল ঘরের করিডরও বাদ যায় না শৌখিন এই গালিচা থেকে। করিডরে লম্বাটে কার্পেট সেকেলে। ভিন্নতা আনতে আয়তাকার কয়েকটি সতরঞ্জি বিছিয়ে দিলে মানাবে। দেয়ালে জুড়ে দিন দুই-চারটি পেইন্টিং। বেশ মানিয়ে যাবে। রান্নাঘরে কার্পেট ব্যবহার বেমানান হলেও এই ঘরে ব্যবহার করতে পারেন রাবারের ম্যাট যা সহজেই পরিষ্কারও করতে পারবেন।