বুধবার, ২১ আগস্ট, ২০২৪ ০০:০০ টা

চুলের চিটচিটে ভাব আর চুলকানি!

চুলের চিটচিটে ভাব আর চুলকানি!

মডেল : তাসনিয়া

অন্য সময়ের তুলনায় গরমের দিনগুলো চুলের জন্য অস্বস্তিকর। গরম কিংবা ভ্যাপসা গরম- এমন দিনে মাথার ত্বক (স্ক্যাল্প) ও চুল বেশি নোংরা হয়ে যায়। মাথা ঘেমে চুলে চিটচিটে ভাব হয়। মাথার ত্বকে ময়লা জমে। অনেক ক্ষেত্রে মাথার ত্বকে চুলকানি ও র‌্যাশ দেখা দেয়। এমনকি ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কাও থাকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘামের মধ্যে ল্যাকটিক অ্যাসিড থাকে। চুলের কেরাটিনের সংস্পর্শে ল্যাকটিক অ্যাসিড এলে চুল ভঙ্গুর হয়ে ঝরে যায়। ফলে চুল নষ্ট হয়ে যায়। যাদের খুশকির প্রবণতা বেশি, তাদের চুল আরও বেশি ঝরে। সমস্যার সমাধানে প্রয়োজন সঠিক যত্ন। সাজসজ্জাবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে বিশেষজ্ঞের মতামতের ভিত্তিতে এই বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হলো-

 

শ্যাম্পু ব্যবহারে অনীহা :

মুখত্বক পরিষ্কার না করলে যেমন লোমকূপে ময়লা জমে যায়, তেমনি মাথার ত্বক পরিষ্কার না করলেও ব্যাক্টেরিয়ার বিস্তার হয়ে চুলের গোড়া বন্ধ হয়ে যায়। নিউ ইয়র্কের ত্বক বিশেষজ্ঞ বলেন, একেবারেই শ্যাম্পু না করলে চুল আঠালো হয়ে যাবে। এর কারণ হলো- মাথার তেল, মৃত চামড়া ও ভাঙা চুল মাথার ত্বকে জমে আপনার চুল ভারী করে ফেলে।

 

সঠিক পণ্যের ব্যবহার :

শুষ্ক এবং ফ্ল্যাকি মাথার ত্বকের জন্য সালফেট, সিলিকন এবং প্যারাবেনের মতো রাসায়নিক মুক্ত চুলের যত্নের পণ্য বেছে নিন। এই রাসায়নিকগুলো মাথার ত্বকের প্রাকৃতিক তেল নির্মূল করে। তাতে আরও শুষ্ক ও খুশকির প্রবণতা বাড়ে। স্ক্যাল্প এবং চুলে হালকা ভেষজ পণ্যসামগ্রী ব্যবহার করা ভালো। খুশকির সমস্যায় জিঙ্ক পাইরিথিওন শ্যাম্পু ভালো।

 

নিয়মিত হেয়ার মাসাজ :

গরমে চুলের যত্নের জন্য স্ক্যাল্প হাইড্রেশন অপরিহার্য। শুষ্ক মাথার ত্বককে হাইড্রেট এবং পুষ্টি জোগাতে কয়েক ফোঁটা পুষ্টিকর তেল দিয়ে মাথার ত্বকে ম্যাসাজ করতে পারেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, ত্বকে ম্যাসাজে পুষ্টিকর, হালকা ওজনের তেল ভালো। নারকেল তেল, রোজমেরি তেল, অ্যালোভেরা, আপেল সিডার ভিনিগার, লেবুর রসের মতো একাধিক ভেষজ রয়েছে, যা মাথায় চুলকানি দূর করে।

 

গরম পানি ব্যবহার :

অতিরিক্ত গরম পানির কারণে মাথার ত্বক শুকিয়ে যায়। ফলাফল শুষ্ক ত্বক। আর সেটা থেকে রক্ষা পেতে মাথার ত্বক অতিরিক্ত তেল নিঃসরণ করে। তাই মাথা ধোয়ার জন্য কুসুম গরম পানি ব্যবহার করা ভালো। সবচেয়ে ভালো হয় ঠান্ডা পানি ব্যবহার করতে পারলে।

 

মাথার ত্বকের স্ক্র্যাবিং :

সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে স্ক্র্যাবিং ডিটক্সিফাই করতে পারেন। ত্বকের মৃতকোষ অপসারণে ও মাথার স্ক্যাল্প হাইড্রেটেড রাখতে, শ্যাম্পুর পর স্ক্র্যাবিং করা জরুরি। চুলকে ময়েশ্চারাইজ করতে এবং চুলকানি প্রতিরোধে ভালো মানের কন্ডিশনার লাগাতে ভুলবেন না।

 

স্ক্র্যাচিং এড়িয়ে চলুন :

মাথার ত্বকে স্ক্র্যাচ করলে আরও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। জ্বালাভাব থেকে রক্তপাতও ঘটতে পারে। বিশেষ নজর না দিলে তা সংক্রমণের দিকেও এগিয়ে যেতে পারে। তাই চুল ও স্ক্যাল্পের যত্নের জন্য স্ক্র্যাচ করার ইচ্ছাকে নিয়ন্ত্রণ করুন। মাথার ত্বকে আঁচড়ালে চুলের সমস্যা বাড়বে এবং চুল পড়ারও কারণ হবে।

 

লেখা : উম্মে হানি

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর