শিরোনাম
বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ০০:০০ টা

নীল-শরতের সাজ

নীল-শরতের সাজ

মডেল : রামিসা খান ও সিমু • পোশাক : আর্কাইভ • ছবি : রঙ বাংলাদেশ

শরতের শেষে- বিদায় নিচ্ছে বর্ষা। আবহাওয়ার পালাবদলে প্রকৃতিতে লেগেছে শুভ্র রঙের ছোঁয়া। আকাশে ভেসে বেড়াচ্ছে শুভ্র হয়ে ওঠা মেঘ-রাজকন্যা। নির্মল ও লাবণ্যময় শোভা নিয়ে হাজির হচ্ছে শরৎ।  প্রকৃতির সঙ্গে মিলেমিশে রঙিন সাজে সেজে উঠুন আপনিও...

শরতে গ্রীষ্ম-বর্ষা-শীত এই তিনের মিশ্রণ রয়েছে। এর প্রভাবও পোশাকে পরবে। এটাই স্বাভাবিক। তবে হালকা শীতের আঁচ থাকলেও গরমের আধিপত্য এ সময়ে বেশি থাকে। তাই সে অনুযায়ী পোশাক নির্বাচন করা উচিত। প্রকৃতির এই রূপ বদলের সঙ্গে বদলে যায় সাজ পোশাকের ধরন। বছরের এ সময়টাতে ফ্যাশন হাউসগুলো বর্ষার কথা মাথায় রেখে পোশাক তৈরি করে। প্রতিটি পোশাকের কাপড়, রং ও ডিজাইন নির্বাচন করা হয় বিশেষভাবে। বৃষ্টি, বর্ষার ফুল, লতাপাতা, মেঘলা আকাশ উঠে আসে পোশাকের মোটিফ হিসেবে। এ ছাড়া ব্লক, স্ক্রিন প্রিন্ট, হালকা অ্যামব্রয়ডারি ও চুমকির কাজ থাকতে পারে পোশাকগুলোতে। রঙের ক্ষেত্রে সবুজ, নীল, ছাই, আকাশি-  সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য পায়। শুধু পোশাকে নয়, খেয়াল রাখতে হয় শরতের সাজের ঢংও। তাই সাজও হতে হবে সময়োপযোগী।

 

পোশাকে রং-ঢং

শরৎজুড়েই সাদা-নীল, আসমানি, ছাই আর গাঢ় নীল রঙের ছোঁয়ায় মেতে ওঠে সবাই। শাড়ি ও সালোয়ার-কামিজে সাদা-নীলের ছোঁয়া এই সময়ের সঙ্গে খুব মানানসই হবে। আর এই নীলকে সাজাতে ব্যবহার হয় মানাসই আরও অনেক কত শত রং! শাড়ির নীল জমিনে ফুটে ওঠে ফিরোজা, সাদা, ছাই, সোনালি, খয়েরি, সবুজ, হলুদ, গোলাপির নান্দনিক ডিজাইন। নীলের বিভিন্ন শেড, ছাইরং, সাদা এসব রঙের সঙ্গে অন্য উজ্জ্বল রঙের মিশেলে পোশাকে আসে ভিন্ন একদীপ্তি। মোটিফে প্রজাপতি, ফুল, পাখি, পাতার নকশা ভালো মানাবে।

পোশাকের ধরন

এ সময় সালোয়ার-কামিজ, কুর্তি বা ফতুয়া পরতে পারেন। তবে পোশাকটা যদি কামিজ হয় তাহলে সঙ্গে মানানসই রং ও ডিজাইনের সালোয়ার ও ওড়না নিন। প্রচন্ড গরমের কারণে আরামদায়ক কুর্তা ও ফতুয়ার প্রতিও ঝুঁকছেন অনেকে। জিন্সের সঙ্গে মানানসই পোশাকগুলো হতে পারে বিকালের আদর্শ পোশাক। এ ছাড়াও পালাজো, লং কুর্তি, কিংবা ঢিলেঢালা কাটের পোশাকও আরামদায়ক ও মানানসই হবে। যারা শাড়ি পরতে চান তারা বেছে নিন হালকা রঙের শাড়িগুলো। ফিকে নীল শাড়িতে জরিপাড় দেওয়া, চাঁপাফুল রং, ধানি রং, সাদা জমিনে বুটি তোলা জামদানি শাড়ি এবং এর সঙ্গে ম্যাচিং ব্লাউজ। ব্লাউজের হাতা থ্রি কোয়ার্টার হলে ভালো মানাবে।

 

আরামদায়ক তিন কাপড়

এ সময় দরকার আরামদায়ক সুতি কাপড়ের পোশাক। এটি অত্যন্ত হালকা, উচ্চ-শোষণ ও বায়ুচলাচল ক্ষমতাসম্পন্ন। তাই অনেকটাই আরামদায়ক এই পোশাক। অনেকর ধারণা সিল্কের কাপড় বোধহয় গরমে অস্বস্তির। কিন্তু এ ধারণাটি ভুল। এটি সুতি কাপড়ের মতো অত্যন্ত হালকা ওজনের। সিল্ক অত্যন্ত আরামদায়ক একটি পোশাক। এ ছাড়া এমন দিনে খাদি কাপড়ও বেশ আরামের। দেখতে যেমন ক্লাসি, তেমন গরমেও আরামদায়ক। এ কাপড়ের বিভিন্ন ডিজাইনিং কুর্তি কিংবা কামিজ পরতে পারেন। যাদের শাড়ি পরা দরকার হবে তারা খাদি কাপড়ের শাড়ি পরতে পারেন।

 

শরতে নীলাম্বরী সাজ

যেহেতু বাইরে রোদ-বৃষ্টির খেলা। তাই সাজের ক্ষেত্রে ভাবনায় থাকে পানিরোধক উপকরণ। এ সময় ভারী মেকআপ বেশ দৃষ্টিকটু মনে হয়। তাই সাজে থাকা চাই হালকা মেকআপ। তবে উপকরণগুলো যেন হয় উজ্জ্বল রঙের। এ সময় লাল, নীল, বেগুনি, হলুদ, সবুজ- ইচ্ছামতো রঙে সেজে উঠতে পারেন। কপালে মানানসই টিপ এবং চোখে নীল, সবুজ বা ছাই রঙের কাজলের টান দিতে পারেন। চোখের সাজের ক্ষেত্রে ওয়াটারপ্রুফ কাজল, মাশকারা, লাইনার ব্যবহার করুন। আইশ্যাডো দিলে হালকা কোনো রং বেছে নিন। হালকা ফেস পাউডার লাগাতে পারেন। লিপস্টিকের বেলায় গ্লোসি হলেই ভালো। হালকা গোলাপি, বাঙ্গি, হালকা বাদামি ধরনের রং বাছাই করতে পারেন লিপস্টিকের ক্ষেত্রে।  এই সময় হাতে একগোছা চুড়ি না থাকলে চলে? নীল তো বটেই, থাকতে পারে অন্য রঙের উপযোগী মিশ্রণ।

লেখা : ফেরদৌস আরা

সর্বশেষ খবর