বুধবার, ২ অক্টোবর, ২০২৪ ০০:০০ টা
কোরিয়ান পদ্ধতি

যেভাবে করবেন রূপচর্চা

যেভাবে করবেন রূপচর্চা

ইদানীং ফ্যাশনে কোরিয়ান মেকআপের ভীষণ কদর বেড়েছে। ত্বক এবং চুলের যে কোনো পরিচর্যায় কোরীয় প্রসাধনীর জুড়িও মেলা ভার। আজকাল অভিজাত ব্র্যান্ড শপ থেকে পাড়ার কসমেটিকসের দোকান; সব জায়গায় মেলে কোরীয় প্রসাধনী। আর রূপচর্চায় কোরিয়ান সামগ্রীর বেশ চলন বেড়েছে। কিন্তু প্রাচীনকালে কীভাবে রূপচর্চা করতেন কোরিয়ার মানুষ? দেখে নেওয়া যাক তখনকার সে পদ্ধতি...

 

ময়েশ্চারাইজার : ময়েশ্চারাইজারের হিসেবে সেকালে লাউয়ের ব্যবহার ছিল সবচেয়ে বেশি। ফুলদানিতে পানির মধ্যে এক টুকরো স্কোয়াশ রেখেই সেই স্কোয়াশের রস সংগ্রহ করে তা সরাসরি মুখে লাগানো হতো। শসা অথবা মধুও ব্যবহার হতো ময়েশ্চারাইজার হিসেবে। ব্যবহার্য ক্রিমের সঙ্গে পুদিনা পাতার নির্যাস মিশিয়ে নেওয়া হতো মুখে ঠান্ডা ভাব অনুভবের জন্য। সবকটি পদ্ধতিই ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির জন্য যথেষ্ট।

 

জোডু : প্রাচীনকালে কোরীয়রা সাধারণত যে ধরনের ফেসওয়াশ ব্যবহার করত, তা হলো জোডু। বিভিন্ন রকম বিনস, মুগ ডাল, সয়াবিন মাইলস্টোনে ঘষে গুঁড়ো করে নেওয়া হতো। ত্বকের মৃত কোষ দূর করতে এবং মসৃণতা বজায় রাখতে ব্যবহার হতো সেই গুঁড়ো।

 

চুল : গ্যাচে- এক প্রকার পরচুলা যেটি বিনুনির সঙ্গে পরা হতো চুলের ঘনত্ব বেশি দেখানোর উদ্দেশ্যে। জানা যায়, এটি পরে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। সে কালে চুলের উজ্জ্বলতা বাড়াতে ভরসা ছিল তিলের তৈরি তেল। তেল দিয়ে চুল আঁচড়ে নেওয়ার পর খুব শক্ত করে বিনুনি বেঁধে নেওয়া হতো। এখন নানা রকম আধুনিক কোরিয়ান রূপচর্চার সামগ্রী বাজারে সহজলভ্য হয়েছে। কিন্তু একবার হলেও পুরনো প্রাকৃতিক পদ্ধতিগুলো অবলম্বন করে দেখতেই পারেন।

 

লেখা : উম্মে হানি

সর্বশেষ খবর