শুক্রবার, ১৭ মে, ২০১৩ ০০:০০ টা

জেমস বন্ডের ফ্লেমিং

জেমস বন্ডের ফ্লেমিং
বিখ্যাত ঔপন্যাসিক ইয়ান ফ্লেমিংয়ের লেখা উপন্যাসের কাল্পনিক চরিত্র জেমস বন্ড। ১৯৫৩ সালে রচিত এ উপন্যাসে জেমস বন্ড রয়েল নেভি কমান্ডার হিসেবে রয়েছেন। সেটি ছিল ফ্লেমিংয়ের প্রথম উপন্যাস। তবে ফ্লেমিংয়ের পরবর্তী উপন্যাসে জেমস বন্ডকে নেভি কমান্ডার থেকে ব্রিটিশ সিক্রেট সার্ভিসের এক গোয়েন্দা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। ১৯৯৫ সালে ব্রিটিশ সিক্রেট সার্ভিসের নাম পরিবর্তন হয়। যা বর্তমানে এমআই-৬ নামে পরিচিত। এ চরিত্রটিকে নিয়ে এখন পর্যন্ত অসংখ্য চলচিত্র, উপন্যাস, কমিঙ্, ভিডিও গেমস তৈরি হয়েছে। মার্কিন পক্ষিবিদ জেমস বন্ড (৪ জানুয়ারি, ১৯০০-১৪ ফেব্রুয়ারি, ১৯৮৯)-এর নামানুসারে ১৯৫২ সালে জন্ম নিল জেমস বন্ড সিরিজের প্রথম উপন্যাস 'ক্যাসিনো রয়্যাল'। তবে এটি বাজারে আসে পরের বছর অর্থাৎ ১৯৫৩ সালে। এ গল্পের নায়ক জেমস বন্ড রয়্যাল নেভাল রিজার্ভের কমান্ডার, তার সাঙ্কেতিক নম্বর ০০৭। এরপর ১৯৬৬ পর্যন্ত প্রতি বছর একটা করে বই বেরিয়েছে। জেমস বন্ডকে নিয়ে রয়েছে ১২টি উপন্যাস আর দুটি ছোটগল্পের সংকলন। ক্যাসিনো রয়্যাল লেখা শেষ হওয়ার পর প্রকাশক পাচ্ছিলেন না ফ্লেমিং। কিন্তু অনেক কষ্টে সে বই বাজারে বের হতেই সবার ধারণা গেল পাল্টে। বাজারে বেরোতে না বেরোতে তিনটি এডিশন! এর পরের চারটি বই 'লিভ অ্যান্ড লেড ডাই', 'মুনরোকার', 'ডায়মন্ডস আর ফরেভার' এবং 'ফ্রম রাশিয়া উইথ লাভ' এমন জনপ্রিয়তা পেল যে কোনো সমালোচনা আর পাত্তাই পেল না। ইয়ান ফ্লেমিং তার রচিত উপন্যাসে জেমস বন্ডের কোনো বয়স উল্লেখ করেননি। তবে জেমস বন্ডকে নিয়ে নির্মিত বিখ্যাত সব চলচ্চিত্রে তাকে মোটামুটি ৪০-ঊধর্্ব এক মানুষ হিসেবে দেখানো হয়েছে। ব্যক্তি হিসেবে বন্ড একজন সাহসী, বুদ্ধিমান এবং চতুর পুরুষ। অন্যদিকে মেয়েদের কাছে জেমস বন্ড সব সময়ই যৌনাবেদনময়ী পুরুষ। বন্ড নিজেকে অন্য কারও সঙ্গে পরিচয় করান বন্ড_ জেমস বন্ড হিসেবে। মার্কিন ককটেল হিসেবে ভদকাতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন বন্ড। তার সহজাত ও স্বাভাবিক পোশাক হচ্ছে একটি ডিনার জ্যাকেট। সচরাচর তিনি রোলেঙ্ সাবমেরিনার হাতঘড়ি পরতেই পছন্দ করেন। পরে তাকে ওমেগা সিমাস্টার ঘড়ি পরতেও দেখা যায়। বন্ড চরিত্রের স্রষ্টা ইয়ান ফ্লেমিং তার জীবদ্দশায় জেমস বন্ডের ওপর ১২টি বই লিখেছেন। তার মৃত্যুর পর অন্য লেখকরা এ সিরিজ লিখেছেন।

সর্বশেষ খবর