বুধবার, ২৪ জুলাই, ২০১৩ ০০:০০ টা

০১ - অ্যাঞ্জেলা মরকেল [জার্মানির চ্যান্সেলর]

০১ -  অ্যাঞ্জেলা মরকেল  [জার্মানির চ্যান্সেলর]

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী পত্রিকা ফোর্বস প্রকাশিত ২০১৩ সালের সবচেয়ে ক্ষমতাধর নারীদের তালিকায় বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর নারী হলেন জার্মানির বর্তমান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মরকেল।

জার্মানি, ইউরোপীয় ইউনিয়ন তথা বিশ্ব রাজনীতির অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই মানুষটির জন্ম ১৯৫৭ সালের ১৭ জুলাই পশ্চিম জার্মানির হামবুর্গে। জার্মানির ইতিহাসের প্রথম এই চ্যান্সেলর লৌহমানবী খ্যাত মার্গারেট থ্যাচারের পর দ্বিতীয় নারী হিসেবে জি-৮-এর চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন ২০০৭ সালে। মরকেলের বাবার নাম হোর্স্ট কাসনার এবং মায়ের নাম হারলিন।

অ্যাঞ্জেলা ডরোথি ক্যাসনার যিনি অ্যাঞ্জেলা মরকেল নামে বেশি পরিচিত। মরকেল জার্মানির বর্তমান ও প্রথম নারী চ্যান্সেলর হিসেবে দেশ পরিচালনায় নিয়োজিত আছেন। ১৯৭৮ সাল থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত ভৌত রসায়নের ওপর পড়াশোনা শেষ করেন। আর এর মধ্যেই ১৯৭৮ সালে তিনি লেপজিগ ইউনিভার্সিটি থেকে পদার্থবিদ্যায় ডক্টরেট লাভ করেন। গবেষক হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু। এরপর প্রকাশিত হয় তার বেশকিছু গবেষণাপত্র। কিন্তু অনেকটা অপ্রত্যাশিতভাবেই পাল্টে যায় তার জীবনের গতিপথ। ১৯৮৯ সালের দিকে তিনি রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। বিভক্ত জার্মানি_ পূর্ব জার্মানি ও পশ্চিম জার্মানি। ১৯৮৯ সালের নভেম্বরের দিকে দুই জার্মানির সীমানা বিভেদকারী বার্লিনপ্রাচীর পতনের পরপর তিনি রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় তিনি নবগঠিত 'ডেমোক্রেটিক অ্যাওকেনিং' নামক রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত হন। পূর্ব জার্মানির প্রথম (একমাত্রও বটে) গণতান্ত্রিক নির্বাচনের পর তিনি জার্মানি পুনরেকত্রীকরণ প্রক্রিয়া পূর্ব লুথার ডি মাজিরের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সহকারী মুখপাত্র হিসেবে নিযুক্ত হন। ১৯৯০ সালে জার্মানি পুনরেকত্রীকরণের পর তিনি একজন বানডারটাক বা জাতীয় সংসদের নিম্নকক্ষের আইনপ্রণেতা সদস্য নির্বাচিত হন। শুরু হয় এক বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন। তিনি ১৯৯৮-২০০০ মেয়াদে 'ক্রিস্টিয়ান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন-এর (সিডিইউ) সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং ২০০০ সালে এর সভানেত্রী নিযুক্ত হন। বর্তমানেও তিনি এই রাজনৈতিক দলের প্রধান হিসেবে নিযুক্ত আছেন। ২০০৫ সালে অনুষ্ঠিত দেশের কেন্দ্রীয় নির্বাচনে চ্যান্সেলর হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি তার বোনের দল 'ক্রিস্টিয়ান সোশ্যাল ইউনিয়ন' (সিএসইউ) ও 'সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি অব জামার্নি'কে (এসপিডি) নিয়ে বৃহত্তর জোট গড়ে তোলেন। উল্লেখ্য, তিনি এই জোটের সভানেত্রী নির্বাচিত হন। ২০০৯ সালের কেন্দ্রীয় নির্বাচনে তার দল সিডিইউ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করলে তিনি বোনের দল সিএসইউ ও 'ফ্রি ডেমোক্রেটিক পার্টি' নিয়ে কোয়ালিশন সরকার গঠন করেন। বর্তমানে এই কোয়ালিশন সরকারই দেশের রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত। সরকার পরিচালনায় তার সাহস, মেধা ও কঠোর সিদ্ধান্ত দেশের অভ্যন্তরে এবং বৈশ্বিক মহলে প্রচুর প্রশংসিত।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর