বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ ০০:০০ টা

ডাইনোসররাও প্রেমে পড়ত

ডাইনোসররাও প্রেমে পড়ত

ডাইনোসরের কথা এলেই সবার মনে ভেসে ওঠে হিংস্র এক প্রাণীর কথা। কিন্তু সব প্রজাতির ডাইনোসররা এতটা হিংস্র ছিল না। বেশ কিছু গবেষণায় প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে কিছু প্রজাতির ডাইনোসর ছিল যেগুলোর গায়ে ছিল রঙিন পালক। বিজ্ঞানীরা তাদের গবেষণা শেষে বলেছেন, ১৫ কোটি বছর আগে মারা যাওয়া এক ডাইনোসরের ফসিল পরীক্ষা করে তারা দেখেছেন সেটির গায়ে বিভিন্ন রঙের পালক বা লোম ছিল। এগুলোর বিশেষত্ব হচ্ছে, ডাইনোসরকে আকর্ষণীয় দেখাত। যা বিপরীত লিঙ্গের ডাইনোসরদের আকৃষ্ট করত বলে দাবি করেন তারা। গবেষকরা জানিয়েছেন, পাখির পালকে যেমন রংয়ের ছোপ থাকে, ওই ফসিলেও তেমনটি থাকার ইঙ্গিত স্পষ্ট। ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রিচার্ড প্রাম বলেছে, ওই ডাইনোসরটি যদি এখন জীবিত থাকত তাহলে সেটি হতো বিরাজমান প্রাণীদের মধ্যে সবচেয়ে ক্ষিপ্র গতির। ধারণা করা হচ্ছে, ডাইনোসরদের ওই রঙিন পালক সঙ্গী নির্বাচনে তাদের সহায়তা করত। ওই রঙিন পালক দেখেই ডাইনোসররা প্রেমে পড়ে যেত। এ জন্য যে ডাইনোসরগুলোর ফসিল খোঁজা হচ্ছিল সেগুলো জুরাসিক যুগে চীনে বসবাস করত। এমনই একটি ফসিল থেকে রঙিন পালক বা লোম থাকার বিষয়ে কৌতূহল জাগানো এই তথ্য পাওয়া যায়। গবেষকদের ধারণা, ডাইনোসরটির শরীরের রং ছিল ধূসর, ঝুঁটি ছিল লালচে বাদামি, মুখে ছিল দাগ এবং ডানা ও পায়ে ছিল সাদা পালকের মাথায় কালো ছোপ। এই প্রথমবারের মতো প্রাণীটির সারা দেহের রং বিশ্লেষণের জন্য পুরো ফসিলটি নিয়ে পরীক্ষা করা হয়। গবেষণা থেকে প্রাপ্ত তথ্যগুলো বলে, ডাইনোসরটির হালকা-পাতলা গড়ন ও মার্জিত বর্ণের ছিল। তবে এতকিছু জানা সম্ভব হয়েছে ফসিলটাও অসাধারণ অবস্থায় উদ্ধার করার ফলে। দেখা যায়, সব পালকই দেখা যাচ্ছে এবং সেগুলো আটকে আছে হাড়ের সঙ্গে। চীন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকরা প্রথমে আধুনিক বিভিন্ন পাখির ২৬টি পালক সংগ্রহ করেছেন এবং তাদের আবার ভেতরেও থাকা রঞ্জক পদার্থের কাঠামো লক্ষ্য করে দেখেছেন।

 

সর্বশেষ খবর