শুক্রবার, ১৪ মার্চ, ২০১৪ ০০:০০ টা

বাই রাজের গ্রাম

শাকুর মজিদ

বাই রাজের গ্রাম

চীনের ইউন্নান প্রদেশের দালিকে বলা হয় বাই স্বায়ত্তশাসিত রাজত্বের এক সময়কার রাজধানী। যে বাই রাজত্বে এ দু'দিন কাটালাম, তার রাজবাড়ি আমরা দেখিনি। কিন্তু এখন নাকি দেখতে হবে আদি বাই রাজাদের গ্রাম। এই গ্রাম দেখার জন্য আমাদের নিয়ে যাচ্ছে শহর থেকে বেশ দূরেই।

এর নাম জিংহো। দালি শহর থেকে ৩৪ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে এর অবস্থান। অতি প্রাচীনকাল থেকেই এই জিংহো সমগ্র চীনের মধ্যেই প্রসিদ্ধ ছিল উন্নত পদ্ধতিতে চাষাবাদ, ব্যবসা-বাণিজ্য আর বাই জনগোষ্ঠীর অনন্য স্থাপত্যিক ধারায় নির্মিত ঘরবাড়ির জন্য। বাই রাজ শাসনামলে এই গ্রামই ছিল সম্ভ্রান্ত বাইদের আবাসভূমি।

দু'দিকে চোখ জোড়ানো সবুজ ধানের ক্ষেত, মাঝখানে কালো পিচের রাস্তা। ছুটে যাচ্ছে আমাদের গাড়িটি। দূরে ক্যাংশান পর্বতমালার উপরে ভেসে বেড়াচ্ছে সাদা মেঘের ভেলা। এক সময় আমাদের গাড়িটি একটি ছোটখাটো মফস্বলের মতো এলাকার মধ্যে ঢুকে পড়ে। রাস্তায় মানুষজন খুব একটা চোখে পড়ছে না, ফাঁকাই বলা যায়। একদল শিশুকে দেখলাম সাইকেল নিয়ে খেলে বেড়াচ্ছে। আর যাদের দেখছি তারা সবাই বৃদ্ধ মহিলা। টুকিটাকি ঘর কন্যার কাজে বাইরে এসেছে। এসব মহিলাদের সবারই বয়স ৬০ থেকে ৭৫ এর মধ্যে হবে।

এলাকাটি কৃষিপ্রধান। এসব বাড়িঘরে যারা বসবাস করে তাদের প্রায় সবারই প্রধান পেশা কৃষি। বাসিন্দাদের সবাই হয়তো ক্ষেতে কাজ করছে সে কারণে রাস্তাঘাটে শিশু আর বৃদ্ধ ছাড়া কাউকে দেখা যাচ্ছে না। রাস্তার পাশে দুএকটা মুদি দোকানও চোখে পড়ল। যেহেতু এখন দুপুর, গ্রামের বাসিন্দারা সব ক্ষেতে-খামারে কাজে ব্যস্ত দোকানে বেচাবিক্রিও কম। দোকানিদের দেখে মনে হয়, এদের জীবনযাপন অত্যন্ত সহজ এবং বেশ মন্থর, ধীর। কোথাও কারও কোনো তাড়া নেই। এক দোকানের ভেতর উঁকি দিয়ে দেখি কয়েকজন মিলে পাশা খেলছে। চীনাদের এই পাশা খেলাটা একদমই বোঝা যায় না। পাশা খেলোয়াড়রা আমাদের দেখে হাসতে থাকেন। আমরাও তাদের হাসির উত্তরে শুধু হাসিটুকুই ফেরত দিতে পারি। দু'ধারে সারি সারি সাদা রঙের বাড়িঘর। একতলা আর দোতলার উচ্চতায় মিশেল। আমরা বিরাট আকারের একটা পুরনো গেটের সামনে নেমে পড়ি।

আমাদের দোভাষী কু অবশ্য এর আগে কখনো এখানে আসেনি। বিদেশি ডেলিগেট নিয়ে ইউন্নান টিভির বিদেশ শাখার কর্মকর্তা জুং এসেছে আগে। তার কাছে এ জায়গাটি একটি ঐতিহাসিক জায়গা। খুব আমোদ করে সে আমাদের এ জায়গার ইতিহাস শোনায়। নানঝো রাজত্বকাল [৭৩৮-৯৩৭] থেকে এই জিংহো গ্রামটি সামরিক এবং অন্যান্য দিকে অতি গুরত্বপূর্ণ গ্রাম হিসেবে পরিচিত। নানঝো রাজাদের রাজত্বকালে মূল বাজারটি বসত এই জিংহো গ্রামে। সে কারণে এখানে রাজকীয় সৈনিকদের একটি ব্যারাকও গড়ে উঠেছিল ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তার জন্য। জিংহো গ্রামটি ছিল সিল্ক রুটের অন্যতম একটি সংযোগস্থল। সে কারণে এ এলাকা নিজের আয়ত্তে রেখে ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা করার জন্যও ছিল এটি গুরুত্বপূর্ণ। সে কালে এই জিংহো গ্রামটি যার নিয়ন্ত্রণে থাকত সে-ই হতো ওই এলাকার রাজা।

ব্যবসা-বাণিজ্যের এমন প্রাণকেন্দ্র হয়ে ওঠার আরেকটি কারণ ছিল। অতি প্রাচীনকাল থেকেই ভেষজ ওষুধ, চা এবং সিল্ক উৎপাদনে বাই জনগোষ্ঠীর অনেক সুনাম ছিল। এই এলাকা থেকে সে সময় ভেষজ ওষুধ, চা আর সিল্ক চালান যেত পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে। কিন্তু এই পাড়াটির বর্তমান চেহারা দেখে বোঝার উপায় নেই, ৭০০-৮০০ বছর আগে কী পরিমাণ প্রভাব ছিল এখানকার বাসিন্দাদের। আজ এই পাড়া সাজিয়ে রাখা আছে পর্যটকদের জন্য।

কিন্তু এই ঘরবাড়িগুলো নিশ্চয়ই ৭০০-৮০০ বছরের পুরনো নয়। জুং তা স্বীকারও করল। বলল, তবুও ২০০-৩০০ বছরের পুরনো তো হবেই। আজ এখানে যারা থাকেন, তারা নিম্ন-মধ্যবিত্ত উপার্জন শ্রেণীর। সবাই খেটে খাওয়া মানুষ। এখন এই জিংহো গ্রামে এ রকম প্রায় ১০০টির মতো এরকম বাড়ি টিকে আছে। বাড়িগুলো সবই মিং [১৩৬৮-১৬৬২] আর ছিং রাজত্বকালে [১৬৪৪-১৯১১] নির্মিত। কিন্তু এরকম আদলের ঘরবাড়ি নির্মাণ শুরু হয়েছে প্রায় আড়াই হাজার বছর আগে। এবং সে সময় থেকে শুরু হওয়া নির্মাণশৈলী আজও বর্তমান এই জিংহো গ্রামে। সুদীর্ঘকালের ইতিহাস-ঐতিহ্য প্রাকৃতির বৈচিত্র্যতা বংশ পরম্পরায় লালন করে আসা মূল্যবোধ, এসবের সমন্বয়ে বাই জনগণ সৃষ্টি করেছে তাদের নিজস্ব নির্মাণশৈলী।

বাইরে খানিকক্ষণ হাঁটাহাঁটি করে আমরা একটা বাড়ির ভেতর ঢুকে পড়ি। বাড়িতে প্রবেশের জন্য একটি ফটক। ফটকের দুদিকে লম্বা সীমানা প্রাচীর। সে প্রাচীরে সাদা-কালো রঙের কারুকাজ, উপরে ছাই রঙের টালির ছাদ। সাদা রঙের সীমানা প্রাচীরের মাঝখানে কাঁচা হাতে ইংরেজিতে লেখা 'ওয়েল কাম টু আওয়ার ওল্ড হোম'।

ঢুকে পড়ি বাড়িটির ভেতরে। দোতলা কাঠের তৈরি বাড়িটির তিনদিকে তিনটি লম্বা ঘর। মাঝখানে একখণ্ড চৌকোনা উঠোন। ঘরের সামনে টানা বারান্দা। এদিক-ওদিক তাকাই। মানুষজন চোখে পড়ে না। বাড়িটি ইউ প্যাটার্নের। তিন দিকে তিনটি ঘর মাঝখানের ঘরটি বাড়ির প্রধান ঘর। প্রধান ঘরের ঠিক বিপরীত দিকে একটি সাদা দেয়াল। আর মাঝখানে একটি চৌকোনা উঠোন। বাড়ির বাইরে সাদাকালো রঙের প্রাধান্য থাকলেও ভেতরের দিকে লাল রংই বেশি। এই হচ্ছে বাই বাড়ির বৈশিষ্ট্য। বাড়ির লোকজনকে খুঁজতে থাকি। কিন্তু জনমানবের কোনো সাড়া-শব্দ পাই না। বাড়িটির একদিকে আরেকটি ছোট দরজা দেখে সে দরজা দিয়ে ভেতরে ঢুকে পড়ি। দরজাটি আরেকটি বাড়িতে প্রবেশের প্রবেশপথ। বুঝলাম, কতগুলো বাড়ি ইন্টারলকিং। এ বাড়িতেও কাউকে চোখে পড়ল না। বাড়ির এক কোণে একটি টেবিলের ওপর রাখা কয়েকটি নোটবই। নোট বইয়ের উপরে লেখা 'ভিজিটরস নোট বুক'। বুঝলাম, বাড়ির লোকজন সবাই কাজে বেরিয়ে গেছেন। বাড়ির দরজা খোলা। যে কেউ আস, বাড়িঘর দেখ, আর যাওয়ার সময় একটুখানি মন্তব্য লিখে যাও। আমি খাতা উল্টাই। বেশির ভাগই চীনা হরফের। দু'একটি ইংরেজি। পাশে একটা দান বাঙ্। যদি বাড়িটি দেখে খুশি হয়ে কিছু দক্ষিণা দিতে চান, তাহলে তার জন্য এই দান বাঙ্। বারান্দায় লম্বা দড়ির সঙ্গে ঝুলছে অনেকগুলো লাল রঙের হার্ট। ধাতস্থ হতে একটু সময় লাগে। এগুলোর মধ্যে শুধু হার্টই নেই। আছে কিছু ভ্যানিটি ব্যাগও। আরও কিছু প্রজাপতি এবং পাখিও। একটু পরেই বিষয়টি পরিষ্কার হয়। এগুলো সবই আসলে মেয়েদের ভ্যানিটি ব্যাগ। বুঝলাম, গ্রামে কোনো বেকার মানুষ নেই। যাদের বাইরে ক্ষেত-খামার আছে, তারা ক্ষেতে, যারা বাড়িতে থাকবে ঘরে কিছু না কিছু বানাবে। হাতের কাজ করা জিনিসপত্র বানিয়ে ঘরের বারান্দায় সাজিয়ে রাখে। এই বারান্দাই তাদের দোকান।

এসব যখন দেখছি তখন এক তরুণী এসে দাঁড়িয়েছে ক্যামেরার ফ্রেমে। কু'কে বলি, আমি মেয়েটির সঙ্গে কথা বলতে চাই। কু'র অনুরোধে মেয়েটি কাছে চলে আসে।

'মে আই নো ইয়োর নেম প্লিজ'?

কু' অনুবাদ করে দেয়। মেয়েটি উত্তর দেয় 'ইয়াং সো সিয়া'।

মেয়েটি হাত দিয়ে তার ঘর দেখায়। আমি তার ঘরে যেতে চাই। মেয়েটি সম্মতি দেয়। আমি মেয়েটিকে অনুসরণ করি। এ বাড়ির এক কোনায় একটি দরজা, সে দরজা দিয়ে মেয়েটি বেরিয়ে আরেকটি বাড়ির মধ্যে ঢুকে পড়ে। এ বাড়িতেও তিন দিকে তিনটি ঘর মাঝখানে উঠোন।

মেয়েটিকে বলি 'তুমি কি কর'?

'স্টুডেন্ট।'

কিন্তু তার পোশাক-আশাক যে কোনো আধুনিক তরুণীর মতোই। জিন্স প্যান্টের সঙ্গে লাল রঙের কামিজ পরেছে সে। এর আগে দেখা বাই তরুণীদের মতো নয়। তার মানে নিজের ঘরে, নিজের বাড়িতে তারা নানা রকমের পোশাকেই থাকে, আর যেখানে নিজেদের সংস্কৃতি প্রকাশের জায়গা, সেখানে তারা পরে ঐতিহ্যিক পোশাক। আমরা যেমন উৎসব অনুযায়ী আমাদের পোশাক নির্বাচন করি, তারাও তাই! মেয়েটির ঘরের সামনে আসতেই দেখি সুন্দর একটি পর্দা দিয়ে রাখা ঘরের দরজায়। কিন্তু এটি বোনা হয়েছে বাঁশ দিয়ে। মেয়েটি মাদুরের পর্দাটি গুটিয়ে একটি আংটার সঙ্গে আটকে রাখে।

ছিমছাম সাজানো গোছানো মাঝারি একটি ঘর। ঘরটি মেয়েটির লিভিং, স্টাডি, ডাইনিং আর বেডরুম। ঘরের একদিকে একটি খাট। খাটের পাশেই ওয়ারড্রব। ওয়ারড্রবের বিপরীত দিকে একটি সোফা। সোফার সামনে টি-টেবিলের ওপর বিভিন্ন খাবার সাজিয়ে রাখা। সোফার একপাশে মেয়েটির পড়ার টেবিল। পাশেই ছোট্ট একটি ড্রেসিং টেবিলও। ড্রেসিং টেবিলজুড়ে মেয়েটির ব্যবহার্য প্রসাধন সামগ্রী, পাশেই একটা টেলিভিশন। এই হচ্ছে এক বাই গ্রাম্য কিশোরীর থাকার ঘর। এ বাড়িটিতে তারা পাঁচজন থাকেন। বাবা, মা, দাদি আর তার ভাই। মেয়েটির বাবা-মা কাজে দালির বাইরে গেছে। আর দাদি ও ভাই বাড়ির পাশেই ভুট্টা ক্ষেতে কাজ করছে, মেয়েটি এখন বাড়িতে একা। তার বাবা-মায়ের ঘর দোতলাতে। ওখানে যেতে চাইলাম। মেয়েটি বাধা দেয়। বলে, ঘর গোছানো নেই। যাওয়া যাবে না। আমি রান্নাঘরটা দেখতে চাই। মেয়েটি নিয়ে যায় তাদের রান্নাঘরে। ঢাকা শহরের মধ্যবিত্তের এপার্টমেন্টগুলোতে যে ধরনের রান্নাঘর হয় অনেকটা সেরকমই। এখানে রান্না হয় গ্যাসে।

এর মধ্যে বেশ কিছু সময় আমাদের চলে যায়। হঠাৎ করে এক বৃদ্ধাকে দেখি কাঁধে কিছু একটা বোঝা নিয়ে ঘরে এসে ঢুকেছেন। কু বলল, ওই বৃদ্ধা হচ্ছেন মেয়েটির দাদি। কু তাদের সঙ্গে কথা বলে। আমার কাছে এই বাড়ির বাসিন্দাদের খবর দিল। এখানে একসঙ্গে লাগানো তিনটি বাড়ি। তিনটি বাড়িতে তিনটি আলাদা আলাদা পরিবার বাস করে। সরকার থেকে পাওয়া এই বাড়িগুলোর প্রতিটির স্থায়ী বাসিন্দা তারা। ১৯৪৯ সালে সফল চীন বিপ্লবের পর সরকারি ব্যবস্থাপনার মধ্যে চলে যায় রাজ্যের সম্পদ। সেখান থেকে যোগ্যতা ও মর্যাদা অনুসারে সরকার থেকেই প্রত্যেক পরিবারের জন্য বরাদ্দ দেয় ঘরবাড়ি। সামাজিক মর্যাদা ও যোগ্যতার মাপকাঠিতে সাতটি ভাগে ভাগ হয় তাদের। সে অনুযায়ী প্রত্যেক পরিবার একটি বাড়ির মালিকানা পায়। এই মালিকানার সূত্রে তারা স্থায়ীভাবে বসবাস করতে পারে, শুধু বিক্রি করার ক্ষমতা তাদের থাকে না। তবে শর্ত আছে যে, বাড়িগুলো তাদের ব্যবহার করতে দেওয়া হবে, সেগুলোর বাইরের কোনো কাঠামো বা আকৃতিতেও তারা কোনো পরিবর্তন আনতে পারবে না। বারান্দার এক কোণে কিশোরী মেয়েটির দাদি দোকান খুলে বসেছেন। রং করা যেসব ব্যাগ এবং শোপিস এতক্ষণ রোদে শুকাচ্ছিল সেগুলোই তিনি তার একটি টেবিলে সাজিয়ে রেখেছেন। দুপুর পর্যন্ত তিনি নাতি-নাতনিদের সঙ্গে ক্ষেতে অথবা রান্নাঘরে কাজ করেন। আর দুপুরের পর সাজিয়ে বসেন এই মনিহারী দোকান। মূলত পর্যটকদের জন্যই তার এই দোকানদারি।

নেমে আসি বাড়িটির উঠোনে। কু' জানাল বিভিন্ন আদলে বাই সম্প্রদায়ের বাড়িঘর হয়ে থাকে। এর মধ্যে প্রধান দুটি ধারা অনুসরণ করে বাড়িগুলো তৈরি হয়েছে। একধারার বাড়িগুলোতে তিনদিকে তিনটি ঘর থাকে, মাঝখানে একটি উঠোন আর একদিকে একটি দেয়াল। অন্যধারার বাড়িগুলো হয় পঞ্চভুজাকৃতির। চারদিকে চারটি ঘর, কোনার দিকে সাদা দেয়াল। এ দেয়ালটি দিয়ে একটা পঞ্চভুজের মতো আকার হয় প্লানে। যে ধারাতেই বাড়ি নির্মাণ করা হোক না কেন, বাই সম্প্রদায়ের বাড়িতে একটি সাদা রঙের দেয়াল থাকতেই হবে। এবং এই দেয়ালের চারদিকে থাকে বিভিন্ন প্রতীকী চিত্র। সাদা দেয়ালটি এ বাড়িতে বসবাসকারী মানুষগুলোর চারিত্রিক শুদ্ধতা এবং সরলতার প্রতীক।

এক সময়কার রাজার বাড়ি এখন অতি সাধারণ অধিবাসীর দখলে। এখন হয়তো তারা অতি দারিদ্র্যের মধ্যে বসবাস করছে, কিন্তু প্রাচীন ঐতিহ্যের অহঙ্কারটুকু মুছে ফেলে নিই। আমরা বাই রাজের গ্রাম ছেড়ে চলে আসি।

 

সর্বশেষ খবর