রবিবার, ১৩ এপ্রিল, ২০১৪ ০০:০০ টা

বৈচিত্র্যের নববর্ষ

বৈচিত্র্যের নববর্ষ

বিভিন্ন দেশে নিজস্ব রীতিতেই পালন করা হয় নববর্ষ। খ্রিস্টীয় ক্যালেন্ডারে যেমন জানুয়ারি মাসের ১ তারিখে নববর্ষ উদযাপিত হয়, তেমন নিজস্ব ধর্মীয় বিশ্বাস এবং প্রাচীন ঐতিহ্যের ভিত্তিতে নিজস্ব ক্যালেন্ডার অনুযায়ী বছরের প্রথম দিনে নববর্ষ উদযাপনের ব্যতিক্রমী রীতি রয়েছে। বাংলা পহেলা বৈশাখ বা ১৪ এপ্রিলে একই সঙ্গে নববর্ষ পালন হয় বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, মিয়ানমার, থাইল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশে।

পশ্চিমবঙ্গে মহাসমারোহে সাড়ম্বরে উদযাপিত হয় বাংলা নববর্ষ পহেলা বৈশাখ। বঙ্গাব্দের প্রথম দিনটিতে বিপুল উৎসাহ এবং উদ্দীপনার সঙ্গে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়ে থাকে সমগ্র পশ্চিম বাংলায়। এদিন গ্রামবাংলার বিভিন্ন অঞ্চলে আয়োজিত হয় চড়ক মেলা। এ মেলায় অংশগ্রহণকারীরা বিভিন্ন শারীরিক কসরত প্রদর্শন করে মানুষের মনোরঞ্জন করে থাকে। ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানগুলোর অধিকাংশই এদিন হালখাতার আয়োজন করে। গ্রামাঞ্চলে এবং কলকাতা শহরের উপকণ্ঠে পহেলা বৈশাখ থেকে আরম্ভ হয় বৈশাখী মেলা। ভারতের সাংস্কৃতিক রাজধানী কলকাতা পহেলা বৈশাখ উদযাপনে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। নববর্ষারম্ভ উপলক্ষে শহরের বিভিন্ন পাড়ার অলিতে-গলিতে নানা সংগঠনের উদ্যোগে প্রভাতফেরি আয়োজিত হয়। বিগত বছরের চৈত্র মাসে শহরের অধিকাংশ দোকানে ক্রয়ের ওপর দেওয়া হয়ে থাকে বিশেষ ছাড়, যার প্রচলিত কথ্য নাম 'চৈত্র-সেল'। কলকাতার বিখ্যাত কালীঘাট মন্দিরে বিভিন্ন ব্যবসায়ী ভোর থেকে প্রতীক্ষা করে থাকেন দেবীকে পূজা নিবেদন করে হালখাতা আরম্ভ করার জন্য। ব্যবসায়ী ছাড়াও বহু গৃহস্থও পরিবারের মঙ্গল কামনা করে দেবীর আশীর্বাদ প্রার্থনা করতে কালীঘাটে গিয়ে থাকেন। অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন শহরে যেমন- সিডনি, মেলবোর্ন, ক্যানবেরাতে বৈশাখী মেলার মাধ্যমে পহেলা বৈশাখ উদযাপন করা হয়। বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ নাচ-গান-ফ্যাশন শো-খাবারের মাধ্যমে বাঙালি সংস্কৃতির এ ধারাকে আনন্দময় করে তোলে। অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে সর্ববৃহৎ বৈশাখী মেলা অনুষ্ঠিত হয়। আগে বার্নউড বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হলেও ২০০৬ সাল থেকে সিডনি অলিম্পিক পার্কে মেলাটি অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। মেলায় বিপুলসংখ্যক লোকের সমাগম ঘটে এবং প্রবাসী বাঙালিদের জন্য এটি একটি আনন্দঘন দিন। সুইডেনেও বিপুল উৎসাহের সঙ্গে পহেলা বৈশাখ উদযাপিত হয়। ইংল্যান্ডে অবস্থানকারী প্রবাসী বাঙালিরা স্ট্রিট ফেস্টিভ্যাল (পথ উৎসব) পালন করে। এ উৎসবটি লন্ডনে করা হয়। ইউরোপে অনুষ্ঠিত সর্ববৃহৎ এশীয় উৎসব এটি এবং বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া সর্ববৃহৎ বাঙালি উৎসব। -রকমারি ডেস্ক

 

সর্বশেষ খবর