রবিবার, ১৩ এপ্রিল, ২০১৪ ০০:০০ টা

ছায়ানটের বর্ষবরণ

ছায়ানটের বর্ষবরণ

সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের ধারা চর্চা, ধারণ ও লালনে ছায়ানটের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। বর্ষবরণে ছায়ানট বিভিন্ন সাংস্কৃতিক আয়োজনের মাধ্যমে এ দিনটিকে করে তোলে উৎসবমুখর। ছায়ানট বাংলাদেশের অন্যতম সংস্কৃতিক সংগঠন। ১৯৬১ সালে এ সংগঠনটি প্রতিষ্ঠিত হয়। বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও উৎসব পালন করা ছাড়াও এ সংগঠন বাদ্যযন্ত্র, সংগীত, নৃত্য প্রভৃতি বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান ও সংগীত বিদ্যালয় পরিচালনা করে থাকে। পহেলা বৈশাখের অন্যতম আকর্ষণ রমনার বটমূলে ছায়ানটের পরিবেশনায় অনুষ্ঠিত বর্ষবরণ অনুষ্ঠান। ১৯৬১ সালে রবীন্দ্র-জন্মশতবার্ষিকী উৎযাপনের পর একটি প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক সংগঠন প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন কয়েকজন সংগঠক। তাদের মধ্যে মোখলেসুর রহমান (সিধু ভাই নামে পরিচিত), শামসুন্নাহার রহমান, সুফিয়া কামাল, ওয়াহিদুল হক অন্যতম। সাঈদুল হাসানের প্রস্তাবে সংগঠনটির নামকরণ করা হয় ছায়ানট। ১৯৬১ সালে সুফিয়া কামালকে সভাপতি আর ফরিদা হাসানকে সম্পাদক করে প্রথম কমিটি গঠিত হয়। ১৯৬১ সালে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ছায়ানটের প্রথম অনুষ্ঠানে পুরনো গানের আসর বসে। ১৯৬৩ সালে সন্জীদা খাতুনের উদ্যোগে বাংলা একাডেমির বারান্দায় সংগীত শেখার ক্লাস শুরু হয়। পহেলা বৈশাখ ১৩৭০ বঙ্গাব্দে ওস্তাদ আয়েত আলী খান এই বিদ্যালয়ের উদ্বোধন করেন। ইংরেজি ১৯৬৪ সাল, বাংলা ১৩৭১ সনের পহেলা বৈশাখ রমনার বটমূলে ছায়ানট বাংলা নববর্ষ পালন শুরু করে। কালক্রমে এ নববর্ষ পালন জাতীয় উৎসবে পরিণত হয়। এ ছাড়াও ছায়ানট ২৫ বৈশাখ, ২২ শ্রাবণ, শারদোৎসব ও বসন্তোৎসব গুরুত্বের সঙ্গে পালন করে।

 

সর্বশেষ খবর