রবিবার, ১৩ এপ্রিল, ২০১৪ ০০:০০ টা

হালখাতা

হালখাতা

বাংলা নববর্ষ সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ হালখাতা। ক্রেতা-বিক্রেতার রসায়ন আরও মধুর করতে উৎসবের অন্যরকম রূপ, মাধুর্য এনে দেয়। হালখাতা বঙ্গাব্দ বা বাংলা সনের প্রথম দিনে দোকানপাটের হিসাব আনুষ্ঠানিকভাবে হালনাগাদ করারই একটা আনুষ্ঠানিকতা মাত্র। বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনে ব্যবসায়ীরা তাদের দেনা-পাওনার হিসাব সমন্বয় করে এদিন হিসাবের নতুন খাতা খোলেন। এ জন্য খদ্দেরদের বিনীতভাবে পাওনা শোধ করার কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়। এ উপলক্ষে নববর্ষের দিন ব্যবসায়ীরা তাদের খদ্দেরদের মিষ্টিমুখ করান। খদ্দেররাও তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী পুরনো দেনা শোধ করে দেন। আগেকার দিনে ব্যবসায়ীরা একটি মাত্র মোটা খাতায় তাদের যাবতীয় হিসাব লিখে রাখতেন। এই খাতাটি বৈশাখের প্রথম দিনে নতুন করে হালনাগাদ করা হতো। হিসাবের খাতা হালনাগাদ করা থেকে হালখাতার উদ্ভব। শুধু বাংলাদেশ নয়, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ছোট, বড়, মাঝারি যে কোনো দোকানেই হালখাতা উৎসবের আমেজ পায়। মূলত পঁচিশে বৈশাখের সকালে সনাতন ধর্মাবলম্বী দোকানি ও ব্যবসায়ীরা সিদ্ধিদাতা গণেশ ও বিত্তের দেবী লক্ষ্মীর পূজা করে থাকেন এই কামনায় যে, তাদের সারা বছর যেন ব্যবসা ভালো যায়। এই দিন ক্রেতাদের আনন্দদানের জন্য মিষ্টান্ন, ঠাণ্ডা পানীয় প্রভৃতির ব্যবস্থা করে থাকেন ব্যবসায়ীরা। হালখাতা যেন পুরনো হিসাব-নিকাশ চুকিয়ে নতুন করে খদ্দেরের সঙ্গে ব্যবসায়িক যোগসূত্র স্থাপন। এদিন ব্যবসায়ীরা নতুনভাবে সাজিয়ে তোলেন তাদের ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান। গ্রাহকদের হালখাতা অনুষ্ঠানের নিমন্ত্রণ করেন। বাংলাদেশের পুরান ঢাকার চকবাজার, তাঁতীবাজার, শাঁখারীবাজার, বাংলাবাজার, শ্যামবাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় হালখাতার আয়োজন হয় জোরেশোরেই। -রকমারি ডেস্ক

 

সর্বশেষ খবর