রবিবার, ১৩ এপ্রিল, ২০১৪ ০০:০০ টা

বৈসাবি উৎসব

বৈসাবি উৎসব

চেঙ্গী, ফেনী ও মাইনী নদীতে ফুল ভাসানোর মধ্য দিয়ে খাগড়াছড়িতে শনিবার ভোরে শুরু হয়েছে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর তিন দিনব্যাপী ঐতিহ্যবাহী প্রাণের উৎসব 'বৈসাবি'। পুরনো বছরের গ্লানি মুছে নতুন বছরের শুভ কামনায় কিশোরী ও ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের ফুল তুলে গঙ্গা দেবীর উদ্দেশে নদী-খালে ভাসিয়ে দেওয়ার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে এই উৎসব।

চাকমা সম্প্রদায় শনিবার ফুল বিজু পালন করেছে। রবিবার মূল বিজু আর পহেলা বৈশাখ বা গজ্জাপয্যা পালন করবে। ওইদিন ঘরে ঘরে চলবে অতিথি আপ্যায়ন। ত্রিপুরা সম্প্রদায় হারিবৈসু, বিযুমা, বিচিকাতাল এবং মারমারা পেইংচোয়ে, আক্যে ও আদাদা। সোমবার মারমা সম্প্রদায়ের সাংগ্রাই উৎসবে ঐতিহ্যবাহী জলকেলি বা পানি উৎসব হবে। একই দিন জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে হবে বর্ষবরণের র্যালি।

ফুল বিজু, মূল বিজু ও বিচিকাতাল নামে নিজস্ব বৈশিষ্ট্যে এ উৎসব আনন্দের আমেজ ছড়ায়। ত্রিপুরা ভাষায় এ উৎসবকে বৈসু, মারমা ভাষায় সাংগ্রাই এবং চাকমা ভাষায় বিজু বলা হয়।

ত্রিপুরা, মারমা ও চাকমা- এই তিন সম্প্রদায়ের উৎসবের নাম একত্র করে 'বৈসাবি' শব্দটির উৎপত্তি। তঞ্চঙ্গ্যা, বম, খিয়াং, লুসাই, পাংখোয়া, ম্রো, খুমি, আসাম, চাক ও রাখাইনসহ ১৩ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী তাদের ভাষা-সংস্কৃতি ও অবস্থানকে বৈচিত্র্যময় করে তুলতে প্রতি বছর চৈত্রের শেষ দিন থেকে 'বৈসাবি' উৎসব পালন করে থাকে। -বান্দরবান প্রতিনিধি

 

 

 

সর্বশেষ খবর