হায়দার আকবার খান রনো
মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী সারাজীবন মেহনতি মানুষের মুক্তির জন্য সংগ্রাম করেছেন। তিনি একইসঙ্গে সমাজতন্ত্রের প্রবক্তা ছিলেন। ছিলেন স্বাধিকার আন্দোলনের প্রবাদ পুরুষ। তিনি প্রথম স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন। অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী ভাসানী সাহেব সারাজীবন গ্রামে একটি কুঁড়েঘরে কৃষকের মতো জীবনযাপন করেছেন। যার কোনো ব্যাংক একাউন্ট ছিল না, গাড়ি ছিল না, বাড়ি ছিল না। তিনি কেবল আমাদের জাতীয় ইতিহাসে নয় বরং ভারত বর্ষের ইতিহাসের এক অনন্য রাজনীতিক ব্যক্তিত্ব। যতদিন মেহনতি মানুষের সংগ্রাম থাকবে, মৌলবাদ, ধর্মান্ধতা, অসম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক চেতনার জন্য সংগ্রাম থাকবে ততদিন মুক্তিসংগ্রামী নেতা মওলানা ভাসানী বেঁচে থাকবেন।
কাজী সিরাজ
মওলানা ভাসানীর এদেশের সব নেতার নেতা। শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৪৮ সালে যখন আওয়ামী লীগ গঠন করেন তিনি ছিলেন তার সভাপতি। তিনি প্রথম স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করেছিলেন। ১৯৫৫ সালে পল্টন ময়দানের এক জনসভায় তিনি পাকিস্তানকে 'আস সালামু আলাইকুম' বলেছিলেন। পাকিস্তানের শেষদিকে তার অবিস্মরণীয় ভূমিকার জন্য তাকে নায়ক বলা হতো। তিনি যদি ভূমিকা না রাখতেন তাহলে শেখ মুজিবকে জেল থেকে মুক্ত করা যেত না। আদমজী শ্রমিক আন্দোলন, ঘেরাও আন্দোলন, আসামের আন্দোলনের জন্য তিনি অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিলেন। শ্রমিক আন্দোলনের সময় তিনি কারখানাকে রক্ষা করেই গণতান্ত্রিকভাবে সব আন্দোলন করেছেন। এই মহান নেতার নাম বাঙালি জাতি সারাজীবন মনে রাখবে।