শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ২৯ জানুয়ারি, ২০১৫ ০০:০০ টা

কঙ্গো-অ্যাঙ্গোলা

কঙ্গো-অ্যাঙ্গোলা

যদিও ১৯৯৮ থেকে ২০০৩ সাল অব্দি কঙ্গোর রুয়ান্ডা ও উগান্ডার বিরুদ্ধে চালানো যুদ্ধের সময় অ্যাঙ্গোলা সর্বতোভাবে সাহায্য করেছিল দেশটিকে, এর পুরোটাই পরে ভেস্তে যায়।

নষ্ট হয়ে যায় এই দুটি দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। আর এর পেছনে মূল কারণগুলো ছিল ভৌগোলিক সীমানা তৈরি, তেলের মালিকানা, রুয়ান্ডা ও উগান্ডার সঙ্গে অ্যাঙ্গোলার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি। একটা সময় প্রচণ্ড সংঘর্ষ বাধে দেশ দুটির ভিতরে। যার ফলে ২০০৯ সালেই মোট ২ লাখ ১১ হাজার মানুষকে ছাড়তে হয় নিজেদের আবাস। যদিও এই যুদ্ধের শিকার এ দুটি দেশে বাস করা সব মানুষই, তবে এর কুফল বেশি পড়ছে নারীদের ওপরে। জাতিসংঘের ভাষ্যমতে, অ্যাঙ্গোলার নারী ও মেয়ে, যারা কিনা সীমান্তের কাছ দিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে বা অপর পাশে ঘুরতে গিয়েছে, তাদের ভিতরে অনেককেই ধর্ষণের মুখে পড়তে হয়েছে। গত জানুয়ারি মাসে অ্যাঙ্গোলার দেওয়া তথ্যমতে, সীমান্তবর্তী ৭টি গ্রামের মোট ১৮২ জন ধর্ষিত হয়েছে এক মাসেই। আর জাতিসংঘের দেওয়া তথ্যমতে, গত বছরের ৬ থেকে আট মাসের ভিতরে ধর্ষণের সংখ্যা ছুঁয়েছে ১৩৫৭-এর কোঠা।

সীমান্তবর্তী এলাকায় উত্তেজনার সূত্র ধরে এখানে চলে নৈরাজ্য। ধর্ষিত মেয়েদের বেশির ভাগই শিকার হচ্ছে সৈন্যদের পাশবিকতার। তাদের কেউ কেউ এসে অভিযোগ করে যাচ্ছে। তবে অ্যাঙ্গোলার সরকারের মতে, গণনার বাইরে রয়েছে এমন ধর্ষিত নারীর সংখ্যা অনেক।

 

সর্বশেষ খবর