মঙ্গলবার, ২৮ এপ্রিল, ২০১৫ ০০:০০ টা

হেনরি উনস্টন [লুট হয় ১০৮ মিলিয়ন ডলার]

হেনরি উনস্টন [লুট হয় ১০৮ মিলিয়ন ডলার]

ব্যাংক লুটের আরেক রূপ দেখা যায় ২০০৮ সালে। মাত্র দুজন লুটেরার অংশগ্রহণে ১০৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার লুটের ঘটনা বিস্ময়কর বলা যায়। একটি জুয়েলারি দোকানে লুটের চেষ্টা করা হয়। চারজন লুটেরা হঠাৎ ঢুকে যায় একটি হীরার দোকানে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল দামি হীরা সরিয়ে নেওয়া। ছদ্মবেশে যাওয়ায় কেউ বুঝতেই পারেনি তারা লুটের জন্য এসেছে। সুদর্শন নারীর পোশাকে ও চালচলনে তাদের দেখে সাধারণ ক্রেতাই মনে হচ্ছিল। কিন্তু পোশাকের আড়ালে অস্ত্র ছিল। অস্ত্র বের করে হঠাৎ করেই দোকানের ভিতরে উপস্থিত সবাইকে জিম্মি করে ডাকাত দল। তাদের দাবি ছিল দোকানে যত হীরা ও দামি পাথর রত্ন রয়েছে সব একটি ব্রিফকেসে ভরে দিয়ে দেওয়ার জন্য। কিন্তু এ নিয়ে গড়িমসি করে দোকানিরা। আর তাতেই ক্ষেপে ওঠে ডাকাতরা। সঙ্গে ছিল হ্যান্ডগ্রেনেড। বোমা ছুড়তে উদ্যত হলে আর দেরি করেনি কেউ। সবাই আতঙ্কে দিশাহারা হয়ে পড়লে ডাকাত দল লুট শুরু করে। দোকানের ভল্ট ভেঙে বের করে আনতে থাকে দামি রত্ন পাথর ও হীরা। ব্রিফকেসে পাথর ভরার পর আর দেরি করেনি তারা। দোকান থেকে ছুট দেয় তারা। কিন্তু প্রশ্ন ওঠে, তাহলে দুজনের কথা বলা হয় কেন। এই লুটের পেছনে আরেকটি রহস্য রয়েছে। ব্যাংক লুটের সঙ্গে যোগসূত্র রয়েছে এই রহস্যের পেছনে। হীরা লুট করে চলে যায় দুজন। আর বাকি দুজন ব্যাংক ঋণের টাকায় কেনা হীরা সরিয়ে নেয়। ব্যাংক থেকে লুট না করে সে পরিমাণ টাকার হীরা তারা ঠিকই সরিয়ে ফেলে। ব্যাংকের টাকা লুট করার এ এক অভিনব পন্থা আলোচিত হয়ে আসছে আজ অবধি। ব্যাংকের ভল্টে থাকার কথা যে রত্ন পাথরের, তা আগেই সরিয়ে নেওয়া হয় দোকান থেকে। লুট হওয়ার পর কাগজে-কলমে ফেঁসে যায় ঋণগ্রহণকারী। কিন্তু টাকা না পাওয়ার অনিশ্চয়তায় একই সঙ্গে বিপাকে পড়ে যায় ব্যাংক।

 

 

সর্বশেষ খবর