শুক্রবার, ৮ মে, ২০১৫ ০০:০০ টা

রবীন্দ্রনাথের নোবেল পদক চুরির রহস্য

রবীন্দ্রনাথের নোবেল পদক চুরির রহস্য

গীতাঞ্জলি কাব্যের জন্য ১৯১৩ সালে বাঙালির প্রথম নোবেল জয় এসেছিল বিশ্বকবির হাত ধরে। পদকটি রাখা হয়েছিল কবির নিজের হাতে গড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতী জাদুঘরে। কিন্তু নিরাপত্তার ঢিলেমির সুযোগে বাঙালি হিসেবে পৃথিবীর বুকে প্রথম স্বীকৃতির এই সোপান চিহ্ন নোবেল পদকটি খোয়া যায়। ২০০৪ সালে এই রাতে পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার বোলপুরের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উত্তরায়ণের রবীন্দ্র জাদুঘর থেকে রহস্যজনকভাবে 'নোবেল পদক'সহ চুরি যায় কবির ব্যবহার্য অন্তত অর্ধশত মূল্যবান জিনিস।

অবাক হলেও সত্যি, ভারত সরকারের প্রায় সব গোয়েন্দা সংস্থা মাঠে নেমে তদন্ত করলেও গত ১১ বছরে এই চুরির কিনারা করতে পারেনি। সিবিআই, সিআইডি এবং রাজ্যপুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ পৃথক পৃথকভাবে তদন্ত করেছে এই আলোচিত চুরির রহস্য সন্ধানে। আশ্চর্য হলেও এটা ঠিক যে, এই চুরির সঙ্গে যুক্ত সন্দেহে এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি তদন্তরত এসব সংস্থা। ২৫ মার্চ ২০০৪, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা ১৫ মিনিট। আর দশটা দিনের মতো কর্মচাঞ্চল্যে মেতে উঠেছে শান্তিনিকেতন। যথারীতি ক্লাস করেছে ছাত্ররা। হঠাৎ বিনামেঘে বজ্রপাতের মতো খবরটা ছড়িয়ে পড়ল, নোবেল চুরি হয়েছে। সবাই ছুটল উত্তরায়ণের দিকে। শুধু নোবেল কেন কবিগুরুর অনেক ব্যবহার্য জিনিসপত্র। এ উত্তরায়ণই আজ রবীন্দ্র সংগ্রহশালা। সংগ্রহশালার কর্মচারীরা যখন ভবনের দ্বার খুলে দেন তখনই সবার চোখে পড়ে ব্যাপারটা। শুরু হয় হৈচৈ। গোটা রবীন্দ্র ভবন ঘিরে ফেলে পুলিশ। ততক্ষণে বড্ড দেরি হয়ে গেছে। সেখান থেকে চুরি হয়ে গেছে রৌপ্য পদক, ওঁ লেখা সোনার আংটি, জামার সোনার বোতাম, কাফ লিঙ্ক, মৃণালিনী দেবীর শাড়ি, সোনা-বাঁধানো নোয়া, নোবেল পুরস্কারের পদক রুপার রেকাবি, রুপার কফি কাপ, সামুরাই তরবারি, কফি কাপ রাখার তেপায়া, চৈনিক চামুচ, কোবে শহর থেকে পাওয়া হাতির দাঁতের ঝাঁপিসহ আরও ৩৭টি জিনিস। আজও খুঁজে পাওয়া যায়নি কবির পদকও। তবে নোবেল কমিটি একটি ডুপলিকেট রেপ্লিকা দান করেছে।

 

 

সর্বশেষ খবর