বৃহস্পতিবার, ১৬ জুলাই, ২০১৫ ০০:০০ টা

\\\'ফ্রাঙ্কলিনের সঙ্গে বিয়ে? কখনো না!\\\'

\\\'ফ্রাঙ্কলিনের সঙ্গে বিয়ে? কখনো না!\\\'

পরিবারের সঙ্গে বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন

ব্যক্তি ফ্রাঙ্কলিনকে নিয়ে কৌতূহলের কমতি নেই কারও। কিন্তু একটু বেখেয়ালী বলে তার সঙ্গে মেয়ে বিয়ে দিতে চাননি ডেবোরাহর মা। আগে থেকে সম্পর্কের জের ধরে ১৭২৩ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সেই ১৫ বছরের ডেবোরাহ রিডকে বিয়ের প্রস্তাব দেন ফ্রাঙ্কলিন। বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে গেলে তা যে খুব সাদরে গ্রহণ করা হয়নি তা নিশ্চয়ই অনুমান করা যায়। বিশেষত ডেবোরাহের মা এ ব্যাপারে কখনোই রাজি ছিলেন না। ফ্রাঙ্কলিন তখন লন্ডনের পথে যাত্রা করা এক সম্বলহীন যুবক। কোনোমতেই নিজের মেয়েকে তখন ফ্রাঙ্কলিনের হাতে তুলে দিতে চাননি সদ্যবিধবা হওয়া ডেবোরাহের মা। এরপর অনেক চড়াই-উৎরাই আসে ফ্রাঙ্কলিনের জীবনে।

আর ঠিক সে সময়ই ডেবোরাহের বিয়ে হয়ে যায় জন রজার্স নামের একজনের সঙ্গে। রজার্সের অনেক বেশি ধারদেনা ছিল। আর সেগুলো কাটাতে বিয়ের যৌতুক সঙ্গে করে ডেবোরাহকে ছেড়ে পালিয়ে যায় সে একদিন। এরপর আর কোনোদিন রজার্সের খোঁজ পাওয়া যায়নি। তারপরও তখনকার নিয়ম অনুযায়ী দ্বিতীয়বার বিয়ে করার অনুমতি ছিল না ডেবোরাহের। তবে ১৭৩০ সালে একত্রে থাকা শুরু করেন ফ্রাঙ্কলিন ও ডেবোরাহ।

বিয়ে করেন একে অপরকে। তাদের সঙ্গে থাকতে শুরু করে ফ্রাঙ্কলিনের সন্তান উইলিয়াম ফ্রাঙ্কলিন ও আরও দুই ছেলে-মেয়ে। তবে কিছুদিন বাদেই দুই ছেলের মধ্যে একজনকে হারায় এ দম্পতি। ডেবোরাহের খুব ভয় ছিল সাগরকে। আর তাই ফ্রাঙ্কলিনের বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও কখনো সাগরে ভ্রমণ করেননি তিনি। সেটা ১৭৭৪ সালের কথা। ফ্রাঙ্কলিন তখন ব্যবসার কাজে ইংল্যান্ডে। ডেবোরাহ চিঠি লেখেন ফ্রাঙ্কলিনকে তাড়াতাড়ি আসার জন্যে। কিন্তু নিজের কাজ শেষ করা অব্দি আসেননি তিনি। সব কাজ শেষ করে ১৭৭৫ সালে বাড়ি ফিরে আসেন ফ্রাঙ্কলিন। অবশ্য ততদিনে অপেক্ষা শেষ করে না ফেরার দেশে চলে গিয়েছিলেন ডেবোরাহ।

 

সর্বশেষ খবর