মঙ্গলবার, ২০ অক্টোবর, ২০১৫ ০০:০০ টা

ময়মনসিংহে মোড়ে মোড়ে যানজট

সৈয়দ নোমান, ময়মনসিংহ

ময়মনসিংহে মোড়ে মোড়ে যানজট

ময়মনসিংহ শহরের মোড়ে মোড়ে যানজট এখন নিত্য দিনের ঘটনা। ভয়াবহ যানজটই এখন হয়ে উঠেছে বিভাগে উন্নীত শহরের বাসিন্দাদের নিয়তি। শহরের চরপাড়া মোড়, পাট গুদাম ব্রিজ মোড়, রেলস্টেশন মোড়, গাঙ্গিনারপাড় মোড়, নতুনবাজার মোড়, জিলা স্কুল মোড়, টাউন হল মোড়, সানকিপাড়া রেলক্রসিং, পুরাতন ফুলবাড়িয়া বাসস্ট্যান্ড এবং সি কে ঘোষ রোড এলাকায় প্রতিদিন সৃষ্টি হচ্ছে অসহনীয় যানজট। এতে দুর্ভোগে পড়ছে শিক্ষার্থী ও কর্মজীবী মানুষেরা। বাদ পড়ছে না অ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরি গাড়িও। যানজটের মূল কারণ জেলা ট্রাফিক বিভাগের অব্যবস্থাপনা, ফুটপাথ দখল, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও যত্রতত্র পার্কিং। শহরের মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সংলগ্ন চরপাড়া এলাকা দিয়ে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা বিভিন্ন যাত্রীবাহী বাসগুলো চলাচল করে। এতে যানজট বাড়ছে। জেলা ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর মাহবুব বলেন, কেওয়াটখালি থেকে ব্রিজ মোড় পর্যন্ত রাস্তা সরু হওয়ায় আমরা দুই দিক থেকেই বাস চলাচল করতে দিচ্ছি। এ ছাড়াও হাসপাতালকে ঘিরে অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে সড়কের দুই ধারে অসংখ্য টং দোকান। ফলে সড়ক চার লেন করার পরও যানজটের কোনো উন্নতি হয়নি। শহরের ব্যস্ততম এলাকা গাঙ্গিনারপাড়। এ মোড় থেকে স্টেশন রোড পর্যন্ত সড়কের দুই পাশের ফুটপাথ দখল করে প্রতিদিন বসে হকাররা। অভিযোগ রয়েছে, অবৈধ এ দখলবাজির চাঁদার টাকা যাচ্ছে শহরের ১ নম্বর ফাঁড়ি পুলিশের পকেটে। এ কারণে ফুটপাথ দখলকারীদের উচ্ছেদ করা হচ্ছে না। গুরুত্বপূর্ণ এসব পয়েন্টে যানজটের আরেক কারণ বৈধ-অবৈধ ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। শহরের পাট গুদাম শম্ভুগঞ্জ ব্রিজের ওপর দিয়ে শেরপুর, নেত্রকোনা ও কিশোরগঞ্জ জেলার যাত্রীবাহী বাস ও ট্রাক চলাচল করে। শহরের গুরুত্বপূর্ণ এ মোড়ে আগে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজট লেগেই থাকত। সম্প্রতি পৌর মেয়রের বিশেষ উদ্যোগে এখানে যানজট কমে এসেছে।

শহরের দুর্গাবাড়ি এলাকার বাসিন্দা ও ব্যবসায়ী পার্থ কর্মকার তাপস ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, শহরজুড়ে তীব্র যানজটে মাঝে-মধ্যে জনজীবনে চরম নাভিশ্বাস উঠে।  স্থানীয়দের অভিযোগ, শহরের মাসকান্দা ও দিঘারকান্দা বাইপাস চালু থাকলেও অনেক বাস ও ট্রাক সেই পথে না গিয়ে শহরের ভিতর দিয়ে চলাচল করে। দিনের বেলায় গুরুত্বপূর্ণ সড়কে ট্রাক চলাচল নিষিদ্ধ থাকলেও কেউ মানছে না। দিনদুপুরে শহরে ট্রাক চলাচলে যানজট বাড়ছে- স্বীকার করে ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মাহবুব বলেন, এ বিষয়ে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। জেলা প্রশাসক মোস্তাকিম বিল্লাহ ফারুকী বলেন, আমরা পুলিশকে বলে দিয়েছি অবৈধ অটোরিকশা যেন শহরে না আসতে পারে। এ দায়িত্বটা মূলত ট্রাফিক ইন্সপেক্টরের। ময়মনসিংহ পৌরসভার মেয়র ইকরামুল হক টিটু বলেন, আমরা ৭৫০টি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার লাইসেন্স দিয়েছি। এর বাইরে অবৈধ অটোরিকশার দায়িত্ব ট্রাফিক পুলিশেরই।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর