মঙ্গলবার, ২৭ অক্টোবর, ২০১৫ ০০:০০ টা

ফুটপাথ অবশিষ্ট নেই চট্টগ্রাম নগরে

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

ফুটপাথ অবশিষ্ট নেই চট্টগ্রাম নগরে

চট্টগ্রাম মহানগরে সড়ক অনুপাতে পথচারীদের হাঁটার প্রয়োজনীয় ফুটপাথ তৈরি হয়নি। কিন্তু যা আছে তাও অবশিষ্ট নেই। সব দখল-বেদখলে। পথচারীদের চলতে হয় মূল সড়কের ওপর দিয়ে। ফলে যানজট যেমন নিত্যসঙ্গী তেমনি মূল সড়ক দিয়ে হাঁটতে বাধ্য হওয়ায় দুর্ঘটনায়ও পড়ছেন পথচারীরা।

দীর্ঘদিন ধরে ফুটপাথে চলছে ব্যবসা-বাণিজ্য। তা ছাড়া এসব ফুটপাথ দখলের নেপথ্যে আছে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ। বর্তমানে অবৈধভাবে ফুটপাথ দখলে আছে অন্তত ২৫ হাজার ‘স্থায়ী ও ভ্রাম্যমাণ হকার’।

চসিকের প্রকৌশল বিভাগ সূত্র জানায়, ৬০ বর্গমাইলের এই নগরীতে ৪২৮ কিলোমিটার পাকা সড়কে ফুটপাথ আছে ৬৫৫ কিলোমিটার। ৮২ কিলোমিটার সড়কে কোনো ফুটপাথ তৈরি হয়নি। তা ছাড়া নগরীর প্রায় ২৫টি প্রধান সড়কের মধ্যে ১৬টির কোনো ফুটপাথ নেই। আবার যে সড়কে ফুটপাথ আছে সেগুলো বেদখলে।

 

সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজিয়া শিরিন বলেন, অবৈধভাবে ফুটপাথ দখলকারীদের বিরুদ্ধে আমাদের ভ্রাম্যমাণ আদালত নিয়মিত পরিচালিত হয়। কিন্তু উচ্ছেদের পরও তারা আবার ফুটপাথ দখল করে। এক্ষেত্রে নিয়মিত মনিটরিং দরকার।     

চট্টগ্রাম সম্মিলিত হকার্স ফেডারেশনের সভাপতি মিলন হোসেন মিলন বলেন, প্রকৃত হকাররা সড়কে ব্যবসা করেন না। ভাসমান ব্যবসায়ীরাই ফুটপাথে বসেন। সরেজমিনে দেখা যায়, কেবল ফুটপাথ নয়, এখন মূল সড়কও হকার ও ভাসমান ব্যবসায়ীদের দখলে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরাই এসব ফুটপাথ দখলে ব্যস্ত। জুবিলি রোড দখলে আছে মেশিনারি ব্যবসায়ীদের। কদমতলী রোডের ফুটপাথ দখল হয়েছে পুরনো লোহা ও লক্কর-ঝক্কর মালামাল রেখে। নিউ মার্কেট ও স্টেশন রোড এলাকার ফুটপাথ দখলে আছেন কাপড়, জুতা ও নানা পণ্যের ব্যবসায়ীরা। ইপিজেড এলাকার ফুটপাথে আছেন ক্ষুদ্র কাপড় ব্যবসায়ীরা। মিউনিসিপ্যাল মডেল স্কুলের সামনে থেকে শুরু করে শাহ আমানত মার্কেট পর্যন্ত অংশ আছে সিডি-ভিসিডি ব্যবসায়ীদের দখলে। ২ নম্বর গেট থেকে শপিং কমপ্লেক্স পর্যন্ত দখলে  রেখেছেন কাপড় ব্যবসায়ীরা।

সর্বশেষ খবর