মঙ্গলবার, ২৭ অক্টোবর, ২০১৫ ০০:০০ টা

অটোরিকশা এখন গলার কাঁটা

কাজী শাহেদ, রাজশাহী

অটোরিকশা এখন গলার কাঁটা

রাজশাহী মহানগরীর সাহেববাজার জিরো পয়েন্ট থেকে সোনাদীঘি মোড়ের দূরত্ব মাত্র ২০০ মিটার। এ ২০০ মিটার দূরত্বে রিকশা অথবা মোটরসাইকেলে যেতে সময় লাগে কমপক্ষে ২০ মিনিট। স্কুল ছুটি হলে সময় আরও বেড়ে যায়। কারণ নিয়ন্ত্রণহীনভাবে চলাচল করে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। নিয়ন্ত্রণহীন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বাড়াচ্ছে দুঃসহ যানজট। কোনো নিয়ম-কানুন ছাড়াই নগরীর রাস্তায় চলছে ১০ হাজারের বেশি অটোরিকশা। সিটি করপোরেশন (রাসিক) এগুলো চলাচলের লাইসেন্স দেওয়ায় বেকায়দায় পড়েছে ট্রাফিক পুলিশ। ট্রাফিক বিভাগের বক্তব্য- ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা যানবাহনের ক্যাটাগরিতে না পড়ায় এগুলোর বিরুদ্ধে আইনি কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না। নগর ট্রাফিক বিভাগের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, নগরীতে সিএনজিচালিত হিউম্যান হলার আছে প্রায় এক হাজার। এগুলো দাঁড় করানোর জন্য নগরীতে নির্ধারিত কোনো স্ট্যান্ড নেই। ফলে যেখানে-সেখানে দাঁড়িয়ে যাত্রী ওঠানামা এবং পার্কিং করার কারণে যানজট বাড়ছে। একই অবস্থা ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার বেলায়। সকাল থেকে নগরীর সাহেববাজারসহ প্রধান প্রধান বিপণি বিতানগুলোর সামনে এ অবস্থা আরও প্রকট। আলুপট্টি থেকে মনিচত্বর ও জিরো পয়েন্ট থেকে রেলগেট পর্যন্ত রাস্তায় চলাচলকারীরা দুর্ভোগের মধ্যে পড়ছেন। জিরো পয়েন্টের রাস্তায় ওয়ানওয়ে করেও লাভ হচ্ছে না।

ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার কারণে যানজট বেড়ে যাওয়ায় সড়কের মাঝে ব্যারিকেড দিয়ে ওয়ানওয়ে চালু করে ট্রাফিক পুলিশ। জিরো পয়েন্ট হয়ে আর ইউটার্ন নেওয়ার সুযোগ না থাকায় কলেজিয়েট স্কুলের কাছে গিয়ে অটোরিকশাসহ অন্য বাহনগুলোকে ইউটার্ন নিতে হয়। কলেজিয়েট স্কুলের সামনে রাস্তা সরু হওয়ায় সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এ সড়কের যানজট আর ছাড়ে না। স্কুল ছুটি হওয়ার সময় এ যানজট আরও তীব্র হয়। মহানগর ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক রায়হানুল ইসলাম বলেন, অটোরিকশা নিয়ে আমরা চরম বেকায়দায় পড়েছি। কারণ এগুলো কোনো নিয়ম-কানুন মানে না। যার যেভাবে ইচ্ছা সেভাবেই চালাচ্ছে। এতে রাস্তায় যানজট হচ্ছে। দুর্ঘটনা ঘটছে প্রতিনিয়ত। নগরীর সাহেববাজার ছাড়াও নিউমার্কেট, কামারুজ্জামান চত্বর, লক্ষীপুর মোড়, বাসস্ট্যান্ড এলাকাতেও সবসময় থাকে যানজট। রাজশাহী সিটি করপোরেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত মেয়র নিজাম উল আযিম বলেন, নগরীতে প্রায় আট হাজার অটোরিকশার লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এগুলো চলাচলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করায় নতুন করে আর লাইসেন্স দেওয়া হচ্ছে না।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর