বৃহস্পতিবার, ২৬ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

হলিউডের বাকি কাহিনী

যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলস ক্যালিফোর্নিয়ায় রয়েছে ইউনিভার্সাল স্টুডিও হলিউড। এটি বিশ্বের অন্যতম চমকপ্রদ থিমপার্ক। এর আগে প্রকাশ করা হয়েছিল স্টুডিওগুলোর গল্প। এ পর্বে থাকছে বিভিন্ন রাইড, স্টেইজ ও লাইভশোগুলো। হলিউড ঘুরে এসে লিখেছেন- লাকমিনা জেসমিন সোমা

হলিউডের বাকি কাহিনী

দেশে ফেরার আগে হাতে খুব বেশি টাকা-পয়সা ছিল না। তারপরও ব্যাগ খুললাম। অবাক কাণ্ড! দেখি একটি টিফিন বক্সে চিকেন ফ্রাইড রাইস এবং পলিথিনে মোড়া কিছু ফলমূল। চামান চুমকি নামে যে বাংলাদেশি ভদ্রমহিলা আমাকে এখানে লিফট দিয়েছিলেন এটিও তার কাজ। ঢেঁকি যে স্বর্গেগেলেও ধান ভানে আর বাঙালি জাতি যে ভিনদেশে গেলেও নিজেদের আত্নার বন্ধন ধরে রাখে, এটি তারই প্রমাণ...

 

হলিউডের ডায়েরি থেকে...

দূরে আকাশ ছোঁয়া নীল পাহাড়। সেদিকে দৃষ্টি রেখে ব্যাকলট থেকে পাহাড়ি সিঁড়ি বেয়ে উঠলাম ফ্রন্টলটে। মেঘের কোলে শুয়ে থাকা সেই পাহাড়কে আরও কিছুক্ষণ দৃষ্টি সীমানায় রাখতে ফ্রন্টলটে দাঁড়ালাম। চোখে বিস্ময় আর মনে আনন্দ নিয়ে পরবর্তী অভিযানের জন্য ম্যাপ খুলে বসলাম। হলিউডের স্টুডিওগুলো মোটামুটি দেখা শেষ। এবার বিখ্যাত সব মুভি অবলম্বনে তৈরি বিচিত্র সব রাইড, লাইভ শো ও অন্যান্য আকর্ষণের পালা। ঝটপট রওনা হলাম। কিছুদূর যেতেই আবার থামলাম। কোথায় যেন কিছু একটা গণ্ডগোল মনে হলো! হ্যাঁ, গণ্ডগোলটা ক্ষুধার রাজ্যে। দেশে ফেরার আগে হাতে খুব বেশি টাকা-পয়সা ছিল না। তারপরও ব্যাগ খুললাম। অবাক কাণ্ড! দেখি একটি টিফিন বক্সে চিকেন ফ্রাইড রাইস এবং পলেথিনে মোড়া কিছু ফলমূল। চামান চুমকি নামে যে বাংলাদেশি ভদ্রমহিলা আমাকে এখানে লিফট দিয়েছিলেন এটিও তার কাজ। ঢেঁকি যে স্বর্গে গেলেও ধান ভানে আর বাঙালি জাতি যে ভিনদেশে গেলেও নিজেদের আত্নার বন্ধন ধরে রাখে, এটি তারই প্রমাণ। যাহোক ঝটপট খেতে শুরু করলাম। ফল খাওয়ার সময় একটা কথা মনে পড়ে গেল। হলিউডের উদ্দেশ্যে গতকাল স্যান্ডিয়াগো থেকে যখন লসএঞ্জেলেসে পৌঁছলাম, তখন শহরের এক অপরূপ দৃশ্য দেখার সৌভাগ্য হলো। এখানে সারি সারি কাঠের দোতলা। প্রতিটি বাড়িই দেখতে এক রকম। ধবধবে সাদা। আর বাড়ির চারপাশে কমলা লেবুর গাছ। গাছে-গাছে সবুজ পাতার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে হাসছে হলদেটে রসালো কমলা। ফলের ভারে নুইয়ে পড়েছে ডাল। আমরা দুজন প্রথমেই ভুল করে ফেললাম। বাড়িগুলো দেখতে একই রকম হওয়ায় একটি ভুল বাড়িতে ঢুকে পড়েছিলাম। হঠাৎ বুঝতে পেরে থমকে দাঁড়ালাম। তারপর দিক পরিবর্তন করলাম। কিছু দূর হেঁটে আবার একটি বাড়ির সামনে থামলাম। থামতেই হলো। এই ভিনদেশে ইংরেজির রাজত্বে ছোট্ট একটি বাড়ি থেকে ভেসে আসছে বাংলা গানের সুর! কৌত‚হলী হয়ে আরেকটু ভালোভাবে কান পাতলাম। হুম, রবীন্দ্রনাথের আমার হিয়ার মাঝে লুকিয়ে ছিলে... দেখতে আমি পাইনি...)। শতভাগ নিশ্চিত হলাম, এটিই আমাদের গন্তব্য। সেই কাক্সিক্ষত ঠিকানা! কিন্তু দুঃখের বিষয়, পৌঁছানো মাত্রই দেখলাম হলিউড সংলগ্ন এই গ্রানাডাহিলসে পাহাড়ের গা বেয়ে বাড়ি ফিরে গেল শেষ বিকালের সূর্য। তারপর নেমে এলো রোমাঞ্চকর এক সন্ধ্যা। মনে মনে ভাবলাম, নতুনটার বদলে পুরনো ক্যামেরাটা আনলেই পারতাম। দুদিন আগে কেনা ‘ক্যানোন-সেভেন্টি-ডি’ তখন ভালো করে অপারেট করাই শিখিনি। তবু সূর্যিমামাকে দাঁড় করিয়ে ধুমধাম কিছু ছবি তুলে নিলাম। তারপর অন্ধকারে হেঁটে চললাম। কথা হলো স্বর্গ-দেবতাদের সঙ্গে। তাদের একজনকে জিজ্ঞাসা করলাম, ‘আচ্ছা পৃথিবীর কত মানুষ না খেয়ে আছে; আর তোমরা এখানে পথের ধুলোয়, বাড়ির আঙ্গিনায়, ঘাসের ওপর এভাবে কমলালেবু ফেলে রেখে...; দেবতা মিষ্টি  হেসে আমার মুখ টিপে ধরল। গাছ থেকে একটি কমলা ছিঁড়ে রস ঢেলে দিল মুখে। কারা ফলের বদলে বিষ খায়, আর কারা বিষও পায় না- সব ভুলে গেলাম। স্বার্থপরের মতো প্রকৃতির ঐশ্বর্য ভোগে মেতে উঠলাম। প্রকৃতির সঙ্গে মিলেমিশে হলাম একাকার! যাহোক এসব নিয়ে পরে ভাবা যাবে। চট-জলদি খাবার শেষ করে ছুটলাম ইউনিভার্সাল স্টুডিওর বাকি আকর্ষণগুলোর দিকে....

 

দ্য সিম্পসনস রাইড

হলিউডে ঢুকে আমার প্রথম রাইডটি ছিল ‘দ্য সিম্পসনস রাইড’। আমিসহ সবাইকে প্রথমেই সতর্ক করা হয়েছিল হার্ট দুর্বল থাকলে যেন এখানে না চড়ি। আমেরিকার জনপ্রিয় টেলিভিশন সিরিজ ‘দ্য সিম্পসনস’-এর অনুকরণে তৈরি এই রাইডটি। তাই টেনশনে বুক ধুঁক ধুঁক করলেও সাহস করে লাইনে দাঁড়িয়ে গেলাম। কাল্পনিক, তবু ছয় মিনিটের এ রাইডটি বাচ্চাদের খুবই পছন্দের। অন্তত তাদের চেঁচামেচিতে এমনটিই মনে হচ্ছিল। শব্দ এবং কখনো পানি ছিটিয়ে বা ধোঁয়া উড়িয়ে এমন আবহ তৈরি করা হয় যে সত্যিই মনে হলো সিম্পসনস পরিবারের সঙ্গে আমরাও মিশন জয় করে এলাম। বুকে সাহস পেলাম, বাকি রাইডগুলো চড়ার জন্য। ২০০৭ সালে ‘ব্যাক টু দ্য ফিউচার’-এর স্থলে এ রাইডটি চালু করা হয়।

 

সেখানে রাইডে চড়ার আগে গ্রু আমাদের তার মিনিয়ন (সহকারী পুলিশ)  হিসেবে পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দিলেন। হার্ট দুর্বল থাকলে তার যাত্রার সঙ্গী না হতে...

ডিসপিক্যাবল মি মিনিয়ন মাহিম

 ২০১০ সালের অ্যানিমেটেড মুভি ‘ডিসপিক্যাবল মি’ জনপ্রিয়তা পেলে চালু হয় এই থ্রি-ডি রাইডটি। এটি প্রথমে আপনাকে নিয়ে যাবে মুভির নায়ক (ৎেঁ)- এর মিশনে। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে অন্য দর্শকদের সঙ্গে আমিও প্রথমে গেলাম নায়কের (জিআরইউ) লিভিংরুমে। সেখানে রাইডে চড়ার আগে গ্রু আমাদের তার মিনিয়ন (সহকারী পুলিশ) হিসেবে পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দিলেন।

 হার্ট দুর্বল থাকলে তার যাত্রার সঙ্গী না হতে অর্থাৎ রাইডে না চড়ার নির্দেশ দিলেন তিনি। এরপর আমরা প্রবেশ করলাম তার ল্যাবরেটরিতে। সেখানে আমাদের ইন্টারভিউ বডি ফিটনেস পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে নতুন কর্মী হিসেবে তার দলে নিয়ে নিলেন। আজকের মিশনের যাবতীয় দিক ব্যাখ্যা করলেন। আর এরপরই একটি হোভের মধ্যে চড়ে শুরু হলো আমাদের মিশন। মুভির অংশ হয়ে গ্রুর সঙ্গে এই মিশনের মজাই আলাদা।

 

জুরাসিক পার্ক

আগে জানলে রেইনকোট পরেই এই পার্কে ঢুকতাম। তাতে ক্যামেরাটাও বাঁচত। প্রথমে সবকিছু ঠিকঠাকই ছিল। কিন্তু যত কিছুর মূল হলো ডাইনোসরগুলো! পাহাড় থেকে ঝরনা ঝরছে। পাহাড় আর বনজঙ্গলের মধ্য দিয়ে নৌকায় যাচ্ছিলাম আমরা। হঠাৎ চোখে পড়ল বিশাল এক ডাইনোসর। সেটি থেকে চোখ ফেরাতে না ফেরাতেই আমাদের নৌকা ঘেঁষে পানির ভিতর থেকে লাফ দিয়ে উঠল আরেকটি ডাইনোসর। পানির ঝাপটায় ভিজে গেলাম আমরা সবাই। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে মুগ্ধ হতে চাইলে এই রাইডে চড়তে হবে। কিন্তু শেষ অংশে যখন বিশাল সুউচ্চ গুহার ভিতর থেকে পাহাড়ের গা বেয়ে ছুটে এসে পড়বেন নিচে তখন মনে হবে, ‘একটু বেশিই হয়ে গেল’। তবে এ রাইডে একবার চড়লে আবারও চড়তে ইচ্ছে করবে।

 

ট্রান্সফরমার-দ্য থ্রি-ডি রাইড

বিশ্ব কাঁপানো মুভি ট্রান্সফরমার! আমার কল্পনা আর বাস্তবতার মধ্যে এক সেতুবন্ধন টেনে দিয়েছিল এই রাইড। শুধু ক্যালিফোর্নিয়া নয়, সিঙ্গাপুরে অবস্থিত ইউনিভার্সাল স্টুডিওতেও এ আকর্ষণীয় রাইডটি রয়েছে। হাই ডেফিনেশন থ্রিডি ফুটেজ এবং মুভিতে ব্যবহৃত ভিজ্যুয়াল ইফেক্ট, লাইট, সাইন ও অন্যান্য ফিচার দিয়ে তৈরি এ রাইড। ঝড়-ঝাপটা অন্ধকারের মধ্যে হঠাৎ শত্রু দ্বারা অ্যাটাক হয়ে আপনি হয়তো ২৫ তলা বিল্ডিং থেকে পড়ে যাবেন। আবার প্রতিশোধ নিবেন। মিশনের সময় হঠাৎ ভিজে যাবেন, আগুনের তাপ এসে লাগবে গায়ে, মাথার পাশ দিয়ে চলে যাবে বুলেট। তবে সবশেষে সফলতার মধ্য দিয়েই শেষ হবে আপনার মিশন।

 

রিভেঞ্জ অব দ্য মমি

দীর্ঘ লাইন দেখে একবার মনে হলো ফিরে যাই। তারপর আবার ভাবলাম, হলিউডে এসে রিভেঞ্জ অব দ্য মমির ভ‚তগুলোর সঙ্গে একবার সাক্ষাৎ করব না, তা কি হয়! কিন্তু রাইডে চড়ার আগেই যেভাবে ভ‚তের চিৎকার, মরা মানুষের গোঙানি শুনছিলাম তাতে ভয়ও হচ্ছিল।

তারপর দেখলাম যারা এ চ্যালেঞ্জ শেষ করে নামছে তাদের বীরের মতো স্বাগত জানাচ্ছে রাইডের তত্ত্বাবধায়করা। এ দৃশ্য দেখে কিছুটা সাহস সঞ্চয় করলাম এবং দোটানা দূরে ঠেলে আমিও উঠে পড়লাম। ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা! মনে হলে এখনো গা শিউরে ওঠে। ঘণ্টায় ৬৪ থেকে ৭২ কিলোমিটার বেগে ঘুরছিল এ ইনডোর রোলার কোস্টারটি। এদিকে হঠাৎ সামনে এসে দাঁড়াচ্ছে প্রেতাত্না, থাবা মারছে মরা মানুষ। অবিশ্বাসের উপায় নেই। কারণ আপনার ঘাড়ে হাত দিলে টের পাবেন রক্তের ভেজা ভাব।

 

এতগুলো রাইডে চড়ে যখন কল্পনায় ভাসছিলাম তখনই হঠাৎ মনে হলো বাস্তবে ফিরে আসা দরকার। তাই ছুটলাম লাইভ শোর দিকে...

 

ওয়াটার ওয়ার্ল্ড : গ্যালারি ভর্তি কয়েক হাজার দর্শক। এবার আর কোনো ধারণকৃত মুভি না। ‘রিয়েলিটি শো’ বা সরাসরি ‘স্টেইজ পারফরম্যান্স’। তবে এই মঞ্চ কোনো সাধারণ মঞ্চ নয়। সমুদ্রের মধ্যে চারতলা সমান বিশাল জাহাজ, আর এই সমুদ্র দেশে গ্যাং-রাজ্যের আকাশ ছোঁয়া গেট দেখলে মনে হবে এ কোথায় এলাম! ১৯৯৫ সালে কেভলিন রিনোল্ডসের পরিচালনায় সবচেয়ে ব্যয়বহুল সিনেমা ওয়াটার ওয়ার্ল্ড। এর চুম্বক অংশ নিয়ে সরাসরি অভিনয়ের মাধ্যমে গত বছর থেকে এটি চালু করা হয়। ভিলেনের কাছ থেকে নায়িকাকে উদ্ধার এবং এমন একটি মিশনের সময় গোলাগুলি, হেলিকপ্টারে আক্রমণ, স্পিডবোটে নায়কের অ্যাকশন, মারামারি, যুদ্ধ এ সবই লাইভ দেখাতে পারবেন আপনি।

 

শ্রেক-ফোর-ডি : এবার থ্রি-ডি নয়, ফোর ডি। বিশাল পর্দায় ফোর-ডি মুভি দেখার মজাই আলাদা। তারপর যদি হয় তা মজার কোনো কাহিনী সমৃদ্ধ মুভি। মূলত ডানকি বা গাধাকে নিয়ে মুভির নায়ক শ্রেক কীভাবে তার অপহরণ হওয়া রাজকন্যাকে উদ্ধার করেছিল সেটিকে ঘিরেই মুভিটি। তবে সত্যিকারের অনুভ‚তি দিতে এখানেও রয়েছে নানা আয়োজন। কখনো বিশেষ ব্যবস্থায় মনে হবে পায়ের কাছে তেলাপোকা ঘুরছে। কখনো সিনেমার মধ্যে যে গিরগিটি জিহ্বা বের করছে তার লালা এসে আপনার কপালে এসে লাগবে।

 

ইউনিভার্সাল অ্যানিমাল অ্যাকটরস : ‘রোল-ক্যামেরা-অ্যাকশন’-পরিচালকের এই ভাষা কি পশু-পাখিরা বোঝে? আমার মতো আপনাদের মনেও নিশ্চয় এই প্রশ্ন উঁকি মারে। সত্যি হলো ওরা এমনই প্রশিক্ষিত যে, সত্যিই পরিচালকের এই ভাষা বুঝতে পারে। পরিচালকের কথা মতো বিভিন্ন অভিনয়ের মধ্য দিয়ে অন্তত এটাই প্রমাণ করল মেধাবী পশু-পাখিরা।  প্রায় ২০ মিনিটের এই ‘শো’টি শিশুদের ভীষণ প্রিয়।

 

স্পেশাল ইফেক্ট স্টেইজ : ইউনিভার্সাল স্টুডিওর নতুন আয়োজন ‘স্পেশাল ইফেক্টস স্টেইজ’। আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে কীভাবে চাঁদে মানুষের উড়ে বেড়ানো দেখানো হয় তা বুঝলাম এখান থেকেই। এ ছাড়া সুপারম্যান কিংবা স্পাইডারম্যান কীভাবে বড় বড় বিল্ডিং চষে বেড়ায়, নায়িকা কীভাবে পাহাড় থেকে লাফ দেয়, হিংস্র জন্তুর সঙ্গে মারামারি করে তা সরাসরি দেখলাম। চেয়ারের ওপর দুহাত মেলে দাঁড়িয়ে আছে, অথচ মনে হচ্ছে টাইটানিক স্টাইলে জাহাজের কোনায় দাঁড়িয়ে আছে। সবই কম্পিউটার প্রযুক্তির আশীর্বাদ, আলোর খেলা।

 

সুপার সিলি ফানল্যান্ড : ডিসপিক্যাপেল মি সংলগ্ন অঞ্চলটিই হলো ‘সুপার সিলি ফানল্যান্ড’। এখানে ছোট বড় সবার জন্য রয়েছে পানি নিয়ে খেলার ৮০টি ভিন্ন রাইড। তবে এখানে মিনিয়ন থিম নিয়ে তৈরি ‘সিলি সারলি ফান রাইড’ ৩৬০ ডিগ্রিতে আপনাকে দেখাবে এই ল্যান্ডের পুরো দৃশ্য। তবে হ্যাঁ, এটি কিন্তু ‘সুপার সিলি স্পেস কিলার’ গেইমের স্মরণে সেভাবেই তৈরি।

 

ক্যারেক্টার ইন দ্য পার্ক : সেখানে ঘুরে ফিরে বেড়ানোর সময় মাঝে মধ্যেই দেখছিলাম দীর্ঘলাইন। ঘটনা কি! পরে দেখলাম বিখ্যাত সব মুভি ও কার্টুনের খ্যাতিমান চরিত্রের সঙ্গে ছবি তুলতেই এসব দীর্ঘলাইন। তবে এখানে বড়দের চেয়ে সোনামণিদের ভিড় যেন একটু বেশিই। মিনিয়ন, সিম্পসনস ফ্যামিলি, ট্রান্সফরমারস, ম্যারিলিন, ডানকি, ড্রাকুলা, স্কুবি ফ্যামিলি, শ্রেক, উডি-উইনি ক্যারেক্টারসহ আরও সব জনপ্রিয় চরিত্র দর্শনার্থীদের মজা দিতে ঘুরে বেড়াচ্ছে।

 

এ ছাড়া ইউনিভার্সাল স্টুডিওতে এমন একটি গ্যালারি তৈরি করা হয়েছে যেখানে হলিউডের অর্জিত বিখ্যাত সব পুরস্কার, খ্যাতিমান সিনেমায় ব্যবহৃত কসটিউম, গাড়ি বা আসবাবপত্র এসবের সমারোহ সংরক্ষণ করা হয়েছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর