০১ - লক্ষ্য স্থির
সিআইএ আমেরিকার গোয়েন্দা বাহিনী। নানা কারণে আলোচনা-সমালোচনায় রয়েছেন তারা। সিআইএ’র চাকরি পেতে হলে প্রথমেই লক্ষ্য স্থির গুণ থাকতে হবে। যে কোনো মিশনে গোল অর্জন করার জন্য সিআইএ গোয়েন্দাদের এই গুণটি সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য পায়।
![](/assets/archive/images/Print-Edition/2015/December/03-12-2015/06.jpg)
০২ - গোপনীয়তা
শুধু সিআইএ নয়, যে কোনো গোয়েন্দা বাহিনীতে চাকরি পাওয়ার আগে গোপনীয়তা রক্ষার সর্বোচ্চ গুণ রয়েছে কি-না খতিয়ে দেখা হয়। সর্বোচ্চ মাত্রার গোপনীয়তা ও মিশনের মর্যাদা ধরে রাখতে পারলে সিআইএ’র গোয়েন্দা হিসেবে চাকরি পাওয়া সহজ হয়ে যায়।
০৩ - মেধা
প্রত্যেক সিআইএ গোয়েন্দাকে খুব ভালো শিক্ষার্থী হওয়া জরুরি। বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে মেধাবী শিক্ষার্থীরাই গোয়েন্দা হিসেবে সুযোগ পেয়ে থাকেন। তবে এ প্রক্রিয়াটি খুবই গোপনীয়তা রক্ষা করে করা হয়। শিক্ষাজীবনে বিভিন্ন পরীক্ষায় ঈর্ষণীয় ফলাফল ও কর্তব্যরত পেশায় অসাধারণ দক্ষতা থাকা চাই।
০৪ - বিশ্লেষণ দক্ষতা
শুধু একজন গোয়েন্দা হিসেবে নয়, যে কোনো কাজে বিশ্লেষণ দক্ষতা আগ্রহী প্রার্থী অগ্রাধিকার পান। মারাÍক মানসিক চাপ সামলে পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিশ্লেষণ করে নির্ধারিত দায়িত্ব পালন করার দক্ষতা সিআইএ গোয়েন্দার থাকা চাই।
০৫ - গণিত ও কম্পিউটার জ্ঞান
গোয়েন্দার কাজ সহজ নয়। বিভিন্ন পেশাভিত্তিক দক্ষতা গোয়েন্দাদের অর্জন করতে হয়। এ ধরনের কাজে সফলতার দেখা মিলতে প্রায়ই জটিল বিশ্লেষক ও গণনাভিত্তিক কাজ সামলাতে হয় সিআইএ গোয়েন্দাদের।
এ ছাড়া কম্পিউটার চালনা ও প্রযুক্তি জ্ঞান তাদের নিত্যদিনের কাজে প্রয়োজন হয়।
০৬ - শারীরিক সক্ষমতা
সিআইএ গোয়েন্দা হতে চাইলে খুব ভালো শারীরিক সক্ষমতা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হয়। সাঁতার, আকাশ থেকে লাফ, প্রচণ্ড শীতে টিকে থাকা, ম্যারাথন দৌড়ানোর মতো শারীরিক গড়ন ও সক্ষমতা গোয়েন্দাদের থাকা চাই।
০৭ - আন্তর্জাতিক সম্পর্ক
অনেকের ধারণা সিআইএ গোয়েন্দাদের বেশির ভাগকেই বিভিন্ন স্পেশাল ফোর্সে দীর্ঘদিন কাজ করতে হয়। তবে অবাক হওয়ার মতো বিষয় হলো, নির্ভর যোগ্যতা নিশ্চিত হলে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে সুসম্পর্ক ধারণকারী, পেশাভিত্তিক অভিজ্ঞতা বিবেচনা করে সিআইএ’র গোয়েন্দা হিসেবে কাজ পেয়ে থাকেন।
০৮ - মিলিটারি প্লাটফর্ম
সিআইএ গোয়েন্দাদের সেনাবাহিনীতে কাজ করার অভিজ্ঞতা বিশেষ গুরুত্ব পেয়ে থাকে। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন স্পেশাল ফোর্স ও সেনাবাহিনীতে কর্মরতদের মাঝখান থেকে সবচেয়ে মেধাবী ও নির্ভরযোগ্য সেনা কর্মকর্তাদের এখানে কাজের সুযোগ মেলে।
০৯ - ভাষাজ্ঞান
শুনতে অবাক লাগলেও সত্য, সিআইএ গোয়েন্দাদের অন্যতম একটি গুণ তাদের বিচিত্র ভাষাজ্ঞান। পৃথিবীব্যাপী অসংখ্য প্রচলিত ভাষায় গভীর জ্ঞান অর্জন করা যে কোনো এজেন্টের নামের পাশে বাড়তি নম্বর যোগ করে। প্রচলিত ভাষাগুলোর মধ্যেÑ চায়না, কোরিয়ান, অ্যারাবিক ও রুশ ভাষা বিশেষ গুরুত্ব পেয়ে থাকে।
১০ - বুদ্ধিমত্তা
গোয়েন্দার কাজে বুদ্ধিমত্তা অনেকটাই নির্ভর করে। প্রতি মাসে সিআইএ গোয়েন্দা হতে চেয়ে ১০ হাজারেরও বেশি আবেদন পড়ে। এখান থেকে বুদ্ধিমত্তার বিভিন্ন পরীক্ষায় এগিয়ে থাকা প্রার্থীদেরই কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।