রবিবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

সন্ত্রাসীদের চোখ এখানেই

সন্ত্রাসীদের চোখ এখানেই

বিশ্ব অর্থনীতি ও রাজনীতিতে আমেরিকার ভ‚মিকা এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। রাজনৈতিক মারপ্যাঁচের সঙ্গে যখন সামরিক প্রভাব ও অর্থনীতি নিয়ন্ত্রণের কথা আসে তখন আমেরিকা হয়ে ওঠে গুরুত্বপূর্ণ। যে কারণে সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা ও সামরিক প্রভাব বজায় রাখার জন্য প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ স্বার্থ জড়িয়ে আছে। সন্ত্রাসবিরোধী সামরিক অভিযানে আমেরিকার নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও এটি অস্বীকার করার উপায় নেই সন্ত্রাসবাদ শব্দটিকে পেলেপুষে বিশ্ববাসীর সামনে প্রতিষ্ঠা পেতে আমেরিকার  প্রভাব কতটা জোরালো।  সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের পরিপ্রেক্ষিতে আমেরিকা সবসময়ই সন্ত্রাসী ও উগ্রপন্থি  মতাদর্শকারীদের সন্ত্রাসবাদ বিস্তার ও সন্ত্রাসী আক্রমণের কেন্দ্রবিন্দু। শত বছর আগেও আমেরিকায় সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে, তবে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ শব্দটির প্রসারের পর আমেরিকায় সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা যেমন বেড়েছে তেমনি বেড়েছে সন্ত্রাসী হামলার ঝুঁকি। অবশ্য সন্ত্রাসী হামলার পাশাপাশি স্থানীয় অপরাধীদের ছোটবড় হামলার ঘটনাও আমেরিকায় অহরহ ঘটছে। বন্দুকধারীদের আক্রমণ সন্ত্রাসবাদের বিপরীতে নতুন এক আতঙ্ক হয়ে উঠেছে সেখানে। আমেরিকায় সন্ত্রাসী আক্রমণের ধার বেড়েছে  ২০০০-পরবর্তী সময়ে। ২০০০ সালের ১২ অক্টোবর এক কয়লাখনিতে বোমা হামলার ঘটনার পর ‘সন্ত্রাসী হামলা’ বিষয়টি নতুন মাত্রা লাভ করে। সেবার আল-কায়েদার কথা উঠে আসে। ১৭ জন মারা যান, আহত হন ৩৯ জন। আÍঘাতী এই হামলার পর অবস্থা নিয়ে যখন বিশ্লেষণ চলছে তখন ঘটে টুইনটাওয়ারে হামলা। আমেরিকার ইতিহাসে সবচেয়ে ন্যক্কারজনক এই সন্ত্রাসী হামলা পুরো বিশ্বকে কাঁপিয়ে দেয়। ৩ হাজারের বেশি মানুষ মারা যান। বিমান ছিনতাই করে এই হামলার জন্য আল-কায়েদাকে দায়ী করা হয়।  এই বিমান হামলার সপ্তাহ পেরোতে না পেরোতে অ্যানথ্রাক্স আক্রমণের খবরে আমেরিকাসহ বিশ্ব মিডিয়া সরগরম হয়ে ওঠে। ২০০১ সালের সেপ্টেম্বরের ১৮ তারিখ ও ২০০১ সালের ৯ অক্টোবর দুটি চিঠি আসে। চিঠি দুটিতে অ্যানথ্রাক্সের উপস্থিতি প্রমাণ মেলে। ২০০১-এর পর ২০০৪ সালে বেসলান ম্যাসাকার সবার বিবেক নাড়িয়ে দেয়। এবার সন্ত্রাসী আক্রমণের শিকার হয় শিশুরাও। মারা যায় ৩৬৬, আহত হয় ৭৪৭ জন।

 

অবশ্য  ১৯৮৮ সালে বিমান জেএফকে বিমানবন্দরে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ভোলেনি আমেরিকা। প্যান এ এম ১০৩ এয়ারলাইনে বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছিল। সব যাত্রী ও বিমান ক্রু মারা যান সেই হামলায়। গোয়েন্দারা দাবি করেন সেই হামলার পেছনে লিবিয়ান সরকারের হাত রয়েছে। ২০০৩ সালে লিবিয়ান সরকার সেই হামলার পরিকল্পনার কথা স্বীকার করে নেয়।

২০১০ থেকে শুরু করে ২০১৫ পর্যন্ত আমেরিকায় ছোটবড় বহু সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা হিসাব কষে দেখেছেন হামলাগুলোর নেপথ্য কারণ। তবে সন্ত্রাসী হামলার পাশাপাশি বন্দুকধারীদের আক্রমণ নিয়ে নাজুক অবস্থায় রয়েছে আমেরিকা। সাম্প্রতিককালে লুইসিয়ানা প্রদেশের নিউ অর্লিয়ান্সে বন্দুকধারীর ছোড়া গুলিতে আহত হয়েছেন অন্তত ১৬ জন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর