রবিবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

১০৬৬ দিনে ১০৫২ গুলিবর্ষণ

১০৬৬ দিনে ১০৫২ গুলিবর্ষণ

এ বছর অক্টোবরের ২ তারিখ দ্য গার্ডিয়ান একটি সংখ্যা তত্ত¡ প্রদান করে। যেখানে দেখা যায় গেল ১০৬৬ দিনে আমেরিকায় ১০৫২টি গুলির ঘটনা ঘটেছে। শুটিং ট্রেকারডটকমের বরাত দিয়ে তথ্যটি সাজানো হয়। এ তো সাম্প্রতিককালের কথা। গত দুই দশকের চিত্র কী ভিন্ন ছিল আমেরিকায়? উত্তরটি হচ্ছে, না। ২০০১ থেকে শুরু করে ২০১০ সালের সংক্ষিপ্ত তালিকার দিকে তাকালে দেখা যাচ্ছে, স্কুলে, পার্কে বা কর্মক্ষেত্রে আমেরিকায় গুলি চলেছে বছর বছর। এতে হতাহতের সংখ্যাটিও আশঙ্কাজনক। ২০০১ সালে ১৫ বছর বয়সী এক স্কুলপড়ুয়ার গুলিতে স্কুল প্রাঙ্গণেই মারা যায় তার দুই সহপাঠী ও ১৩ জন। ২০০২ সালে ৪১ বছর বয়সী রবার্ট ফ্লোরেসের গুলিতে ইউনিভার্সিটি অর অ্যারিজোনা কেঁপে উঠেছিল। সেদিন তিনি গুলি করেন তার ৩ সহপাঠীকে, তারপর নিজে আÍহত্যা করেন। ২০০৩ সালে ডফের গুলিতে মারা যান ৫ জন। মারাÍকভাবে আহত হন আরও ৯ জন। রেড লেক হাইস্কুলের ১৬ বছর বয়সী জেফ্রির গুলিতে ৯ জন মারা যান। আহত হন ৭ জন। ২০০৬ সালে ক্যালিফোর্নিয়ায় পোস্টাল সার্ভিস ডিস্ট্রিবিউশন সেন্টারে গুলির ঘটনায় ৬ জন মারা যান। ২০০৭ সালে সল্ট লেক সিটিতে ১৮ বছর বয়সী সুলেজমান শটগান নিয়ে সল্ট লেকের শপিংমলে গিয়ে ঠাণ্ডা মাথায় গুলি শুরু করে। ৫ জন মারা যান, জখম হন ৪ জন। সে হু চো। বয়স ছিল ২৩ বছর। ২০০৭ সালের ১৬ এপ্রিলে বন্দুক নিয়ে ক্যাম্পাসে গিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি শুরু করে। সেদিন তার গুলিতে মারা যান ৩২ জন। রক্তাক্ত হন আরও ১৭ জন। ২০০৮ সালে ইলিয়ন ইউনিভার্সিটিতে গুলি চালায় স্টিভেন। মারা যান ৫, আহত হন ১৬ জন। ২০০৯ সালে পাবলিক প্লেসে গুলি করে জিভারলি। তার ছোড়া গুলিতে মারা যান ১৩ জন। ২০০৯ সালে নিদাল মালিক হাসান কর্মস্থলে গিয়ে গুলি ছুড়লে মারা যান ১৩ জন। রক্তাক্ত হয় ৩২ জন। ২০১০ সালে অ্যামির গুলিতে মারা যান ৩ জন। ইউনিভার্সিটি অব আলাবামা কেঁপে উঠেছিল সেদিন। ২০০০ সাল থেকে ২০১৫ পর্যন্ত আমেরিকায় বন্দুকধারীর গুলিতে মৃতের সংখ্যা উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর