বুধবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

ভোটের মাঠে অতিথি পাখি

পৌরসভা নির্বাচনে কমপক্ষে ২০ জন প্রার্থী নিজেই নির্বাচনী এলাকায় থাকেন না। প্রার্থীদের অনেকেই প্রবাসে থাকেন। নির্বাচন উপলক্ষে ‘অতিথি পাখি’র মতো তারা এলাকায় এসেছেন। বৃহত্তর সিলেটের মানুষের সঙ্গে লন্ডনের যোগাযোগ ব্রিটিশ শাসনামল থেকে। লন্ডন প্রবাসীদের একটি বড় অংশ এই অঞ্চলের অধিবাসী। এর মধ্যে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে লন্ডন প্রবাসীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি হওয়ায় স্থানীয়ভাবে এলাকাটির পরিচিতি লন্ডনী এলাকা নামে। স্থানীয় রাজনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রেও রয়েছে তাদের প্রভাব। এই পৌরসভার মেয়র প্রার্থীর তিনজনই লন্ডন প্রবাসী। আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবদুল মোনাফ, বিএনপি প্রার্থী রাজু আহমেদ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহ নূরুল করিম। এখানকার ভোটারদের বড় একটি অংশ লন্ডন প্রবাসী। এখানকার রাজনীতি ও অর্থনীতিতে এসব প্রবাসীর প্রভাবও স্বাভাবিকভাবেই অনেক বেশি। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রধান দুই প্রার্থী বললেন, জনগণের কাছে নাগরিক সেবা পৌঁছানোর বিষয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেবেন তারা। তিন প্রবাসী প্রার্থীর ভোটাররা কাকে স্থায়ীভাবে এলাকায় সেবা করার টিকিট দেবেন সেজন্য অপেক্ষা করতে হবে। হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ পৌরসভার স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম রানা ও আবদুল জুবায়ের চৌধুরী যুক্তরাজ্য থাকেন। ভোটের প্রচারণার জন্য তারা দেশে এসেছেন। এ ছাড়াও ভোলার দৌলতখান পৌরসভায় বিএনপির মেয়র প্রার্থী আনোয়ার হোসেন কাঁকন, বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ পৌরসভার স্বতন্ত্র প্রার্থী সোমনাথ দে, কুড়িগ্রামের উলিপুর পৌরসভায় বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী তারিক আবু আল চৌধুরী পরিবার নিয়ে ঢাকায় থাকেন। সাতকানিয়া পৌরসভায় আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী মোহাম্মদ জোবায়ের ও বিএনপির মেয়র প্রার্থী রফিকুল আলম এবং চন্দনাইশ পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী মাহবুব আলম পরিবার নিয়ে চট্টগ্রামে থাকেন।  এ ছাড়া বারইয়ারহাট, বাঁশখালী, পটিয়া পৌরসভায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা তাদের নিজ নির্বাচনী এলাকায় থাকেন না।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর