শিরোনাম
শনিবার, ৯ জানুয়ারি, ২০১৬ ০০:০০ টা

সেই আরব বসন্ত

সেই আরব বসন্ত

আরবের মাটিতে আজ থেকে পাঁচ বছর আগে ঠিক এই মাসেই সফলতার মুখ দেখে সরকারবিরোধী আন্দোলন। আরব বসন্ত। সেই আন্দোলনে কেঁপে উঠেছিল গোটা বিশ্ব। আরবদের সেই জাগরণ ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়। একের পর এক স্বৈরশাসকদের পতন মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার অনেক দেশের জনগণকে স্বপ্ন দেখাতে শেখায়। কিন্তু আজ বিশ্ববাসীর সামনে সমীকরণটি পরিষ্কার। কোটি কোটি মুক্তিপ্রেমী মানুষের সেই জাগরণ যেন অনেকটাই আশাহত করেছে। বসন্ত তো আসেনি বরং ক্ষেত্রবিশেষে আরব বিশ্বে গৃহযুদ্ধের শুরু করেছে সেই আন্দোলন। যা বয়ে বেড়াচ্ছে সিরিয়া, মিসর ও ইরাকের মতো মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ। লিখেছেন— মাহবুবুল আলম

 

যেভাবে বিপ্লব

আরব বসন্তের পেছনে নানা কারণ দায়ী। দীর্ঘদিন স্বৈরাচার বা চরম রাজতন্ত্র, মানবাধিকার লঙ্ঘন, সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের দুর্নীতি, দুর্বল অর্থনীতি, অর্থনৈতিক মন্দা, বেকারত্ব, চরম দরিদ্রতা ও শিক্ষিত হতাশাগ্রস্ত যুবসমাজ বিশেষ করে শিক্ষিত বেকার যুবকদের অসন্তোষ এই বিপ্লবের পেছনে প্রধান চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করেছে। এ ছাড়াও এসব দেশে বিপুল পরিমাণ সম্পদ মুষ্টিমেয় কয়েকজনের হাতে ছিল। যে কারণে তারা কয়েক দশক ধরে ক্ষমতায় ছিল। সম্পদের সুষম বণ্টন হয়নি। ফলে খরা ও খাদ্যের মূল্যবৃদ্ধির কারণে আন্দোলনের পথ বেছে নিতে বাধ্য হয় সাধারণ মানুষ। সে সময় আন্দোলনের শুরুটা যারা করেছিলেন তাদের অনেকেই ছিলেন পশ্চিমা শিক্ষায় শিক্ষিত। যেখানে স্বৈরতন্ত্র ও রাজতন্ত্রকে অচল বলে মনে করা হয়। এ কারণে জীবনযাত্রার মান, শিক্ষার হার বৃদ্ধির ফলে মানব উন্নয়ন সূচকের উন্নতি হলেও সরকারের সংস্কার না হওয়া তারা সহজেই মেনে নিতে পারেনি।

দেশে দেশে গণবিক্ষোভ

১৮ ডিসেম্বর, ২০১০। তিউনিসিয়ার এক মফস্বল শহর সিদি বাউজিদে মুহাম্মদ বুয়াজিজি নামে ২৬ বছরের এক ফল বিক্রেতা প্রশাসনের দুর্নীতি আর বেকারত্বের জীবনে ক্ষুব্ধ হয়ে নিজের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। তখন কে জানত এ ঘটনার মাত্র ২৭ দিনের মাথায় প্রেসিডেন্ট জয়নুল আবেদিন বেন আলীর ২৩ বছরের স্বৈরশাসনের অবসানের মাধ্যমে সূচনা হবে ‘আরব বসন্তের’। তিউনিসিয়ার পর আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে  আলজেরিয়া, জর্ডান, মিসর এবং ইয়েমেনসহ আরবের অন্যান্য দেশে। এতে করে কয়েক দশক ধরে গড়ে ওঠা শাসনযন্ত্র তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে। বাধ্য হয়ে বেন আলী পালিয়ে যান সৌদি আরবে। তিউনিসিয়ার পর মিসর। দেশটির রাজধানী কায়রোর তাহরির স্কয়ারে মাত্র ১৮ দিনের আন্দোলনে ২০১১ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ক্ষমতা থেকে বিদায় নেন হোসনি মোবারক। একই সঙ্গে জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ নতুন প্রধানমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করেন। নভেম্বরে ইয়েমেনের রাষ্ট্রপতি আলী আবদুল্লাহ সালেহ মনসুর আল হাদির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন। অবসান ঘটে ৩৩ বছরের স্বৈরশাসকের। সুদান, ইরাক বা জর্ডানের রাষ্ট্রপ্রধানরাও শিগগিরই ক্ষমতা হস্তান্তর বা আবার নির্বাচন না করার অঙ্গীকার করে আন্দোলন প্রশমিত করার চেষ্টা চালান। তবে লিবিয়ার ক্ষেত্রে পরিস্থিতি ছিল কিছুটা ভিন্ন। দেশটিতে যেভাবে পরিবর্তন এসেছে তাকে কোনোভাবেই গণতন্ত্রের পথে সঠিক যাত্রা বলা ঠিক হবে না। বিচিত্র চরিত্রের অথচ আরব বিশ্বে জনপ্রিয় এই নেতাকে ২০১১ সালের ২০ অক্টোবর নিজ শহর সির্তে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। তারপরও লিবিয়ার ৪২ বছরের শাসক গাদ্দাফির পতন ঘটেছে। সিরিয়ার বাশার আল আসাদের পতন ঠেকাতে তার সরকার-বিদ্রোহীদের সংঘর্ষ এখনো চলছে। ২০১৫ সালের আগস্ট মাস পর্যন্ত জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী ২ লাখ ৫০ হাজার মানুষের প্রাণহানি হয়েছে আরব বিশ্বের এই দেশটিতে। তারপরও ক্ষমতা থেকে নেমে যাওয়ার বিন্দুমাত্র ইচ্ছা প্রকাশ করতে দেখা যায়নি আসাদ সরকারের। এ ছাড়া আলজেরিয়া, বাহরাইন, ইরান, মরক্কোয় বড় ধরনের বিদ্রোহ হয়। তবে লেবানন, মৌরিতানিয়া, সৌদি আরব, সুদান এবং পশ্চিম সাহারায় বড় ধরনের না হলেও বিক্ষিপ্তভাবে বিক্ষোভ দেখা যায়।

 

ফের উত্তেজনা

২০১১ সালে ‘আরব বসন্ত’ শুরু হওয়ার পর সৌদি আরবের বিখ্যাত শিয়া নেতা শেখ নিমর আল নিমর প্রকাশ্যে সৌদি আরবের রাজতন্ত্রের সমালোচনা শুরু করে নির্বাচন দেওয়ার দাবি তোলেন। এ ঘটনায় ২০১২ সালে আটক হওয়া নিমরকে ২০১৪ সালের অক্টোবরে সরকার উত্খাতের চক্রান্তের দায়ে মৃত্যুদণ্ড দেন দেশটির একটি আদালত। গত শনিবার সৌদি সরকার শেখ নিমরের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয় বলে ঘোষণা দেয়। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে তেহরানে সৌদি দূতাবাসে হামলা চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয় শিয়াপন্থি বিক্ষোভকারীরা। এরই জের ধরে ইরানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দেয় সৌদি আরব। সৌদি সম্পর্ক ছিন্ন করার পর একই পথে হাঁটে বাহরাইন, সুদান, কুয়েত ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। এর ফলে মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতি প্রভাব বিস্তারকারী ইরান অনেক চাপের মধ্যে রয়েছে। এরই মধ্যে ইরান বৃহস্পতিবার ইয়েমেনে অবস্থিত তাদের দূতাবাসে সৌদি জোটের বিমান হামলার অভিযোগ করেছে।

 

কেমন আছে সেই দেশগুলো

আরব বসন্তের পর গত পাঁচ বছরে কী পেয়েছে তিউনিসিয়াবাসী? এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেছে আল-জাজিরা। এক প্রতিবেদনে তারা বলছে, বেন আলীর পতনের পর নতুন একটি সংবিধান পেয়েছে তিউনিসিয়া। ২০১৪ সালে দেশটিতে জাতীয় নির্বাচন হয়েছে। দেশটিকে গণতন্ত্রের পথে নিয়ে যেতে অবদান রাখার স্বীকৃতি হিসেবে এ বছর শান্তিতে নোবেল পেয়েছে ‘ন্যাশনাল ডায়ালগ কোয়ার্টেট’। তবে গণতন্ত্র এলেও দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে এখনো চরম হতাশা বিরাজ করছে। সিদি বাউজিদের বাসিন্দা ও আন্দোলনকারী রামজি আবদৌলি হতাশা ব্যক্ত করে বলেন, আমরা স্বপ্ন দেখেছিলাম আর ভেবেছিলাম, বেন আলীর পতনের পর বাস্তবিক অর্থে অনেক পরিবর্তন হবে। কিন্তু দুর্ভাগ্য তা হয়নি। শুধু আবদৌলিই নন, এমন হতাশার কথা জানালেন সিদি বাউজিদের বেশির ভাগ বাসিন্দা। তাদের বক্তব্য, জীবন আগে যেমন ছিল, এখনো তেমনই আছে। আরব বিপ্লবের অন্যতম কারণ ছিল বেকারত্ব। কিন্তু রয়ে গেছে সেই সমস্যাও। লিবিয়া, মিসর, সিরিয়া ও ইয়েমেনেরও প্রায় একই অবস্থা। আল মনিটর নামক এক গবেষণা সংস্থার প্রতিবেদনে ফুটে উঠেছে লিবিয়ার বর্তমান অবস্থার হালচিত্র। দীর্ঘ সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা গাদ্দাফির পতনের পর এতটুকুও উন্নতির ছোঁয়া লাগেনি দেশটিতে। বরং ইসলামিক স্টেটের মতো সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর নিরাপদ ঘাঁটিতে পরিণত হয়েছে লিবিয়াসহ আরও কয়েকটি দেশ। এদিকে স্বৈরশাসক হোসনি মোবারকের পতনের পরের বছর নির্বাচনে জিতে ক্ষমতায় আসেন মুসলিম ব্রাদারহুডের মোহাম্মদ মুরসি। এক বছর যেতে না যেতেই দেশটিতে সামরিক শাসন শুরু হয়। সিরিয়ার অবস্থা আরও নাজুক। নিজেদের জীবন বাঁচাতে এখন দেশটির বাসিন্দারা ইউরোপে পাড়ি জমাতে ব্যস্ত। আর এতে বিভিন্ন দেশে দেখা দিয়েছে শরণার্থী সংকট।

 

ফেসবুক-টুইটারে বসন্তের আগুন

আরব বসন্তই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও টুইটারের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া প্রথম বড় ধরনের কোনো আন্দোলন। আর এই আন্দোলনের প্রথম সারিতে ছিলেন পশ্চিমা শিক্ষায় শিক্ষিত নারী-পুরুষ। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের ইন্টারনেটের প্রতি যে আকর্ষণ তা তাদের অনুভূতি ও মতামত প্রকাশের একটা পছন্দের জায়গা হয়ে দাঁড়ায়। ২০০৯ সালে তিউনিসিয়ার পুরো জনসংখ্যার তিন ভাগের এক ভাগই ছিলেন ইন্টারনেটের সঙ্গে সংযুক্ত। এর মধ্যে প্রতি ৬ জন তিউনিসিয়ানের মধ্যে একজনই ছিলেন ফেসবুকের সঙ্গে যুক্ত। মিসরে ৮০ মিলিয়ন জনসংখ্যার মধ্যে ২৫ মিলিয়নই ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকে। আরব বিশ্বে সাইবার ক্যাফে শুধু ইন্টারনেট ব্যবহার করার জায়গা নয়, সেখানে সমমনাদের মধ্যে আলোচনা ও প্রতিবাদের জন্য একত্রিত হওয়ার সুযোগ তৈরি হয়। তবে সামাজিক মিডিয়ার মাধ্যমে সরকারবিরোধী মতামত যেন তৈরি না হয় সেটা নিশ্চিত করতে শাসকরাও চুপচাপ বসে ছিল না। তিউনিসিয়ার সরকার সাইবার ক্যাফে নিয়ন্ত্রণ, সামাজিক যোগাযোগ ও ওয়েবসাইট নজরদারি ও প্রয়োজনে বন্ধ করে দেওয়ার নীতি গ্রহণ করে। একই ধরনের পদক্ষেপ নেয় মিসরের সরকারও। দুই পুলিশের ঘুষের টাকা বণ্টনের ভিডিও  ইন্টারনেটে আপলোড করায় ২০১০ সালের জুনে মিসরের আলেক্সান্দ্রিয়ার ২৮ বছর বয়স্ক ব্লগার খালিদ সাইদকে মেরে ফেলা হয়েছিল। এ ঘটনায় মিসরজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। ফেসবুকে নতুন গ্রুপ খোলা হয় ‘আমরা সবাই খালিদ সাইদ’ নামে। হাজার হাজার মিসরীয় এই গ্রুপে যোগ দেয়। এর আগে ২০০৬ সালে ওয়াইল আব্বাস ও মালেক মোস্তফা নামের দুই ব্লগার পুলিশ কর্তৃক ধর্ষণের ঘটনা মোবাইলে তোলা ফুটেজ ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দিলে পরবর্তীতে অভিযুক্তদের বিচারের সম্মুখীন হতে হয়। এভাবে ইন্টারনেট ব্যবহার করে একত্রিত হওয়ার হাজারো নজির আছে আরব বিশ্বে। বিশেষ করে মিসর ও তিউনিসিয়ায়। ২০০৮ সালের ৬ এপ্রিল কায়রোতে টেক্সটাইল শ্রমিকদের ধর্মঘটের সমর্থনে খোলা হয় একটি ফেসবুক গ্রুপ। কিছুদিনের মধ্যেই যার সদস্য সংখ্যা দাঁড়ায় ৭০ হাজার। গঠন করা হয় ‘৬ এপ্রিল কমিটি’। যা পরে মোবারকবিরোধীদের তাহরির স্কয়ারে একত্রিত হওয়ার একটি প্লাটফর্ম হিসেবে কাজ করেছিল। ২০১১ সালের ৬ জানুয়ারি তিউনিসিয়ায় আন্দোলন যখন তুঙ্গে তখন গ্রেফতার ও নির্যাতন করা হয় ব্লগার স্লিম আমানু, আজিজ আমামি, হামাদি কালোশা ও সালেদিন কশেয়ককে। তীব্র প্রতিবাদ ও গণজমায়েতের মুখে পরবর্তীতে তাদের ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় সরকার। তবে আরব দেশগুলোর সরকারপ্রধানরা কোনো দিন কল্পনাও করতে পারেনি এমন সামাজিক মাধ্যমই তাদের দীর্ঘদিন ধরে কুক্ষিগত করে রাখা ক্ষমতার অবসান ঘটাবে। কীভাবে অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টরা গণবিক্ষোভের জোয়ার সৃষ্টি করেছিল? তার উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেছিল আল-জাজিরা। এতে দেখা যায়, সোশ্যাল মিডিয়া যুবসমাজকে ভয়হীনভাবে যে কোনো মতামত প্রদান করতে উত্সাহিত করেছিল। ওই সাহসী উদ্যোগের ফসলই আরব বসন্ত। প্রতিবেদনে এক তিউনিসিয়ান রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞের মতামত ছিল, প্রথমে সামাজিক মাধ্যম বিশেষ করে ফেসবুক ও টুইটার যুবকদের মতামত প্রকাশ করতে সাহস জুগিয়েছিল। তারা এই দুটি মাধ্যমে স্বৈরাচারী সরকারের পুলিশি নির্যাতনের দৃশ্য ও ভিডিও প্রকাশ করে এবং কোনো ধরনের শঙ্কা ছাড়াই তাদের মতামত অন্যদের সামনে তুলে ধরতে শুরু করে। পরে অন্যরা তাদের দেখাদেখিতে বলতে থাকেন সে লিখতে ও বলতে পারলে আমিও পারি। এভাবে তারা তাদের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেন এবং গণজমায়েত হন।

 

আইএসের উত্থান

অনেকে মনে করে থাকেন আরব বসন্তের ফসল আইএস। ঘটনা কিন্তু তেমনটা নয়। মূলত আইএসের উত্থানের জন্য ২০০৩ সালে মার্কিন জোটের ইরাক হামলাকে দায়ী করা হয়। কারণ ওই হামলার পর থেকে ইরাকে যে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়েছিল সেটা থেকে আইএসের উত্থান ঘটে। এ জন্য চলতি বছরের ২৪ অক্টোবর ইরাকে হামলার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার। মার্কিন টিভি চ্যানেল সিএনএনকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে তিনি বলেন, ইরাকে সামরিক অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত ভুল ছিল এবং এ হামলার কারণেই আজকে তথাকথিত জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) উত্থান হয়েছে। তবে বর্তমানে আইএসের ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার পেছনে অবশ্যই আরব বসন্তকে কিছুটা দায়ী করা যায়। কারণ আরবের দেশগুলোতে গণবিক্ষোভের ফসল ঘরে তুলে ব্যর্থ হওয়ায় আজকে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে আইএস। আরব বসন্তের পর ওই দেশগুলো নিজের অর্থনীতিকে শক্তিশালী ভিত্তির ওপর দাঁড় করাতে পারেনি। পারেনি বেকারত্বের হার কমিয়ে দারিদ্র্যের সংখ্যা কমিয়ে আনতে। আর এতে করে বেকার যুবক চরম দারিদ্র্যের কারণে অনেকে দেশ ছাড়ার পাশাপাশি যোগ দিচ্ছেন জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটে (আইএস)। তাই একদিক থেকে আইএসের ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার পেছনে আরব বসন্তকে অস্বীকার করার উপায় নেই।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর